নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে উদ্যোগ থমকে গেছে বিএনপির। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারোলের আবেদন না করা হলে এবং প্যারোলের আবেদনে তার দণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থণা না করা হলে সরকার প্যারোলের বিষয়টি বিবেচনা করবে না। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকেও এখন প্যারোলের অবস্থান থেকে সরে আসা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির চেষ্টা করা হবে বলে বিএনপির নেতবৃন্দ এখন বলছে। স্পষ্টতই এরফলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রক্রিয়া আবার প্রলম্ভিত হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, তারেকের হস্তক্ষেপের কারণেই এমনটি ঘটেছে। তারেক জিয়া খালেদা জিয়ার মুক্তি নয়, বরং খালেদা জিয়াকে আটক রেখে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার কৌশলেই বেশি আগ্রহী বলে জানা গেছে। এমনকি তিনি তার ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, জীবিত খালেদা জিয়ার চেয়ে মৃত খালেদা জিয়া অনেক বেশি জনপ্রিয় হবে। সেটা বিএনপির রাজনীতির পুনরুত্থানের জন্য অনেক বেশি কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়া গত কয়েকদিনে বিএনপির নেতৃবৃন্দর সঙ্গে কথা বলেন। তাদের নির্দেশেই বেগম জিয়ার জামিনের আবেদন হাইকোর্টে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাই বলছেন, এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। কারণ আপিল বিভাগ যে জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। সেই জামিনের আবেদন কিভাবে হাইকোর্ট মঞ্জুর করবে তা তাদের বোধগম্য নয়। কিন্তু তারেকের নির্দেশের জন্যই তারা এমনটি করতে বাধ্য হয়েছেন। অবশ্য তারেকপন্থী আইনজীবি বলছেন, ডিসেম্বর মাসে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন আর ফেব্রুয়ারি মাসে জামিনের আবেদনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। সেই জামিনের আবেদন আপিল বিভাগ নাকচ করে দিলেও আপিল বিভাগের কিছু সুনির্দষ্ট অবজারভেশন ছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নততর চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে বেগম খালেদা জিয়া গত দুই মাসে সেই উন্নততর চিকিৎসা পাননি। তাই এখন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি উত্থাপন করা যৌক্তিক।
কিন্তু খালেদা জিয়ার অন্যান্য আইনজীবীরা মনে করছেন যেহেতু এটা আপিল বিভাগ জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কাজেই হাইকোর্টে আবার নতুন করে জামিনের আবেদন বিবেচনাতেই হাইকোর্ট নেবে না। তবুও তারেক জিয়ার নির্দেশে এটা করা হচ্ছে। কারণ তারেক জিয়া বেগম খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে একটি রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করছেন।
আর তারেক জিয়ার যে কৌশল সেটি হলো বেগম খালেদা জিয়া জেলে আটকে থাকবেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সহানুভূতি তৈরি হবে। আর বেগম জিয়া যদি সত্যি সত্যি গুরুতর অসুস্থ হয়ে যান বা একজন মৃত্যুও বরণ করেন তাহলে সেটি সরকারের জন্য একটি নেতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হবে। আর সেটার ওপর ভর করেই বিএনপি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে।
কিন্তু বিএনপি নেতারাই বলছেন কারাগারে বহু নেতাই মারা গেছেন। যাদের জন্য কেউ কান্না পর্যন্ত করেনি। যুদ্ধাপরাধীর শিরমনী গোলাম আযম কারাগারে মৃত্যু বরণ করেছেন। স্বাধীনতার পর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী কারাগারে বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মাওলানা আবদুস সোবহানও কারাগারে বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
কাজেই অপরাধী কারাগারে চিকিসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু বরণ করতেই পারে। কারণ যে কোনো মত্যৃই সৃষ্টি কর্তার নির্দেশেই পরিচালিত হয়। সেই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বড় ধরণের আন্দোলন হবে সেই ভাবনাটা আকাশ কুসুম কল্পনা বলেই ভাবছেন বিএনপির অনেক নেতা।
কিন্তু তারেক জিয়া মনে করছেন খালেদা জিয়া যদি কারাগার থেকে বের হয়ে যান তাহলেও তিনি অনেক শক্তিশালী হবেন। তখন বিএনপিতে তারেকের কর্তৃত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। আর এ জন্যই কি তারেক জিয়া চাচ্ছেন বেগম জিয়া জেলেই থাকুক। তাকে জেলে রেখেই তার ইস্যুটিকে আওয়ামী লীগ চাঙ্গা রাখুক? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বিএনপির অনেকেই বিব্রত বোধ করছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।