নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০
নিজ এলাকার হাসপাতালের সমস্যার সমাধান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব লাভের পর নিঃসন্দেহে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির এই সংসদ সদস্য।
প্রশ্ন করার সময় প্রথমেই হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রকৃত বিরোধী দলের সদস্য আমি।’ এসময় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যসহ সরকারি দলের সদস্যরা প্রতিবাদ জানায়। তিনি তার জন্য নির্ধারিত যুবসমাজ সম্পর্কিত সম্পূরক প্রশ্ন না করে তার নির্বাচনী এলাকার সরকারি হাসপাতালের দুরবস্থার প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার জেলা সদর হাসপাতালটি ২০০৩ সালে…। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে সম্পৃরক প্রশ্ন করতে বললে সংসদ সদস্য হারুন বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করব।’ এ সময় সংসদ কক্ষে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এমনকি প্রশ্নকর্তা নিজেও হাসেন।
এরপর বিএনপির সংসদ সদস্য বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরপর তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভের পর নিঃসন্দেহে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। সমৃদ্ধি অর্জন করেছে-কোনো সন্দেহ নেই।’ এ সময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে তার বক্তব্যকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, ‘বৃহত্তর অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে-এতে কোনো সন্দেহ নেই । কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দীর্ঘসূত্রিতার জন্য আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। একারণে বিশেষ করে তরুণ সমাজ আমার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে যে, সারা বাংলাদেশের সত্যিকারের কী অবস্থা! মন্ত্রী-এমপি আমরা প্রটোকল নিয়ে চলাচল করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ছাড়া একটি টিম নিয়ে ঢাকা শহরে একদিন চলাফেরা করেননি। কী অবস্থায় আমরা আছি! কী অবস্থা চলছে! যুব সমাজের প্রতিক্রিয়া কী, যুব সমাজের বর্তমান ভাবনা টা কী একটু দেখুন।’
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী একগাল হেসে বলেন, ‘একটা কথা আছে-ধান ভানতে শিবের গীত। মাননীয় সংসদ সদস্য সেই ধান ভানতে শিবের গীত গাইছেন। যে ধরনের সম্পূরক প্রশ্ন করার কথা, সেই যুবসমাজ থেকে তিনি স্বাস্থে চলে গেছেন। তবে স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। উনি একটা প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু করতে পারেননি। তার প্রশ্ন থেকে আমি যা বুঝে নিয়েছি, তা হলো উনার এলাকার হাসপাতালে জনবলের অভাব। এই সমস্যাটা সব জায়গায় হচ্ছে। তবে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আছেন। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ’ আমি প্রটোকল নিয়ে চলি। সিকিউরিটি ব্যবস্থা আছে। সমস্যা আছে এটাও যেমন ঠিক, আবার একেবারে এটাও ঠিক নয় যে, দেশের অবস্থা আমি জানি না। কারণ আমি সব দিকে নজর রাখার চেষ্টা করি। তিনি বলছেন, আমি যেন ভালোভাবে লক্ষ্য রাখি। আবার যখন দেখে বেশি কাজ করি, তখন প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রীকেই কেন সব কাজ করতে হবে? কেন দেখতে হবে? এটাও আবার শুনতে হয়। তবে আমি মনে করি যেহেতু আমি দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, তাই সব দিকে নজর দেয়াটা আমার দায়িত্ব। এটা আমার কর্তব্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের যুব সমাজের জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ-এসব দূর করে তারা যাতে সুস্থ জীবনে ফিরে আসে, সে ব্যাপারে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
‘১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর আমাদের দেশে কী অবস্থা ছিল? জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছিল। এই সমাজকে বিপথে ঠেলে দেয়া, মাদক-এগুলো তাদের মূল বিষয় ছিল। এজন্য অনেক মেধাবী ছেলে যারা এসএসসিতে প্রথম হতো তাদের এক হাতে পুরস্কার, অন্য হাতে অস্ত্র অর্থ দিয়ে বিপদে ঠেলে দেয়া হতো। জীবনে তারা আর কিছু করতে পারত না। তারা এভাবে হারিয়ে যাক তা আমরা চাই না।’
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।