নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সদ্য বহিষ্কৃত শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এখন নানা রকম আলাপ আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রধান প্রশ্ন হলো, পাপিয়াকে এতদিন কেউ চিহ্নিত করতে পারলো না কেন? পাপিয়া কীভাবে এই পদ-পদবী হাতিয়ে নিল?
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। কিন্তু শেখ হাসিনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদেরকে অত্যন্ত রূঢ় ভাষায় তিরষ্কার করেন এবং যুব মহিলা লীগের অন্য যারা অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য নির্দেশ দেন।
যুব মহিলা লীগের বর্তমান কমিটি যেকোনো সময় বিলোপ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, ২০১৭ সালে তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী পাপিয়ার ব্যাপারে সংগঠনের সভাপতি নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলকে সতর্ক করেছিলেন।
জানা গেছে যে, সে সময় নরসিংদীতে পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে পাপিয়া তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মতিয়া চৌধুরী তার বেশভূষা এবং সাজশয্যা দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছিলেন। পাপিয়াকে তিনি বলেছিলেন যে, ‘তুমি করো শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। আর তোমার বেশভূষা, আচার-আচরণ তো খালেদা জিয়ার মতো।’
অবশ্য এরপরেও পাপিয়া পাল্টাননি। তিনি মহিলা আসনের জন্য পরবর্তী নির্বাচনে বেগম মতিয়া চৌধুরীর কাছ থেকে দোয়া চেয়েছিলেন। কিন্তু মতিয়া চৌধুরী তাকে তিরষ্কার করে বের করে দিয়েছিলেন।
জানা গেছে যে, পরবর্তীতে বেগম মতিয়া চৌধুরী যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রীকে ডেকে পাপিয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু নাজমা বা অপু উকিল সেই সতর্ক বার্তা কানে নেননি।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।