নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০২০
২৫শে মার্চ দীর্ঘ ২৫ মাস পর সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়া ৬ মাসের জন্যে মুক্তি পেয়েছেন এবং ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারা প্রয়োগ করে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাঁর শাস্তি স্থগিত করেছে সরকার। এই মুক্তি কি কেবল মানবিক কারণে মুক্তি নাকি এর পেছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বা রাজনৈতিক সমাঝোতার অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি পেয়েছেন কিনা এই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান আলাপ-আলোচনা চলছে।
তবে বেগম খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্রে একটি চমকপ্রদ খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানা গেছে এবং এই বিবৃতি হবে চমকপ্রদ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই বিবৃতিটি একটি বিরল, ব্যতিক্রমী এবং রাজনৈতিক গতি প্রকৃতিকে পাল্টে দেয়া বিবৃতি হবে বলেও বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই বিবৃতিটা বেগম খালেদা জিয়া হোম কোয়ারেন্টাইন শেষেই প্রকাশ করবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন তাঁকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য এবং একইভাবে তিনি সরকার যেভাবে উন্নয়ন, অগ্রগতির পথে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর-ও প্রশংসা করবেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ঝুঁকি মোকাবেলা করা এবং অন্যান্য অগ্রগতি এগিয়ে নেবার জন্য একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রগুলো বলছে।
অর্থাৎ এর মাধ্যমে বিএনপি-আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বৈরিতা এবং বিপরীত অবস্থান- সেই অবস্থান ঘুচবে বলেও মনে করছেন দায়িত্বশীল একাধিক মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যেভাবে বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে আড়ালে রেখেই বেগম খালেদা জিয়ার এই বিবৃতি তৈরি করা হচ্ছে। জানা গেছে বেগম খালেদা জিয়ার এই বিবৃতি তৈরির পেছনে কাজ করছেন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই সাইদ এস্কান্দার, তাঁর বোন এবং দুইজন বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী। তাঁরা বিএনপিকে সম্পূর্ণ আড়ালে রেখে এই বিবৃতি প্রস্তুত করেছে। ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া বিবৃতিটা দেখেছেন এবং নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছেন।
একটি সূত্র বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারের সাথে বেগম জিয়া পরিবারের দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা এবং সমাঝোতা প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এই সমাঝোতা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের তিনজন সদস্য শেখ হাসিনার সাথে তাঁর গণভবনের বাসায় দেখা করেন।
জানা গেছে যে, এই সমাঝোতার অন্যতম শর্ত ছিল সহাবস্থানের রাজনীতি এবং বিএনপি সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়, সমালোচক হিসেবে নয় বরং সরকারের সাথে মিলেমিশে কাজ করবে। এই বিবৃতিতে তারই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যারা বিবৃতি প্রস্তুত করছেন, তাঁদের মাধ্যমে জানা গেছে যে বিবৃতিতে তিনটি বিষয় রয়েছে।
প্রথমত, বেগম খালেদা জিয়া ধন্যবাদ জানাবেন তাঁকে মুক্ত করার জন্য।
দ্বিতীয়ত, তিনি সরকারকে করোনাভাইরাস মোকাবেলার করার জন্য সহায়তা করা এবং সকলে মিলে যেন কাজ করে এই জন্য বিএনপি নেতাবৃন্দদের প্রতি আহ্বান জানাবেন এবং তৃতীয়ত তিনি মৌলিক কিছুবিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত গঠন করে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাবেন।
তবে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে যে, তাঁরা এই বিবৃতির ব্যাপারে কিছুই জানেন না। অবশ্য বিএনপির একজন নেতা বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে মুক্তি হবে সেটা আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে জানতাম না এবং তাঁর পরিবারই এটা করেছে। এখন এরকম বিবৃতি যদি তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া হয় তাহলেও তাঁদের কিছু করার নেই।
অবশ্য বিবৃতিটি সমাঝোতার অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সাথে সাথেই দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং সেকারণে বিবৃতিটি তখন দেয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী পহেলা বৈশাখ বা তাঁর আগে আগে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে।
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন