ইনসাইড পলিটিক্স

ধানমন্ডিতে তাপসের আসনে মহিউদ্দিনই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

শেখ ফজলে নূর তাপসের ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১০ আসনে (ধানমন্ডির আসনে) মনোনয়ন পেয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে গণভবনে দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বাংলা ইনসাইডার এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি  মহিউদ্দিনই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিরোনামে খবর প্রকাশ করে। বাংলা ইনসাইডারই প্রথম খবর প্রকাশ করে কে মনোনয়ন পাচ্ছে ধানমন্ডির আসনে। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি  মহিউদ্দিনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন শিরোনামে ফের সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, তাপসের আসন শূন্য হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। এজন্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে অনাগ্রহ ছিল। অনেকে সাঈদ খোকনের মনোনয়ন কেনা দেখে ভেবেছিলেন হয়তো চমক আসছে। তবে তখন বাংলা ইনসাইডার সাঈদ খোকনকে নিয়ে বিব্রত আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা থেকে স্পষ্ট পাঠকদের জানানো হয়েছে কে পাচ্ছেন ঢাকা ১০ আসনের মনোনয়ন। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপও থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তরসম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


উপজেঃলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: জয়পুরহাটে ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ১২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। প্রথম ধাপে জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কালাই উপজেলায় মোট ১৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদারের সহধর্মিণী সাবিনা ইয়াসমিন।

এদিকে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, আতাউর রহমান তালুকদার, আব্দুল আলীম সরদার, গোলাম মোস্তফা, ছানোয়ার হোসেন, জহুরুল ইসলাম মন্ডল, ইউসুফ আলী সাজু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মরিয়ম নেছা, মেরিনা খাতুন ও সাবানা আক্তার।

ক্ষেতলাল উপজেলায় মোট ১৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাইফুল ইসলাম তালুকদার, ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার, নির্দলীয় প্রার্থী নাজ্জাসী ইসলাম ও আসলাম হোসেন। এদের মধ্যে দুলাল মিয়া সরদার ও আসলাম হোসেন সম্পর্কে পিতা-পুত্র বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এদিকে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এসএম তুহিন ইসলাম, মতলুব হোসেন, সাজ্জিব মন্ডল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফিয়া খাতুন, খোতেজা বেগম, নূরবানু খাতুন, নূরুন্নাহার গুন্নাহ, রহিমা আক্তার ও সামিমা আখতার।

আক্কেলপুর উপজেলায় মোট ১১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকছেদ আলী মন্ডল, জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহসভাপতি ও আক্কেলপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল পরিচালক নুরুন্নবী আরিফ ও আক্কেলপুর পৌর যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ।

এদিকে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মজনু মন্ডল, আব্দুর রাহিম, জাকির হোসেন, টুটুল হোসেন, তাইজুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা, ইসমত আরা ও আছিয়া খানম সম্পা।

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলায় ১১জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১৫জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১২জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।


উপজেলা নির্বাচন   মনোনয়ন   চেয়ারম্যান   ভাইস চেয়ারম্যান   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   অনলাইনে মনোনয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপি-জামায়াত নেতারাও হচ্ছেন প্রার্থী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের বেশ কয়েকটিতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতা। তারা অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করে আসছে বিএনপি ও জামায়াত। কিন্তু এবার নির্বাচন বর্জনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই ওইসব উপজেলায় দল দুটির নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। তবে কত উপজেলায় মোট কতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি।

গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৫০টি উপজেলায় মোট ১৮৯০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই বাগেরহাট সদর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২টি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। 

বাগেরহাট সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হতে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন। এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিজিয়া পারভীনও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এর আগের নির্বাচনেও তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন। তবে এ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিছুজ্জামান আনিস একক প্রার্থী হিসাবে আবারও নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার জয় পেতে যাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া কক্সবাজার সদর ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

এছাড়াও কুষ্টিয়া সদর, চাঁদপুরের মতলব উত্তর, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও ঠাকুরগাঁওর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।

প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ১৮৯০ জনের মনোনয়নপত্র দাখিলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, ‘অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল হওয়ায় কোথাও উল্লেখ করার মতো আচরণবিধি লংঘনের খবর পাওয়া যায়নি। প্রার্থীরা সহজেই অনলাইনে আবেদন করতে পেরেছেন’।  

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এবারই প্রথম পুরোপুরি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরগুলোতে শোরগোল ছিল না, আচরণ বিধিমালা লংঘনেরও খবর পাওয়া যায়নি। গত নির্বাচনে অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। তখন অনলাইনে তেমন সাড়া মেলেনি।

তারা আরও জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ জমা হওয়া মনোনয়নপত্র আগামীকাল বুধবার যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাছাইয়ে বৈধ বা বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮-২০ এপ্রিল। ওইসব আপিলের ওপর শুনানি হবে ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। নির্বাচনি এই প্রক্রিয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমবে। তখন একক প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে।

তারা জানান, ১৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুজন করে প্রার্থী হয়েছেন। এসব উপজেলায় একজন প্রত্যাহার করলেই অপরজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।

গত ২১ মার্চ ১৫২টি উপজেলা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফশিল ঘোষণার পর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সরিয়ে নেওয়া হয়। আর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন আইনি জটিলতায় স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৫০টিতে ভোট হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলাগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় দলীয় প্রতীক থাকলেও এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।

অপরদিকে নির্বাচন কমিশনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়। তবে জামানতের বিধানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় অনেক উপজেলায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১১ জন করে প্রার্থী হয়েছেন। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ১০ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বিএনপি ও জামায়াত নেতারা যেসব উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন, তার ছেলে মাহমুদুল হাসান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে না। তাই আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আল্লাহতায়ালা যাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। আমি জনগণের খেদমত করে যাচ্ছি। এটাই আমার মূল লক্ষ্য’।  

এছাড়া নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। 

একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।  
সেইসাথে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। 

জামায়াত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। 


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   জামায়াত   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নওগাঁয় বিএনপির ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নয় নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন।

 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিদের আইনজীবী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবু মাসুম ।


তিনি বলেন, ‘আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা আবার জামিন চাইব।’

 

কারাগারে পাঠানো বিএনপির নেতা-কর্মীরা হলেন, আত্রাই উপজেলা পাঁচুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিয়ামত আলী বাবু, আত্রাই উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ আসাদুজ্জামান বুলেট, পাঁচুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পারভেস, আয়নুল, আত্রাই উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ, আত্রাই উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল, রায়হান, ওহাব ও লাবু।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ নভেম্বর আত্রাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা শান্তি মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি ভড়তেঁতুলিয়া আহসানগঞ্জ স্টেশন হইতে আত্রাই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস সামনে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার ভড়তেঁতুলিয়া এলাকায় আমতলী সিএনজি স্ট্যান্ডে পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় ওই দিন আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্কাস আলী প্রামাণিক বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।

 

এ মামলায় ওই ৯ জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৮ সপ্তাহের হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে মামলার এজহারভুক্ত বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নয় নেতা-কর্মী পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।


আসামি পক্ষে জামিনের শুনানি করেন আইনজীবী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবু মাসুম। তবে জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আবদুল খালেক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।


বিস্ফোরক দ্রব্য আইন   বিএনপি নেতা কারাগারে   জামিন নামঞ্জুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ছেলের সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়নপত্র জমা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশীক আলী। আয়েশা ফেরদৌস এর আগে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন। তার ছেলে আশীক আলী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) মা-ছেলে মনোনয়নপত্র জমা দেন। একই পদে প্রার্থী হতে মুশফিকুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তবে তার কোনো পদ–পদবি নেই। মুশফিকুর রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন।

ছেলের সঙ্গে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, ‘এটি আমাদের পরিবারের নিয়ম। একজন কোনো পদে প্রার্থী হলে তাঁর সঙ্গে ডামি হিসেবে পরিবারের আরেকজন সদস্য প্রার্থী হন। সেই হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। পরিস্থিতি দেখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেব।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে চারজন করে আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া দুজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এ এম খায়রুল আনম চৌধুরী এবং নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।

এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি একই উপজেলার চর বাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলে দীর্ঘদিন ধরে  খায়রুল আনম চৌধুরী ও একরামুল করিম চৌধুরীর বিরোধ রয়েছে। এর জেরে খায়রুল আনমের বিরুদ্ধে ছেলে আতাহার ইশরাককে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন একরামুল। আতাহার ইশরাক কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্যে তফসিল ঘোষণার কয়েক মাস আগে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে সুবর্ণচরের চর জুবলীতে স্থানান্তর করেছেন তিনি।

জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বলেন, হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় মোট ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   মনোনয়নপত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন