নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ২৩ মে, ২০২০
আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। দলের কাউন্সিল অধিবেশনের পর থেকেই দলীয় কর্মকাণ্ডে তাকে গড়পড়তা দেখা যায় এবং করোনা সঙ্কটের সময় হঠাৎ দু-একটি বক্তব্য-বিবৃতি দেয়া ছাড়া তার কোন তৎপরতা চোখে পড়ে না। অথচ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা তিনি। কেন মাহবুবুল আলম হানিফ দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন, কেন তাকে খুব একটা দেখা যায় না কিংবা কেন তিনি দলীয় কার্যালয়েও নিয়মিত উপস্থিত হন না, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই নানারকম গুঞ্জন এবং কতাবার্তা উঠছে।
একাধিক মহল মনে করছে যে, কাউন্সিলের পর তার মন খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান প্রেসিডিয়ামের সদস্য হওয়ায় মাহবুবুল আলম হানিফ নিজেকে বঞ্চিত মনে করছেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এমপি হলেও কখনো মন্ত্রিত্ব পাননি। এটা নিয়েও তার মধ্যে এক ধরণের দুঃখবোধ রয়েছে। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে তার দুরত্বের কথা কেউ কেউ বলে। কিন্তু সেই দুরত্ব আসলেই রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, আগে প্রত্যেকটি বিষয়ে কথাবার্তা বলা, বিরোধী দলের সমালোচনায় মুখর আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র নিজের মুখে কুলূপ এঁটেছেন। তিনি কি অভিমান করেছেন?
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।