নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতন, নিপীড়ন ও গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে মিয়ানমার। সারাবিশ্ব বলছে মিয়ানমারকে বয়কট কর, মিয়ানমারের সঙ্গে সব ব্যবসা বন্ধ কর। আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিসি) রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পক্ষ ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরাতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর ফলে মিয়ানমার যখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হাঁসফাঁস করছে ঠিক তখনই মিয়ানমারের জন্য এক পশলা সুবাতাস নিয়ে হাজির হলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করা মিয়ানমারের একটি সংস্থাকে (প্রক্সিমিটি ডিজাইনস) ১৭ কোটি টাকা ঋণ দিল ইউনূসের গ্রামীন ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল (জিসিএ) ফাউন্ডেশন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূস যেটা করেছেন সেটা মিয়ানমারের জন্য শুধুমাত্র ঋণ নয়, বরং ধুঁকতে থাকা মিয়ানমারকে বিপুল শক্তির যোগান দেওয়া।
ইউনূস সবসময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি সারা বিশ্বে মিথ্যাচার করে বেরিয়েছেন। পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির মিথ্যা গল্পের ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন তিনি। তার কথাতেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল বিশ্বব্যাংক। এই ইউনূসই বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের স্বার্থহানি করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লবিং চালিয়েছেন। আর আজ যখন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠেছে, তখনও নিজ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধেই দাঁড়ালেন ইউনূস।
গ্রামীন ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল (জিসিএ) ফাউন্ডেশন নামের যে প্রতিষ্ঠানটি মিয়ানমারের প্রক্সিমিটি ডিজাইনসকে ঋণ দিয়েছে সেটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন ড. মোহাম্মাদ ইউনূস। এর সদরদপ্তর লুক্সেমবার্গে। ২১টি ব্রাঞ্চ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটির।
দেশ বিদেশ থেকে কোটি কোটি ডলার অনুদান পাওয়া ইউনূস মিয়ানমারে ঋণ বিতরন করতে গেলেন অথচ দেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য তিনি কিছুই করলেন না। সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয় হলো, সারা বিশ্বের শান্তিকামী জনতা যখন মিয়ানমারের শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে। তখন শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূসকে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পক্ষে বিশ্বমঞ্চে একটা শব্দও উচ্চারণ করছেন না। যিনি পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে গলা ফাটাতে পারেন, তিনিই কেমন করে রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে চুপ থাকতে পারেন সে প্রশ্ন উঠছেই। উল্টো তিনি মিয়ানমারকে ঋণ দিয়ে বিশ্বমঞ্চে এই দেশটির পক্ষেই নিজের অবস্থান জানান দিলেন। একই সঙ্গে রক্তপীপাসু সু চির পাশেই দাঁড়িয়ে গেলেন ইউনূস।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিষয়ে নিশ্চুপ থাকায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নোবেল কেড়ে নেওয়ার দাবি উঠছে বিশ্বজুড়ে। ঠিক সেই একই কারণে ইউনূসের নোবেলও কেড়ে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন অনেকেই।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, যারা শান্তিতে নোবেল জয় করে বিশ্ববাসী আশা করে যে, তারা মানবতার পক্ষে দাড়াবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলবে। সেটা না করে এই নোবেল জয়ীরাই যখন নৃশংস, নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে তখন প্রশ্ন জাগে নোবেলজয়ী শব্দটা তাদের নামের সাথে থাকলেও সেটার আসলেই কী কোনো মূল্য আছে? ধিক্কার ইউনূস, সু চিদের মতো তথাকথিত নোবেলজয়ীদের, যাদের কাছে মানবতা বড় নয়, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করাটাই যাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।