নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য শুধু দেশেই দৃশ্যমান তৎপরতা নয়, দেশের বাইরেও কিছু তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে। বিশেষ কেরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যপারে সরকার যাতে নমনীয় হয় এবং তার প্যারোল বা জামিন যেকোন একটা ব্যাপারে যেন উদ্যোগ গ্রহণ করে এরকম একটি প্রক্রিয়া পর্দার আড়ালে চলছে। দেশের বাইরে বিভিন্ন মহলে এনিয়ে দেনদরবারের খবর পাওয়া গেছে।
এই তৎপরতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের মধ্যে রয়েছে;
মোসাদ্দেক আলী ফালু
মোসাদ্দেক আলী ফালু বেগম জিয়ার সাবেক একান্ত সচিব। দুর্নীতি মামলা থেকে তিনি বাঁচার জন্য দুবাইতে অবস্থান করছেন। দুবাইতে অবস্থান করলেও তিনি খালেদা জিয়ার মামলার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দেন দরবার করছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে যেন আলাপ করে সে ব্যাপারে তিনি ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ডা. জোবায়দা রহমান
ডা. জোবায়দা পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি তারেক জিয়ার চিকিৎসক। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট তার পুত্রবধু জোবায়দার কাছে পাঠানো হচ্ছে। এই রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকদের নানা রকম পরামর্শও দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া যদি শেষ পর্যন্ত মুক্ত হয় তাহলে লন্ডনে কোথায় চিকিৎসা করবেন তারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডা. জোবায়দা। এছাড়া জোবায়দা অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে যে বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই, সে সংক্রান্তও তথ্য সংগ্রহ করছেন বাংলাদেশের বিএনপিপন্থী আইনজীবী এবং চিকিৎসকদের সাহায্যে।
শর্মিলা রহমান
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মীলা রহমান। তিনি নিয়মিত দেশে আসছেন-যাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রক্রিয়ায় যে আলাপ আলোচনা চলছে এবং পর্দার আড়ালে যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে তার নেতৃত্ব শর্মীলা রহমানই দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ড. কামাল সিদ্দীকি
বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক মুখ্য সচিব এখন অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন এবং সেখান থেকে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিভিন্ন মহলে লবিং করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এইসব তৎপরতায় যদিও বিএনপির নেতৃবৃন্দ খুব একটা খুশি নয়, কিন্তু তারপরও তারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।