নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২০
আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। তৃতীয় মেয়াদে ১ বছর পূর্ণ করেছে গত ৭ জানুয়ারি। এরমধ্যে মন্ত্রিসভার কোন বড় ধরণের রদবদল হয়নি। ছোটখাটো বিন্যাস হয়েছে দু দফায়। তবে এবার মন্ত্রিসভায় বড় ধরণের রদবদল হচ্ছে এমন আভাস পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণ সূত্রে। এই মন্ত্রিসভার রদবদল জানুয়ারি মাসে করার কথা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকারের বর্ষপূর্তিতে মন্ত্রিসভার পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে একটি রদবদল করার চিন্তাভাবনা করেছিলেন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে এই মন্ত্রিসভার রদবদল পিছিয়ে গেছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে সিটি নির্বাচেনের পর মন্ত্রিসভায় একটি রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই রদবদলে মন্ত্রিসভায় বড় ধরণের কোন বাদ পড়ার ঘটনা ঘটবে না বলেই আভাস পাওয়া গেছে। যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এরকম কয়েকজন মন্ত্রীকে সরিয়ে সেখানে নতুন মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে অথবা মন্ত্রণালয়গুলোতে একজন করে প্রতিমন্ত্রী দিয়ে কাজের গতি আনার চেষ্টা করা হতে পারে বলে সরকারের নীতি নির্ধারকরা নিশ্চিত করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, মন্ত্রিসভায় গত এক বছরের যে কার্যক্রম তাতে প্রধানমন্ত্রী খুব একটা অসন্তুষ্ট নন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞতা এবং নতুন দায়িত্ব পালনে এক ধরণের আড়ষ্টতা ছিল। তবে মন্ত্রীরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন সরকারের যে উন্নয়নের ধারা এবং অগ্রযাত্রা সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তবে সবক্ষেত্রেই যে সরকার এটা পেরেছে এমনটা মনে করা হচ্ছে না।
তবে কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বের ব্যর্থতার কথা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘরোয়া আলাপ আলোচনায় বলেছেন। এই সমস্ত মন্ত্রণালয়গুলোই মূলত রদবদলের প্রধান টার্গেট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার রদবদলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পরিবর্তন বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে একটি সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে। বিশেষ করে গত কয়েকমাসে যাদের পারফর্মেন্স ভালো ছিল এরকম কয়েকজন পদোন্নতি পেতে পারেন। যেমন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গত মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে পালন করছেন। এই মেয়াদেও তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেছেন। এইজন্য তাকে পূর্ণমন্ত্রী করে অন্য কোন মন্ত্রণালয়ে দেবার বিষয়টি একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে।
এছাড়াও সদ্য আওয়ামী লীগের পদ হারানো এনামুল হক শামীম, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এবং নওফেল চৌধুরী পদন্নোতি পেতে পারেন বলে একাধিক সূত্র আভাস দিচ্ছে। দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এনামুর রহমানও পদন্নোতি পেতে পারেন এমন আভাস পাওয়া গেছে। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আসবে এবং মন্ত্রিসভার আকার বড় হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র। তবে মন্ত্রিসভায় যারা নতুন জায়গা পাবেন, তাদের মধ্যে একটি বড় অংশই থাকবে আওয়ামী লীগের তরুণ এবং মেধাবীরা। যারা সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সঙ্গে এবং এবার আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত হয়েছেন।
তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার রদবদলে সবথেকে বড় আলোচিত বিষয় হচ্ছে আওয়ামী লীগের যারা হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন তারা মন্ত্রিসভায় নতুন করে আসবেন কিনা। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরীর মতো হেভিওয়েট নেতারা এবার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। অবশ্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু এবং মোহাম্মদ নাসিম ২০০৮ এর মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন না, ২০১৪ তে তাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এবার তাঁরা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন কি হবেন না এই নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা চলছে।
একটি সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে, শেষ পর্যন্ত হয়তো হেভিওয়েট দু-একজনকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে, তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, এই ব্যাপারে এখনো সরাকারের নীতিনির্ধারকরা আগ্রহী নন। তবে তাঁরা অন্তর্ভুক্ত হোক বা না হোক, মন্ত্রিসভার আকার যে বড় হচ্ছে তা মোটামুটি নিশ্চিতই বলা যায়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলের পর মন্ত্রিসভার রদবদলের চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে যে, মন্ত্রিসভার রদবদলের এখতিয়ার সম্পুর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এই রদবদলের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় কোন মন্ত্রীর থাকা না থাকা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়।
মন্তব্য করুন
কিংস পার্টি সরকার শমসের মবিন চৌধুরী মেজর হাফিজ বিএনপি তৈমুর আলম খন্দকার
মন্তব্য করুন
বিএনপি কিংস পার্টি মেজর হাফিজ সাকিব আল হাসান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
সংযমের এই রমজান মাসে ইফতার পার্টির নামে বিএনপি গিবত পার্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এবং কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গিবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গিবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
বিএনএম সাকিব আল হাসান মেজর হাফিজ
মন্তব্য করুন
সদ্যই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ ক্রিকেটের রত্ন সাকিব আল হাসান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন নিয়ে হয়েছেন মাগুরা-১ আসনের এমপি। তবে এরই মাঝে ভিন্ন এক সমালোচনার জন্ম নিয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।
গুঞ্জন উঠেছে, দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্বে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সাবিকের এমন কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছে। এর আগে সে কোনো দল করেছে কি না সেটা আওয়ামী লীগের কাছে বিবেচ্য নয়।
কাদের আরও বলেন, নমিনেশন চাওয়ার আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে।
তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া সরকারে কেউ ক্ষমতা বসাতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অনেকেই মনে করে যে, সরকারের পৃষ্টপোষকতায় কিংস পার্টিগুলো গঠিত হয়েছিল। তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম গঠনের পিছনে সরকারের মদদ এবং সমর্থন ছিল বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। কিন্তু সেই মদদ এবং সমর্থন শেষ পর্যন্ত টেকেনি। কিংস পার্টি গঠনের ব্যাপারে শুরুতে সরকারের লোকজন যেভাবে আগ্রহী ছিল, পরবর্তীতে তাদের মধ্যে সে আগ্রহ থাকেনি। বিএনএম এবং তৃণমূল বিএনপির অনেক নেতাই ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় বলেছে, সরকার গাছে তুলে মই সরিয়ে নিয়েছে।
মেজর হাফিজ এবং সাকিব আল হাসানের ভাইরাল ছবির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে নির্বাচনের আগে বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। তারা বিএনএম বা কিংস পার্টি গঠনেও তৎপর ছিলেন। মেজর হাফিজ সুবিধা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বিএনএমে যোগ দেননি। এখন তিনি আবার সাচ্চা বিএনপির সাজার একটি নাটক করছেন। তবে সুযোগ সুবিধা পেলে কে কি করতে পারে তার একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনের ছবিতে।