নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২০
বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে রাজনৈতিক উদারতা, মানবিকতা এবং রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত তিনি একজন মানবিক ব্যক্তি এটা এই মুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গেছে যে, শেখ হাসিনার কাছে যখন বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা যান, তখন তিনি বলেন যে, ‘আমি কারও ওপর কখনও অন্যায়-অত্যাচার করিনি, করবোও না। বেগম জিয়ার যদি চিকিৎসার দরকার হয়, তবে সরকার তাকে অবশ্যই মুক্তি দেবে।’
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে যে, সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার পেছনে ৫টি কারণ কাজ করেছে।
১. রাজনৈতিক কৌশল
এই মুক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা অনেক দূর এগিয়ে গেলেন। শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন যে, তিনি দেশের নেতা এবং বিএনপির দাবি-দাওয়া, আন্দোলন নয়, বরং খালেদা জিয়া সরকারের কাছে মানবিক কারণে মুক্তি ভিক্ষা চেয়ে নিয়েছে। আইনি লড়াই বা আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি, সেটাও প্রমাণ হয়ে গেছে। এর ফলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে পরাস্ত করলো। একই সঙ্গে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হলো যে, খালেদা জিয়া এতদিন আপসহীন নেত্রী বলে নিজেকে দাবি করতেন, সেই আপসহীন নেত্রী তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় আপসটি করলেন। কারণ তিনি অনুকম্পা ভিক্ষা করে মুক্তি নিয়েছেন এটাই হলো রাজনৈতিক কৌশলে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় বিজয়।
২. খালেদার অসুস্থতা
খালেদার মুক্তির দ্বিতীয় কারণ হলো তার অসুস্থতা। তিনি সত্যি অসুস্থ। এই অসুস্থতার দায় আওয়ামী লীগ বা সরকার নিতে চায়নি বলেই ছয় মাসের জন্য তার দণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
৩. করোনার প্রকোপ
বেগম জিয়ার মুক্তির তৃতীয় কারণ হলো করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এই ভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছে যে এই ভাইরাস অনেকদূর পর্যন্ত যাবে। যদি খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুতে (বিএসএমএমইউ) থাকেন এবং তার করোনার সংক্রমণ হয়, তাহলে একটা নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এর দায়- দায়িত্ব সরকারের উপর পড়তে পারে। এ কারণেই করোনার প্রকোপ যেন খালেদার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব না পড়ে সেজন্য সরকার তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৪. শেখ হাসিনার উদারতা
শেখ হাসিনা একজন উদার, মানবিক এবং দরদী রাজনীতিবিদ। যিনি তাকে হত্যার করতে নানা কৌশল নিয়েছিল এবং গ্রেনেড হামলাও চালানো হয়েছিল, যিনি তার পিতার মৃত্যুদিনে বীভৎস উৎসব করেন, তার প্রতিও ক্ষমা দেখিয়ে শেখ হাসিনা এক উদার মানসিকতার পরিচয় দিলেন। শেখ হাসিনার এই উদারতার জন্যই শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হয়েছে।
৫. বেগম জিয়ার পরিবারের চেষ্টা
শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়ার মুক্তির সবচেয়ে বড় কারণ ছিল তার পরিবারের চেষ্টা। তার পরিবার রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে খালেদার মুক্তির বিষয়টি নিজেদের মধ্যে নিয়ে নেন। খালেদার মুক্তির জন্য রাজনৈতিক পথে না গিয়ে দেন দরবার এবং অনুনয়-বিনয়, ক্ষমা প্রার্থনার পথ অবলম্বন করে। বেগম জিয়ার পরিবারের এই চেষ্টা, বিশেষ করে তার ছোট ভাই এবং বোনের চেষ্টাই তার মুক্তির একটি বড় কারণ বলে মনে করছে রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।