নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০২০
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি কঠিন পরিশ্রম করছেন, কিন্তু গণমাধ্যমের সামনে এলেই তাঁর মুখে যেন একরাশ মেঘ ভর করে। একটু অপ্রিয় প্রশ্ন হলে তিনি রেগে যান, পাল্টা প্রশ্ন করেন, ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে ধৈর্য্য হারালে চলবে না, যেকোন কঠিন প্রশ্নের উত্তরই দিতে হবে। আর এটা শিখতে হবে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। যিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবাধে সব প্রশ্ন গ্রহণ করেনে এবং সাবলীলভাবে সকল প্রশ্নের উত্তর দেন। হাসিবিহীন এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশের জনগণ ১০টি নিরীহ প্রশ্ন করতে চায়। প্রশ্নগুলো হলো-
১. ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হলো এবং এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১২শ এর কম মানুষের উপর করোনা শনাক্তের পরীক্ষা হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন হলো- এত কম সংখ্যক মানুষের উপর কেন পরীক্ষা এতদিনে হলো। আরো বেশি মানুষের উপর বৃহত্তর আকারে পরীক্ষা করা যেত না?
২. করোনা শনাক্তের পর কেন মাস্ক, পিপিইসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনার উদ্যোগ নেয়া হলো? আমরা জানি যে, চীনে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে করোনা প্রথম ধরা পড়ে এবং জানুয়ারিতে তা মহামারী আকার ধারণ করে। চীনে যেহেতু মহামারী ধারণ করেছে, তাই বাংলাদেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাহলে আমরা তখন থেকেই কেন চেকলিস্ট তৈরি করলাম না এবং করোনা মোকাবেলার আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করলাম না?
৩. শুধু আইইডিসিআর কেন এতদিন রক্ত পরীক্ষা করলো এবং ৩ সপ্তাহ পড়ে কেন আইসিডিআরবি-সহ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে এই দায়িত্ব দেয়া হলো?
৪. করোনা শনাক্তের ব্যবস্থা কেন আগে থেকে ঢাকার বাইরে ছিল না? করোনা শনাক্তের পরে অন্তত বিভাগীয় শহরে কেন এই পরীক্ষা চালু করা হলো না?
৫. ১৬ কোটি মানুষের অনুপাতে যে পরিমাণ আইসিইউ বা ভেন্টিলেটর থাকা দরকার বা উচিত সেই পরিমাণ আইসিইউ বেড এবং ভেন্টিলেটর কি সত্যিই আমাদের আছে?
৬. ইউরোপের করোনা সংক্রমণের পর যারা বাংলাদেশে ফিরেছে তাঁদের তালিকা কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে? তাঁদের রক্তের পরীক্ষা কি হবে? বা কতদিনে হবে?
৭. বাংলাদেশে বিদেশ ফেরত যারা দেশে এসে অন্যদের সংস্পর্শে এসেছে, তাঁদের তালিকা কি তৈরি করা হয়েছে? এবং তাঁদের কি পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?
৮. বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে, তাঁদের ব্যাপারে কি মাননীয় মন্ত্রী কোন উদ্যোগ নিয়েছেন?
৯. সাধারণ জ্বর, কাশি, অ্যাজমা, শ্বাস কস্টের রোগীরা কোথায় যাবেন?
১০. আবার বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ শুরু হতে যাচ্ছে। ডেঙ্গু মোকাবেলার জন্য কি কোন আগাম প্রস্তুতি নেয়া হবে? নাকি ডেঙ্গু আসার পর আমরা প্রস্তুত হওয়া শুরু করবো?
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।