নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত অনেকেই প্রেম করে বিয়ে করেছেন। রাজনীতির বাইরে তারা সফল প্রেমিকও। রাজনীতির বাইরে আজ ভালোবাসা দিবসে জানানো হলো তাদের প্রেমের খবর:
তোফায়েল আহমেদও প্রেম করে বিয়ে করেছেন
তোফায়েল আহমেদও প্রেম করে বিয়ে করেছেন। ১৯৬৪ সালে ভোলা শহরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের আলহাজ মফিজুল হক তালুকদারের জ্যেষ্ঠ কন্যা আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তিনি পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তারা এক কন্যাসন্তানের জনক-জননী। তাদের কন্যা তাসলিমা আহমেদ জামান মুন্নী চিকিৎসক, জামাতা জনাব তৌহিদুজ্জামান তুহিন খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্ট, বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে কর্মরত।
স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে তোফায়েল আহমেদের পরিবারে ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। নিজের বাড়িতে থাকতে পারেননি। তোফায়েল আহমেদ যখন কারাগারে, স্ত্রীকে কেউ বাড়ি ভাড়া দেয়নি। কিন্তু সেসব দু:সময়ে স্ত্রীকে পেয়েছেন প্রকৃত লড়াকু নারীর চরিত্রে। ভেঙ্গে পড়েননি, দুর্বল করেননি স্বামীকে। সন্তানকে নিয়ে কষ্টেশিষ্টে দিন কাটালেও স্বামীর রাজনীতিতে বাধা দেননি।
৭-৮ বছর একসাথে চলার পর শিল্পী শেরিফাকে বিয়ে করেন কাদের
১৯৭৬ সালে জিএম কাদের বিয়ে করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের শিল্পী শেরিফাকে। পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে শেরিফার সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। এরপর প্রণয়। ৭-৮ বছর একসাথে চলার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। বড় ভাই এইচ এম এরশাদ তখন তার পাশে এসে দাঁড়ান। বিয়ের পর ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে নিজের বাসায় তোলেন। তখন তিনি যমুনা অয়েলে চাকরি করেন। প্রমোশন পেয়ে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের হন জিএম (জেনারেল ম্যানেজার)। যা তার নামের প্রথম অংশের সঙ্গে বেশ শোভা পেতো। তারপর প্লানিং ও অপারেশন ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। ততদিনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু উলট-পালট হয়ে যায়। জিএম কাদেরও আস্তে আস্তে রাজনীতিতে জড়ান।
পরশের অনেক আগেই রাজনীতিতে সক্রিয় যুথী
শেখ পরিবারের উত্তরাধিকারী পরশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে কলরাডো স্টেট ইউনির্ভাসিটি থেকে স্নাতকোত্তর করে দীর্ঘদিন শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় সংস্কৃতিমনা পরশ গান বাজনার প্রতিও বেশ সৌখিন। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। বর্তমানে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল’অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুলা) এর সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। পরশ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন বেশিদিন না হলেও তার স্ত্রী অনেকদিন থেকেই রাজনীতিতে। রাজনীতি শুরু করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময়। শুরুটা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আইন বিভাগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। যদিও কার্যক্রম পরিচালনা করা তখন প্রায় অসম্ভব ছিল। কেননা সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের তাণ্ডব চলত। পড়াশুনা শেষে সুপ্রিম কোর্টে এসে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। এক-এগারোর রাজনৈতিক সংকটকালে বারের নেতৃত্বে ছিলেন। অনেক চাপ মোকাবেলা করতে হয়েছে, এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা ফৌজদারি মামলা হয়। কারণ এক-এগারোর সেই কলঙ্কিত সময়ে মার্শাল ল’কে চ্যালেঞ্জ করে যুথিসহ সুপ্রিম কোর্টের তিন ট্রেজারার মামলা করেছিলেন। এছাড়া রাজপথের আন্দোলনে তো ছিলেনই। ।
বিদেশিনী নওফেলের প্রেমে চট্টগ্রামে
মহিবুল চৌধুরী নওফেলের বিয়েটা বেশ আলোচিত ছিল। কারণ ঐতিহ্যবাহী পরিবারের এ সন্তান বিদেশিনী বিয়ে করেছিলেন। বিদেশিনী পুত্রবধূকে করে ঘরে তুলেছেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আর এ বিয়েতে বরপক্ষ সাক্ষী হয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়র এম মন্জুর আলম। বিয়ের আগে পবিত্র কলমা পড়ে মুসলমান হন নওফেলের দীর্ঘকালীন প্রেমিকা এমা, ধর্মান্তরের পর থেকে শ্বশুর মহিউদ্দিন যার নাম দিলেন সিতারা। আক্দ এর পর থেকে সিতারা মহিবুল হাসান চৌধুরী নামেই পরিচিতি পেয়েছেন এমা।
লন্ডনের `ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার` এ পড়তে গিয়ে বিয়ের আট বছর আগে নওফেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয় এমার। দীর্ঘ সম্পর্কের সূত্র ধরে ব্যারিস্টার নওফেল শেষ পর্যন্ত সামাজিক-ধর্মীয় রীতি মেনে বন্ধনে আবদ্ধ হন ব্যারিস্টার সিতারার সঙ্গে। লন্ডনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। বিয়ের আগে তিন দিন নওফেলের ভগি্নপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর খুলশীর বাসায় ছিলেন এই বিদেশিনী। হাতে মেহেদির রঙ, পরনে সেলোয়ার-ওড়না নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এমা। ঘরে ঢুকতেই বাঙালি রেওয়াজে শ্বশুর-শাশুড়ির পদধূলি নেন তিনি। অতঃপর বাড়ির ছাদে জোহরের নামাজ শেষে কলমা পড়ে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর পুত্রবধূ হওয়া সিতারাকে নগদ দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোয়া চেয়েছেন। তবে নওফেল বিয়ে উপলক্ষে ধুমধাম কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করেননি। বিয়ে উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজন করছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। নওফেল- সিতারা এখন দুই সন্তানের জনক-জননী।
পার্থ- সায়রাও প্রেম করে বিয়ে করেছেন
পার্থ বিয়ে করেছেন ২০০০ সালের মার্চে। পূর্ব আত্মীয়তার সূত্রধরেই বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা শেখ হেলালের মেয়ে শেখ সায়রা রহমানকে বিয়ে করেন তিনি। এই দম্পতির তিন সন্তান। পার্থ নানা সময়ে বলেছেন, তাদের প্রেম ছিল। তবে ঠিক কতদিন প্রেম ছিল সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
অসীম–অপুর সম্পর্কের নেপথ্যে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য (নেত্রকোনা-৩) অসীম কুমার উকিল তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সঙ্গে সংসার করছেন ২৭ বছর ধরে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করা অবস্থায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৯৩ সালে বিয়ে করেন। বড় ছেলে শায়ক উকিল যুক্তরাষ্ট্রে আর ছোটছেলে শুদ্ধ উকিল কানাডায় পড়ালেখা করছেন।
রাজপথে মিটিং-মিছিল করতে গিয়ে অপুর সঙ্গে অসীমের সঙ্গে পরিচয়। ১৯৮৯-১৯৯৩ কমিটিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অসীম। তখন অপু বদরুন্নেসা কলেজ শাখার সভাপতি। সম্পর্ক শুরুটা তখনই। অনার্স প্রথম বর্ষে পড়া অবস্থায় একদিন ওবায়দুল কাদের বলেন- আমি তোমার বিয়ের পাত্র ঠিক করে ফেলেছি। হিন্দু মেয়েরা এমনিতে রাজনীতিতে আসেই না, আসলেও বেশিরভাগই বিয়ের পরে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু আমি চাই তুমি রাজনীতিতে থাকো। সেজন্য একজন রাজনীতিবিদ ছেলে ঠিক করেছি।’
ওবায়দুল কাদের একইরকম কথা অসীমকেও বলেছিলেন। ‘আমি তোমার জন্য পাত্রী ঠিক করে রেখেছি। অনেক সময় স্ত্রীরা রাজনীতি করতে দিতে চায় না। তাই আমি এই রাজনীতিবিদ মেয়েটিকে ঠিক করেছি তোমার জন্য।’ বলেছিলেন কাদের। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক এই জুটির বিয়ে নিয়ে প্রথম অপুর বাবা-মামার সঙ্গে কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের ও আব্দুর রাজ্জাকই দুই পরিবারে সম্মতি নেন।
অপু জানিয়েছেন, ‘দুইজনেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে যে কোনও অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যেতে পারি। এভাবে রাজনীতির পাশাপাশি একে অপরকেও সময় দেওয়াও হয়ে যায়। দুই ভিন্ন পেশায় থাকলে হয়তো এই সুবিধাটা পাওয়া কঠিন হতো।’
তন্ময়ের স্ত্রী শিক্ষিকা
সুদর্শন, বিনয়ী, তেজোদীপ্ত ও তারুণ্যের প্রতীক শেখ সারহান নাসের তন্ময় শেখ পারিবারের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য। বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে আসা এ তরুণ বাগেরহাট-২ আসন থেকে একাদশ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তন্ময় লন্ডন থেকে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে ২০১৫ সালে বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম শেখ ইফরাহ তন্ময়। তন্ময়ের স্ত্রী একজন শিক্ষক। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বলে জানা যায়।
রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই সাকি-তাসলিমার পরিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র ফেড়ারেশনের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন জোনায়েদ সাকি ও তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ককারী সাকি আর বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা বিয়ে করেন ২০০০ সালে। তাদের কোনও সন্তান নেই। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই তাদের কাছে পরিবারের মত। এখনো এই জুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিতই আড্ডা দেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।