নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ উঠছে। যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অনুপ্রবেশকারীরা এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, শুধু অনুপ্রবেশকারী না। দীর্ঘদিনের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মধ্যেও এখন লোভ ঢুকে গেছে কিছু একটা বানিয়ে নেওয়া বা আখের গুছিয়ে নেওয়ার মত প্রবণতা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার এটি একটি নেতিবাচক দিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কিন্তু দীর্ঘদিন ক্ষমতায় এমনকি ক্ষমতার শীর্ষবিন্দুতেও আছেন কিন্তু কোন কলঙ্ক তাদের স্পর্শ করেনি এমন কিছু নেতাও আওয়ামী লীগে রয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল মনে করছেন, তাদেরকে অনুসরণ করা এবং তাদের আদর্শকে উর্ধ্বে তুলে ধরার মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের শুদ্ধি হতে পারে। এর মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের তৃণমূলে যে স্থলন হয়েছে তা বন্ধ হতে পারে। আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতাদের কখনো কলঙ্ক স্পর্শ করেনি, কিন্তু দীর্ঘদিন তারা ক্ষমতার কেন্দ্রে রয়েছেন এমন কয়েকজনকে নিয়েই এই প্রতিবেদন;
শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। চারবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি। এখন পর্যন্ত কোন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। বরং সাধারণ মানুষের চোখে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। মানুষের কল্যানে নিবেদিত আত্মউৎসর্গপ্রাণ এক রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরেও একদিকে যেমন তাকে অহঙ্কার স্পর্শ করেনি, অন্যদিকে কোন রকম অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা দুর্নীতি তাকে ছুঁতে পারেনি। বরং মানুষ সব সময় বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার মতো যদি অন্যরা হত তাহলে আওয়ামী লীগ আরো ভালো করতে পারতো।
বেগম মতিয়া চৌধুরী
তিন মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন তিনি। চতুর্থ মেয়াদে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। কিন্তু এখনো তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও বেগম মতিয়া চৌধুরীর সাদামাটা জীবন যেন রুপকথাকেও হার মানায়। দুর্নীতি, অনিয়ম বা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ কখনো তাকে ছুঁতে পারেনি। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে তেমন জনপ্রিয় না হলেও আদর্শবান রাজনীতিবিদ হিসেবে আওয়ামী লীগে তিনি পূজনীয়। তিনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মাত্র এক মেয়াদে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হলে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং সেই সময় তাকে কখনো দুর্নীতি, অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতি স্পর্শ করেনি। নির্মোহভাবে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ৩ মেয়াদে মন্ত্রীত্ব করেন। প্রথম মেয়াদে তিনি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী, তারপর দুই মেয়াদে তিনি পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সবসময় তিনি নিজেকে আড়ালে রাখেন। দাপ্তরিক কাজের বাইরে তাকে খুব একটা দেখা যায়না। কিন্তু নির্মোহভাবে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করছেন এবং অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সঠিকভাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে তিনি এক নজির স্থাপন করেছেন।
গওহর রিজভী
গওহর রিজভী প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা। তিন মেয়াদে তিনি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিকভাবে তিনি প্রভাবশালী হলেও কখনো তাকে কোন কলঙ্ক স্পর্শ করেনি।
আওয়ামী লীগের আরো এমন অনেক নেতা আছেন যারা বিভিন্ন অভিযোগ বা সমালোচনা থেকে অনেক দূরে। আওয়ামী লীগ মনে করছে, এই সময়ে যখন সম্রাট-পাপিয়া-খালেদের মতো দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে, তখন এদের ইমেজকে যত উঁচুতে তুলে ধরা হবে ততই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত প্রজন্ম শুদ্ধ পথে চলবে এবং আদর্শের রাজনীতি করতে উদ্বুদ্ধ হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।