নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২০
নির্বাচন আচারণবিধির যাতাকলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো নয়ই দলের কোনো মন্ত্রী-এমপি পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না।
কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ অনেক নেতা ঢাকার ভোটার। এজন্য ভোটের দিন তারা সাধারণ ভোটার হিসেবে ভোট দেবেন। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় প্লাস পয়েন্ট বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কারা ঢাকার ভোটার এবং কে কোন এলাকায় ভোট দেবেন?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার ভোটার। তিনি ধানমন্ডি-৫ নম্বরের সুধাসধনের বাসার ঠিকানার ভোটার। তাই এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও তিনি ঢাকা দক্ষিণে ভোট দেবেন।
এইচ টি ইমাম
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামও ঢাকার ভোটার। রাজধানীর গুলশাল এলাকা থেকে তিনি ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত। তাই এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি গুলশাল অর্থাৎ ঢাকা উত্তরে ভোট দেবেন। এই নির্বাচনে তিনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় যে নেতৃবৃন্দ গেছে তার অধিকাংশগুলোতে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবারের নির্বাচনে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবার নির্মোহ এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে। যে কারণে আওয়ামী ও বিএনপি উভয়ই দলই সমান প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই সিটিতে আইন শৃঙ্খলার যেনে কোনো অবনতি না ঘটে সেজন্য দফায় দফায় বৈঠক করেছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করলে কি হবে এবার নির্বাচনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও ভোটার। আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভোটার। আর নির্বাচনে তিনি সেখানেই ভোট দেবেন বলে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক
জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের সদ্য প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি এমপি বা মন্ত্রী না হলেও অসুস্থ্যতার জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি বেশ কিছুদিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবার তাকে দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকার মোহাম্মদপুরের ভোটার। আর এবার নির্বাচনে তিনিও ভোট দেবেন ঢাকা উত্তরের জন্য।
অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন
অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমপি হওয়ার কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। কিন্তু ভোটার হিসেবে তার নাগরিক অধিকার ভোট দেওয়া। তিনি ঢাকার উত্তরের বাসিন্দা হিসেবে তারা ভোটধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
কাজেই দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও ভোটের দিন তারা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং ভোট দেবেন। আর সেটা নির্বাচনের ওপর কি প্রভাব ফেলবে সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন