নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
পাপিয়াকে নিয়ে যখন উত্তাল দেশ এবং ক্ষমতাসীন দলের মদদে পাপিয়ার মতো নারী ব্যবসায়ী এবং নারী কেলেঙ্কারির হোতারা আইনের আওতায় এসেছে। তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এধরণের ঘটনা কি এবারই প্রথম?
আওয়ামী লীগের শাসনামলেই কি পাপিয়ার মতো নারী ব্যবসায়ী এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের হোতাদের উত্থান ঘটেছে? বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে না, বরং এসময়ই পাপিয়ার মতো দুর্বৃত্তরা আইনের আওতায় এসেছে। বাংলাদেশে নারী কেলেঙ্কারির সূত্রপাত ঘটেছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে, সেসময় রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একের পর এক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল এবং এই নারী কেলেঙ্কারিগুলোর মূল উদ্যোক্তা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া এবং তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, তারেক জিয়া এবং তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের তত্ত্বাবধানে ভারত থেকে একাধিক নায়িকাকে ভারত থেকে নিয়ে আসা হত এবং এসমস্ত নায়িকাদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের ‘প্রাইভেট ফাংশন’ হত এবং পরবর্তীতে তাঁরা ফিরে যেত। বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, ভারতীয় নায়িকা শিল্পা শেঠি বাংলাদেশে এসেছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আমন্ত্রণে। তিনি তিনি দুইদিন বাংলাদেশে ছিলেন। এই দুইদিনই তিনি খোয়াব ভবনে ছিলেন এবং খোয়াব ভবনে গোপন পার্টিতে তাদের অতিথি ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, তারেক জিয়া এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা। শিল্পা শেঠি ঢাকায় এসেছিলেন বিনা ভিসায় এবং এয়ারপোর্টে তাকে প্রথমে ভিসা না থাকার জন্য আটকে দেয়া হয়েছিল। এরপর লুতফর জামান বাবর ছুটে যান বিমানবন্দরে এবং তারেক জিয়ার নির্দেশে তাকে ভিআইপি প্রটোকলে বের করে নিয়ে আসে। বিমানবন্দর থেকে শিল্পা শেঠি চলে গিয়েছিলেন গাজীপুরের খোয়াব ভবনে এবং সেখানে তিনি দুই রাত কাটিয়ে আবারও ভারতে ফেরত যান।
একসময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আলিশা চিনয় তিনিও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন এবং খোয়াব ভবনের অতিথি হিসেবে দুই রাত খোয়াব ভবনে ছিলেন বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এইসময় ভারত থেকে এসেছিলেন একসময়ের নায়িকা রবিনা টেন্ডন। রবিনা টেন্ডনও ঢাকায় এসে খোয়াব ভবনের অতিথি হিসেবে ছিলেন এবং সেখানে তিনি তিন রাত ছিলেন বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পশ্চিমবাংলার এক জনপ্রিয় নায়িকা ঢাকায় শুটিং করতে এলে, তাঁর শ্যুটিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তারেক জিয়ার নির্দেশে। পরবর্তীতে খোয়াব ভবনে দুই রাত কাটালে সেই নায়িকাকে আবার শ্যুটিং করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। সেসময় ভারত থেকে নায়িকা-গায়িকা নিয়ে এসে অনৈতিক কার্যকলাপ, মদ এবং সুরার উৎসব ছিল নিত্যনৈমত্যিক ব্যাপার এবং এই ঘটনাগুলো যখন ঘটতো তখন খোয়াব ভবনের পুরো এলাকা ঘিরে রাখতো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। সাধারণ মানুষের প্রবেশ তখন ছিল নিষিদ্ধ।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অন্তত ১২ জন নায়িকা এই সময়ে তারেক-মামুনের অতিথি হয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশের নারী কেলেঙ্কারির যে অধ্যায়, সেই অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তারেক জিয়া এবং যার হাত ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র এবং রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নষ্ট হয়েছিল। যার কারণে আজ পাপিয়াদের সৃষ্টি বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।