ইনসাইড পলিটিক্স

দুই দলের টার্গেট বিদ্রোহী প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাকি আর মাত্র ৬দিন। আগামী পয়লা ফ্রেব্রুয়ারি ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রচারণা এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া ছাড়াও নির্বাচনে জয়ের জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করছেন প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীরা। সেই কৌশলের একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজেদের পক্ষে ভেড়ানো। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা একটি বড় ফ্যাক্টর। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা এবং ভোটারদের ভোটে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলররাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

কারণ একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররাই নিবিড়ভাবে ঘুরে বেড়ায় আর তারা ওই ওয়ার্ডের নারী নক্ষত্র সবই জানেন। এক্ষেত্রে দুই দলই মনে করছে যে, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা যদি তাদের পক্ষে থাকে তাহলে নির্বাচনী বৈতিরণী পাড় হওয়া অনেক সহজ হবে। এই নির্বাচনে দুই দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। প্রতিটা ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, উত্তরে মোট ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ৫৪টি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই জনপ্রিয়। বিদ্রোহী প্রার্থীরা যেহেতু আওয়ামী লীগে মনোনয়ন পাননি তাই দলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নেই। তাই নির্বাচনে জয়ী হতে মরিয়া তারা। আর এই সুযোগটি নিতে চাইছেন উত্তরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

বিভিন্ন সূত্র প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই তাবিথ আউয়াল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে যোগযোগ শুরু করেছেন। তাবিথকে সমর্থন দিলে বিএনপির ভোটগুলো বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাবেন আর এতে তাদের জয় সুনিশ্চিত হবে। এ রকম একটি প্রলোভন দিয়ে তাবিথ বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলে ভেড়াতে চাচ্ছেন।

এই কৌশলে পিছিয়ে নেই আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামও। ৫৪টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই বিএনপিরও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তারা দলীয় মনোনয়ন পাননি। আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আর এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলে ভেড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ সাধ্যমত সব চেষ্টাই করছে। 

আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বলা হচ্ছে, তারা যদি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করে এবং নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের উৎসাহীত করেন তাহলে নৌকার ভোটগুলোও বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে যাবে। এরপর তারা যদি শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তাদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা করবে।

একই কৌশল দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭২টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এদের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীও রয়েছে। এই সমস্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে ইশরাক হোসেনের এজেন্টরা। তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বোঝাচ্ছে তারা বিএনপির সমর্থন পেলে এবং বিএনপির ভোটগুলো তাদের জন্য অনেকটা সহজ হবে।

এরকম যুক্তি দেখিয়ে তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে ভালো ফলাফল করার চেষ্টা করছে। একই কৌশল অবলম্বন করছে শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা টিম।

তবে আওয়ামী লীগের মাঝে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ বিএনপির থেকে। কারণ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সবাই ক্ষমতাবান। তারা প্রকাশ্যে প্রচারণা করছে। এই বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে হয় স্থানীয় এমপি নাহলে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মদদ দিচ্ছে। তাদের মদদের কারণে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছেন। প্রশাসনের সাথেও তাদের নানারকম সখ্যতা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এইসমস্ত বিদ্রোহী প্রার্থীরা যদি শেষপর্যন্ত নিজেদের বিজয়ের জন্য বিএনপির ভোট ব্যাংকের ভোট পেতে যদি তারা বিএনপির সাথে আঁতাত করে, তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর জন্য একটা বড় ধরণের সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ বিএনপি থেকে যে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়াবে, তাঁর নিজস্ব কোন ভোটব্যাংক নেই এবং বিএনপির ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেবেনা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে, তাদের একটা নিজস্ব বলয় এবং গ্রুপ রয়েছে। তাদের নির্দেশিত পথেই ভোট দেবে।

তবে নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিজস্ব ভোটব্যাংক এবং গ্রুপ রয়েছে তারা যদি মনঃস্থির করে যে তারা তাদের কাউন্সিলরকে জেতাবে এবং সেই কাউন্সিলরকে জয়ী করার বিনিময়ে তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিবে- এমনটা তারা করতে পারে। তবে শেষ বিচারে এই গোপন আঁতাতে কে বিজয়ী হয় সেটা দেখার বিষয়। কারণ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর একক শক্তির তুলনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের শক্তি এবং প্রচারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বিদ্রোহী প্রার্থী দুই দলের জন্যই বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সোয়া ১২টায় বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে বিএনপি মহাসচিবের গাাড়ি প্রবেশ করে। এক ঘণ্টা ৭ মিনিটে হা্ইকমিশন থেকে মহাসচিবের গাড়ি বেরিয়ে আসে।

বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সাথে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। 

ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে বিএনপির তিন নেতার সাথে হাইকমিশনারের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেছে। ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক। 

তবে বৈঠক শেষে বিএনপির নেতারা বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলেননি।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার   বিএনপি   আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী   শামা ওবায়েদ   সারাহ কুক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় কেন 'মাইম্যান' চান মন্ত্রী-এমপিরা?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কেউ মন্ত্রী হয়েছেন, কেউ সংসদ সদস্য। কেউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, এমনকি প্রেসিডিয়াম সদস্য। তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এই প্রভাবশালী নেতাদের এত আগ্রহ কেন? এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক মুখরোচক আলোচনা চলছে। অনেকেই এ নিয়ে কৌতুকও করেছেন। 

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এটি একটি নতুন উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, এমপি এবং নেতা-পাতি নেতারা এলাকায় নিজস্ব ব্যক্তিদেরকে শুধু প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন না, তাদেরকে নির্বাচিত করতে চাচ্ছেন। কেন মাইম্যানদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করতে আগ্রহী মন্ত্রী-এমপিরা?

এই প্রশ্নের উত্তরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, একাধিক কারণে উপজেলায় মাইম্যানদেরকে চাচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরা। প্রথমত, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভক্তি হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন সেখানে ওই প্রার্থীর বিরোধীপক্ষ নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছেন। সেই কারণে এলাকায় তাদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিরোধ এমপি-মন্ত্রীদেরকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। এ কারণে কর্তৃত্ব রক্ষার জন্য তারা নিজস্ব লোকজনকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য মাঠে নেমেছেন। 

দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষকে দমন। এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এখনও কোন্দলে বিভক্ত আওয়ামী লীগের যারা জিতেছেন বা হেরেছেন তাদের প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী। প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণটা অত্যন্ত জরুরী। আর এই কারণেই প্রতিপক্ষকে দমনের লক্ষ্যে উপজেলায় চোখ গেছে মন্ত্রী-এমপিদের।

তৃতীয়ত, দুর্নীতি এবং অনিয়ম। উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেক বরাদ্দ থাকে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে টেন্ডার এবং অন্যান্য কার্যক্রমগুলো উপজেলায় সংঘটিত হয়। আর একারণেই নিজের ব্যক্তি উপজেলার চেয়ারম্যান হলে এমপিদের পক্ষে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করাটা সহজ হয়। আর এ জন্যই তারা অন্য কারও ওপর ভরসা করতে পারছেন না। নিজের আত্মীয়স্বজনকে উপজেলায় বসিয়ে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করার ক্ষেত্র উন্মুক্ত করতে চাচ্ছেন।

চতুর্থত, ভবিষ্যতের রাজনীতি। যারা তাদের পুত্র এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য। এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পরের বার এমপি। বিশেষ করে যাদের বয়স বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজনীতিতে আগামীতে নাও থাকতে পারেন এমন আশঙ্কা রয়েছে, তারাই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সন্তান এবং নিকট আত্মীয়দেরকে রাজনীতির মাঠে নিচ্ছেন। যেমন- সাহাদারা মান্নান তার পুত্রকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যেন তিনি এমপি হতে পারেন। একই অবস্থা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের ক্ষেত্রেও। শাজাহান খানের ক্ষেত্রেও সে রকম একটি কৌশলই দৃশ্যমান হচ্ছে।

সবকিছু মিলিয়ে এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, প্রভাব বিস্তার এবং পুরো এলাকায় নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্যই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা এবার উপজেলার দিকে ঝুঁকেছে। উপজেলাগুলোর মাধ্যমে তাদের নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার অভিযান শুরু করেছেন মন্ত্রী-এমপিরা। এখন দেখার বিষয়, উপজেলায় মাইম্যান বসিয়ে মন্ত্রী-এমপিরা কি অর্জন করতে পারেন।

উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পরিবারতন্ত্রের কবলে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জোর প্রচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন এলাকায় মন্ত্রী এমপিরা তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে ক্ষমতার শিকড় আরও গভীর করতে চাইছেন। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চাইছেন। 

প্রায় অর্ধশত এমপি তাদের নিকট আত্মীয়কে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন এবং তাদের জন্য নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছেন। এর ফলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামা, ভাগ্নেসহ আত্মীয় স্বজনও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং এ সমস্ত আত্মীয় স্বজনকে জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এমপি ও নেতারা তাদের অনুগতদের মাঠে নামিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যদি তাদের আত্মীয় স্বজনরা বিজয়ী হন তাহলে ওই সমস্ত উপজেলা গুলোতে আওয়ামী লীগ থাকবে না, সেখানে পরিবার লীগ প্রতিষ্ঠিত হবে। 

তবে ইতোমধ্যে পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে কঠোব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। উপজেলা নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–এমপিদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা ভোটে অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন দেখার বিষয় যে, যে সমস্ত মন্ত্রী–এমপিদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তারা এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মানেন কিনা কিংবা নির্বাচন থেকে সরে যান কিনা। 

বগুড়ার সারিয়াকান্দি এবং সোনাতলা উপজেলায় এমপি সাহাদারা মান্নান তার ছেলে সাখাওয়াত সজল হোসেন এবং ছোট ভাই মিনহাজ জাহানকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। সোনাতলার প্রার্থী হচ্ছেন ছোট ভাই আর সারিয়াকান্দিতে প্রার্থী হয়েছেন তার ছেলে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র কোন্দল এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সাহাদারা মান্নান বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি এবং এই দুই উপজেলায় যদি তার ভাই এবং ছেলে চেয়ারম্যান হন তাহলে বগুড়া-১ আসনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। 

টাঙ্গাইলে-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলায় দুইজন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনীত করছেন। এই প্রার্থীরা তার ঘনিষ্ঠ এবং মাইম্যান হিসাবে পরিচিত। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ধনবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এই লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার আপন খালাতো ভাই এবং নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী করেছেন। 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় লুৎফুল কবির হাবিবকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের শ্যালক। 

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নিজের ছেলে আসিবুর রহমান খানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। 

এই সমস্ত এলাকাগুলোতে যখন শ্যালক এবং সন্তানরা বিজয়ী হবে তখন তাদের একক রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। 

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের ছেলে সাদাত মান্নানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এম এ মান্নান নিজেও বিভিন্ন আয়োজনে ছেলের পক্ষে প্রচারণা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে সুনামগঞ্জে মান্নান তন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা এবারও প্রার্থী। তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। একই উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে যুবলীগের নেতা ফজলে রাব্বি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। 

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন। তিনি মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাহবুব উল আলম হানিফ এর চাচাতো ভাই আতাউর রহমান বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি আবারও নির্বাচন করছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলীকে, সুবর্ণচর উপজেলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলের হয়ে প্রচারণা অংশগ্রহণ করছেন। 

নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী এলাকা। তার নির্বাচনী এলাকায় এমপিরা পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন।

মৌলভিবাজার বড়লেখা উপজেলায় নির্বাচনে ভাগ্নে সোয়েব আহম্মেদকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মৌলভিবাজার-১ আসনের এমপি সাহাবুদ্দিন। 

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগর তার নির্বাচনী এলাকা দামুরহুদা উপজেলায় আপন ভাই আলী মনসুর বাবুকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন। 

নরসিংদী-৩ আসনে এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার নির্বাচনী এলাকা শিবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হবেন তার স্ত্রী ফেরদৌসি ইসলাম। তিনি তাকে সমর্থন জানাবেন। 

এভাবে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পল্লবিত হচ্ছে পরিবারতন্ত্র। আগে ‘মাইম্যান’ কে বসানো হত, এবার সেই লজ্জা শরমের মুখোশ খুলে ফেলে আওয়ামী লীগের এমপি এবং মন্ত্রীরা তাদের নিজের আত্নীয় স্বজনকেই উপজেলা চেয়ারম্যান করতে চাচ্ছেন এলাকায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটি কীভাবে প্রতিহত করেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

পরিবারতন্ত্র   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এমপি-মন্ত্রী পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবেন না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৫:২৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের কেউ প্রার্থী হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দল বহিষ্কারাদেশসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, শুধু সন্তান, পরিবার বা নিকটাত্মীয় ছাড়াও মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রকাশ্যে বা গোপনে উপজেলা নির্বাচনে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে নিজের প্রভাব বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা আত্মীয়–পরিজন ছাড়াও ‘মাই ম্যান’ তৈরি করার লক্ষ্যে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছেন। এতে দলের তৃণমূলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও ব্যবহারের চেষ্টা করছেন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। এ জন্যই কড়া অবস্থান।

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল।

আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, এ ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ এপ্রিল, বাছাই ২৩ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। এই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, দেশের ৪৮১টি উপজেলায় চার ধাপের নির্বাচন শুরু হবে ৮ মে, শেষ হবে জুনের প্রথম পক্ষে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে প্রকাশ্য বিদ্রোহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে প্রকাশ্য বিদ্রোহ দেখা দিচ্ছে বিএনপিতে। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, দল সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে শুধুমাত্র প্রথম পর্যায়ের জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিল সমাপ্ত হয়েছে। 

প্রথম পর্যায়ে যে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৯৭ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির এই নেতারা এখন কিছুতেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে রাজি নন। বরং তারা বলছেন যে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী এবং অমর্যাদাকর।

বিএনপির যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের বক্তব্য হচ্ছে যে, তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন না। উপজেলা নির্বাচন দলগতভাবে হচ্ছে না। আর একারণেই উপজেলা নির্বাচনে যদি তারা অংশগ্রহণ করে সেজন্য দল তাদেরকে বাধা দিতে পারে না। বিএনপির যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বক্তব্য হল সুস্পষ্ট। তারা বলছেন যে, যদি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নির্বাচন হতো এবং দলের জন্য মনোনয়নের ব্যবস্থা করা হত তাহলে এই নির্বাচনে বিএনপির নেতাদেরকে নির্দেশনা দেওয়ার একটা বিষয় ছিল। কিন্তু যেহেতু তারা স্বউদ্যোগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন সেজন্য এই নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রের কোন নির্দেশনা থাকা উচিত নয় বা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা দিতে পারেন না। 

প্রথম ধাপে ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে ১৫২টি উপজেলার নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিন থেকে চারজন প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপির যারা নির্বাচনে ইচ্ছুক তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। বিভক্ত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একক বিএনপি প্রার্থী উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এবং এটি সংগঠনের জন্য লাভ হবে বলে অনেকে মনে করছেন। 

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এরকম অন্তত দু জনের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে। তারা বলছেন যে, বিএনপি কোনো রকম বিচার বিবেচনা ছাড়া এবং বাস্তবতাকে উপলব্ধি না করেই নির্বাচনের ব্যাপারে একতরফা এবং অবাস্তব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই৷ এমনিতেই বিএনপির সংগঠনের অবস্থা নাজুক। নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে জেলে, অনেকে পলাতক। এরকম অবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন সংগঠন শক্তিশালী করার একটি বড় ধরনের উপায় বলে অনেকেই মনে করছেন। আর এ কারণেই তারা কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এবং এ নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

বিএনপির অনেক নেতা স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দল চাঙা হত এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানো যেত। আর এ কারণেই তারাও উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না গ্রহণ করার পক্ষে। তবে বিএনপির বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের নেতা যারা আগ্রহী আছেন তারা বলেছেন যে, বিএনপি যদি তাদেরকে হবিষ্কারও করে তাহলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তারপরও তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি।

বিএনপি   বিদ্রোহ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন