নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২০
২৫শে মার্চ ৬ মাসের দণ্ড রহিতকরণ প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। এখন তিনি তাঁর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কারামুক্তির পর ফিরোজায় আসা পর্যন্ত এলাকায় চারদিকে ব্যাপক জনসমাগম ছিল এবং এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া জনসংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। একারণে বেগম খালেদা জিয়াকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এসময় বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না এবং সাধারণ মানুষকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা।
তবে বেগম খালেদা জিয়া এই সময়ে লন্ডনে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করছেন, কথা বলছেন, তাঁদের খোঁজখবরও নিচ্ছেন। জানা গেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাঁর টেলিফোন সংযোগ ঠিক করা হয়েছে, তাঁকে তাঁর ভাই একটি মোবাইল ফোন-ও দিয়েছেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিয়মিত লন্ডনে কথা বলছেন, তারেক জিয়ার সাথেও কথা বলছেন, তেমন তাঁর স্ত্রী জোবায়দার সাথেও কথা বলছেন। কথা বলছেন প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা রহমান শীথির সাথে। এছাড়াও তিনি দেশের বাইরে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের সাথেও আলাপ আলোচনা করছেন বলেও জানা গেছে।
তবে এখন পর্যন্ত গত তিন দিনে বিএনপির কোন নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেননি এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে মানা করেছেন তাঁর ভাই শামীম এস্কান্দার। বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে কেন বেগম জিয়া কথা বলছেন না তাঁর কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
বেগম খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এখনো শারীরিকভাবে অসুস্থ, কোন রাজনৈতিক বিষয় বা জটিল কোন বিষয়ে এখনো জড়াতে চাননা। তাই আপাতত এখন যেহেতু তিনি চিকিৎসাধীন আছেন, সেহেতু এই দিনগুলোতে বিএনপি নেতাদের সাথে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েছেন এবং তাঁরা মোটামুটি কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আছেন।
কারণ তাঁরা জানেন না যে, এখন তাঁদের কি করতে হবে। বিশেষ করে করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিএনপির করণীয় এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের জন্য ভবিষ্যতে কোন দিকনির্দেশনা বা রাজনীতির গতি প্রকৃতি কি হবে- এসব নিয়ে পুরো অন্ধকারেই আছে বিএনপি। আর এই পরিস্থিতি বিএনপি জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি বলে মনে করছেন অনেক নেতারা। কারণ তাঁদের নেতা জেল থেকে বের হয়ে তাঁদের সাথেই কথা বলছেন না- এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দু’একজন নেতা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।