নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২২ মে, ২০২০
টানা তিন মেয়াদসহ মোট চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার মেয়াদের মন্ত্রিসভার মধ্যে গত বছরের ৭ জানুয়ারি যে মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা নিয়ে সবথেকে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। সরকার দেড় বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, এই সময়ে নানা ধরণের সঙ্কট মোকাবেলায় মন্ত্রীদের অনেককেই অস্থির, অযোগ্য এবং দায়িত্বহীন মনে হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের ভেতরে-বাহিরে সমালোচনা হচ্ছে। এবার মন্ত্রিসভা গঠন করে সবথেকে বড় চমকটি দিয়েছিলেন। অধিকাংশ সিনিয়র নেতাদেরকে তিনি বসিয়ে রেখেছেন, মন্ত্রিসভায় স্থান দেননি। মন্ত্রিসভায় এনেছেন একাধিক নতুন মুখ, যাদেরকে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় সুযোগ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্ভাগ্য হলো, শেখ হাসিনা অনেককেই সুযোগ দেন, কিন্তু তারা সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারেন না। এবারের মন্ত্রিসভার অধিকাংশ নতুন মন্ত্রী সুযোগগুলোকে হেলায় নষ্ট করছেন। তারা মনে করছেন মন্ত্রিত্ব মানে শুধু একটি গাড়ি, একটি বাড়ি এবং মন্ত্রণালয়ে বসে কিছু ফাইল দেখা। মন্ত্রিত্ব যে একটি নীতিনির্ধারক অবস্থা সেটাই অনেকে বুঝতে পারছেন না। তবে এই ব্যর্থতার ভিড়ে প্রথমবার হওয়া কয়েকজন মন্ত্রী নিজেদেরকে ক্রমশ উজ্জ্বল করছেন। বিশেষ করে করোনা সঙ্কটের সময় কয়েকজন মন্ত্রীর তৎপরতা জনগণের মধ্যে আশা জাগাচ্ছে এবং ব্যর্থতার ভিড়ে তারা কিছু একটা করার চেষ্টা করছেন, দায়িত্ব পালনের জন্য উদ্যম দেখাচ্ছেন। তাদের এই ভূমিকাটা সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করছে এবং শেখ হাসিনা তাদের উপর যে আস্থা রেখেছিলেন, সেই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। ব্যর্থতার ভিড়ে কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। প্রথমবার হওয়া কয়েকজন মন্ত্রী, যারা ধীরে ধীরে নিজেদেরকে মেলে ধরছেন তাদের কয়েকজনকে নিয়েই এই প্রতিবেদন-
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম
তাজুল ইসলামের মন্ত্রী হওয়াটা ছিল এবারের সবথেকে বড় চমক। সাধারণত এই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার রীতি ছিল দলের সাধারণ সম্পাদককে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই রীতি প্রথমবারের মতো ভাঙেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে হটিয়ে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। এবারও তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেননি, বরং আনকোরা তাজুল ইসলামকে এই দায়িত্ব দিয়ে সবাইকে রীতিমতো চমকে দেন। তাজুল ইসলাম প্রথমদিকে আনাড়িপনা করেছেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভুলত্রুটি করেছেন। কিন্তু ক্রমশ নিজেকে তিনি মেলে ধরছেন এবং তার মধ্যে পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং কাজ করার তীব্র স্পৃহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার তিনি শুরু থেকেই ডেঙ্গু মোকাবেলার জন্য কাজ করছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে যে সমস্ত স্থানীয় প্রতিনিধিরা ত্রাণ আত্মসাৎ বা দুর্নীতি করছেন- তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ন্যূনতম কার্পণ্য করছেন না। একটু সচল এবং সদাতৎপর মন্ত্রী হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের মন্ত্রিত্ব পাওয়াটা ছিল বিস্ময়কর। কিন্তু করোনা এবং সাম্প্রতিক সময়ে আম্ফানের দুর্যোগে তার ভূমিকা ছিল লক্ষ্যণীয়। তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করছেন, যদিও ত্রাণ বণ্টন নিয়ে প্রচুর অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তবুও তার মন্ত্রণালয়কে তিনি দুর্নীতির বাইরে রেখেছেন এবং এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন অনিয়মের অভিযোগ ওঠেনি। ত্রাণ বন্টনে যে অভিযোগগুলো উঠেছে তা সবই বণ্টন পর্যায়ে এবং জনপ্রতিনিধি পর্যায়ে। মন্ত্রণালয় মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছে এবং প্রথমবারের মতো প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে এনামুর রহমান নিজেকে দুর্নীতি থেকে দূরে রেখেছেন এবং আন্তরিকতার যে তার মাঝে কোন ঘাটতি নেই সেটা প্রমাণে সক্ষম করেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
শ ম রেজাউল করিম প্রথমবার মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন গৃহায়ন এবং গণপূর্ত মন্ত্রাণালয়ের। এরপরে এক দমকা হাওয়ায় তিনি গৃহায়ন এবং গণপূর্ত মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্ব হারান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এই মন্ত্রণালয় যেন তার জন্যে শাপেবর হয়েছে। করোনা সঙ্কটের সময় ডেইরি শিল্প, পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচানোর জন্য তার যে বিভিন্ন উদ্যোগ, সেই উদ্যোগগুলো প্রশংসিত হয়েছে। কাটাবন এলাকায় পশু-পাখির দোকানগুলোতে বন্দি হয়ে থাকা পোষা পশু-পাখিদের নিয়ে যে একটি করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তখন তিনি নিজেই কাটাবন এলাকায় যান এবং সেই আটকে পড়া পশু-পাখিদের খাবার দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেন। শ ম রেজাউল করিম তার সেক্টরে যেন করোনায় ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সদা তৎপর। নিয়মিত কাজ করছেন এবং তার এই আন্তরিকতা এবং তৎপরতা সাধারণ মানুষকে আশান্বিত করেছে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল
জাহিদ আহসান রাসেল দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করলেও তিনি এবারই প্রথম প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হয়েই তিনি প্রত্যেকটি বিষয়ে তাকে শুরু থেকেই তৎপর দেখা যাচ্ছিল। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে তিনি একটি সচল মন্ত্রণালয় করার চেষ্টা করেছেন। করোনাকালে তাকে আরো উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত এবং কর্মতৎপর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখা গেছে।
এভাবে এই প্রথমবারের মতো হওয়া কিছু মন্ত্রীরা নিজেদের মেলে ধরছেন। তারা ক্রমশ বুঝতে পারছেন যে, মন্ত্রিত্ব একটি দায়িত্ব এবং জনগণ তাদের বিচারক। শেখ হাসিনা তাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করা যে অত্যন্ত জরুরী সেটা তারা বুঝতে পেরেছেন। এজন্যই ক্রমশ তারা উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন। ব্যর্থতার ভিড়ে এমন কয়েকজন মন্ত্রীর আন্তরিকতা, প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠা জনগণের প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।