নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২০
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইশরাক হোসেন। তাপসকে সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইশরাক। তিনি বলেছেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস একজন সজ্জন ব্যক্তি। তার প্রতি আবেদন থাকবে নির্বাচনে তিনি যেন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা না করেন। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবো। রেজাল্ট যা হবে সেটাই মেনে নেবো। কিন্তু ভোটে কোনো কারচুপি হলে সেটা কোনোভাবে মানবো না। আজ শনিবার দুপুরে পুরান ঢাকার গোপীবাগে নিজ বাসার সামনে সাংবাদিকরা ইশরাককে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় তাপসের উদ্দেশে ইশরাক এসব কথা বলেন।
ইশরাক বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিলের দাবি বাস্তবায়ন হবে কি না জানি না। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে ইভিএমের ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। কিন্তু আমাদের ওই আশঙ্কাটা আছেই। ইভিএমে ভোট সুষ্ঠুভাবে হবে না।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে ওয়ারী থানা এলাকায় একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, হামলা করবে করুক, এটা আমাদেরও দেশ। কারোও জমিদারি নয়, কারো দখলদারিত্ব চলবে না। আমরা আমাদের মতো কাজ চালিয়ে যাবো।
এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, আমি বারবার বলে আসছি নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী কোনো পরিবারের সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমাদের শক্তি হলো জনগণ। এ দেশটা কোনো পরিবারের সম্পত্তি না। জনগণ আমার ডাকে সারা দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে এ দখলদারিত্ব ও স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাবো।
তিনি বলেন, আমরা ভোটকেন্দ্র পরিচালনা কমিটি করবো। আমরা সবার সহযোগিতায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই।
২৭ জানুয়ারি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ইশরাক বলেন, আমরা অনেকগুলো সমস্যা চিহ্নিত করেছি। নারী ও শিশুদের বিষয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছি। নারী ও শিশুদের বসবাসের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহর হিসেবে ঢাকা এখন এক নম্বরে। আমি পরিবেশের দিকেও নজর দেবো। আমরা রাস্তাঘাটের বিষয়ে যে ধারণা দিতে চাইছি সেটা হলো-কমন ইউটিলিটি টানেল। আগে কেউ এটা তাদের ইশতেহারে দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। সেটা হলো আমরা রাস্তার নিচ দিয়ে একটা কমন টানেল করবো। সেখানে সব সার্ভিস গুলো থাকবে। কতগুলো পয়েন্ট থাকবে যেখান থেকে কর্মীরা প্রবেশ করে কাজ করে বেরিয়ে আসবে। এতে প্রতি বছর রাস্তা খোঁড়াখুড়ির দরকার হবে না।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।