নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ মে, ২০২০
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে আওয়ামী লীগের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের যে জোট রয়েছে, সেই জোটের প্রায় সব দলই মনে করে যে করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। আমলা নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। এর ফলে যে খারাপ পরিস্থিতি হবে, সেই খারাপ পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব ১৪ দল বা আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর উপর পড়তে পারে। আর এই নিয়ে চাপা অসন্তোষ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের শরিক সংগঠনগুলোর একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা শুরু করে, যখন হত্যা এবং দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করে তখন সেই বাস্তবতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়। ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাসদের হাসানুল হক ইনু মনে করেন যে, ১৪ দল হচ্ছে একটি আদর্শিক দল, এটা কোন নির্বাচনের দল নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে, সেই বিজয়ের পরে আওয়ামী লীগ শুধু মহাজোটকে নয়, ১৪ দলকেই উপেক্ষা করেছে। ঐ নির্বাচনের পর থেকে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতির কোণ আনুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি ১৪ দলের কোন সদস্যকে। এমনকি সরকারের কোন নীতিনির্ধারকের সিদ্ধান্তে ১৪ দলকে পাত্তাই দেওয়া হয়নি। এটা নিয়েই শুরু থেকেই ১৪ দলের মাঝে চাপা অসন্তোষ ছিল যা এখন প্রকাশ্য হতে ১৪ দল মনে করছে যে করোনা মোকাবেলায় সরকার যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে তাতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভাবে রয়েছে এবং চিন্তাভাবনাপ্রসূত নয় এবং একের পর এক স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের অনেক শরিকরাই এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছে এবং সরকার যদি শেষ পর্যন্ত করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ হয় তাহলে সেই ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন।
উল্লেখ্য যে, ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ববৃন্দই সরব এবং জাতীয়ভাবে পরিচিত। এদের মধ্যে রয়েছে রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কাস পার্টি, হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ এবং দীলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল। এছাড়াও শরিফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন জাসদের আরেকটি অংশ ১৪ দলের শরিক হিসেবে আছে। তবে মজার ব্যাপার হলো যে, ১৪ দলের সব শরিকরাই এখন মনে করছেন যে, সরকারের যে সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। তবে এখনো ১৪ দলের নেতারা প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করতে রাজি নন। তবে তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় হা-হুতাশ এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন একাধিক নেতা বলছেন যে, খুব শীঘ্রই হয়তো তাঁরা মুখ খুলতে পারে।
১৪ দলের একজন শরিক নেতা ‘বাংলা ইনসাইডার’ এর সাথে আলাপকালে বলেছেন যে, আমরা সরকারের কাছে বার্তাগুলো দিচ্ছি এবং করোনা মোকাবেলায় রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করার কথা বলছি। কিন্তু সরকার আমাদের কথা শুনছে না। ঐ নেতা এটাও মনে করেন যে, করোনা মোকাবেলায় যে আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্তগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক হচ্ছেনা। ১৪ দলের অন্য একজন নেতা বলেছেন যে, এখন পর্যন্ত করোনা মোকাবেলায় সরকার কিভাবে কাজ করা উচিত, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর কোন পরামর্শ নেওয়া হয়নি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে, অথচ ভারতের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, তাঁদের মতামত নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে, করোনা একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং একটি জাতীয় সমস্যাও বটে। এবং তা মোকাবেলা করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
১৪ দলের অন্য একজন নেতা বলেন যে, আমলারা প্রধানমন্ত্রীকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন এবং এজন্য সরকারকে মাশুল গুনতে হবে। তিনি এটাও বলেন যে, যেহেতু ১৪ দল সরকারের একটি অংশ এবং সরকার এই ১৪ দলেরই ফসল। কাজেই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে দায়দায়িত্ব ১৪ দলের উপরেও বর্তাবে। আর এই কারণেই তাঁরা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। তাঁরা এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারে বলেও জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের শরিকদের মধ্যে এই টানাপড়েন রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সৃষ্টি করেছে। যখন করোনা নিয়ে সরকার অনেকটাই চাপে রয়েছে এবং সে সময় যদি ১৪ দল প্রকাশ্যে সরকারের সমালচোনা করে বা সরকারবিরোধী অবস্থানে যায় তাহলে একটি নতুন সঙ্কট তৈরি হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জন বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে পিছু
হটল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ছিলেন, এরই
মধ্যে তাদের প্রার্থী না হতে বারণ করা হয়েছে। জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয়
নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে আলোচনার পর উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। কেন্দ্রের
এ সিদ্ধান্ত স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতারা তৃণমূলে জানিয়ে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে যারা মনোনয়নপত্র
জমা দিয়েছেন, তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জামায়াত কোনো আনুষ্ঠানিক
ঘোষণা দেয়নি। দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের অনেক নেতা স্বতন্ত্র
প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সম্ভাব্য
প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে নানারকম প্রচার ও গণসংযোগও করছিলেন। বিশেষ করে রোজার মধ্যে
এবং ঈদুল ফিতরে তারা ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।
দলটির নেতারা বলছেন, মূলত বেশকিছু কারণে
বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাচ্ছে না জামায়াত। তার মধ্যে মোটাদাগে চারটি কারণের
কথা বলছেন নেতারা।
কারণগুলো হচ্ছে…
১। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগে ক্ষমতাসীনদের
‘হস্তক্ষেপ’
২। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা ও পরিবেশের
প্রতি জনগণের ‘আস্থার সংকট’
৩। গণতন্ত্র না থাকা এবং
৪। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘অবৈধ
সরকার’কে বৈধতা না দেওয়া
এদিকে, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের (সোমবার) আগেই সিদ্ধান্ত বদল করায় জামায়াতের তৃণমূলে
অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠপর্যায়ে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, যশোর, সাতক্ষীরা,
চুয়াডাঙ্গাসহ বেশকিছু উপজেলায় জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থী
হিসেবে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি উপজেলার
সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো, যখন তারা ব্যাপকভাবে
গণসংযোগ করছিলেন। এতে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক বার্তা যায়।
নির্বাচনে গেলে কী লাভ আর কী ক্ষতি—এটা ভেবে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন দলের
নীতিনির্ধারকরা। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা যে সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন, সেটাকেও সম্মান জানাতে চান তারা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জামায়াতে
ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি
বিবেচনায় উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। এরই মধ্যে সারা দেশে দলীয়
সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ মনোনয়ন জমা দিলে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি-জামায়াতসহ
প্রায় ৬৩টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন
বর্জন করেছে। বিএনপিও এ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ইসলামী দলগুলোর অন্যতম চরমোনাই
পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না যাওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবমিলিয়ে জামায়াতকেও শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত
নিতে হলো।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের
বিষয়ে শুরুর দিকে কিছুটা নমনীয় ছিল জামায়াত। জয়ের সম্ভাবনা আছে এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাব
আছে—এমন উপজেলাগুলোতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত
নিয়েছিল দলটি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এবং প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট
উপজেলা ও জেলা কমিটির দায়িত্বশীল নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে মোতাবেক সম্ভাব্য
প্রার্থীরা প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের চলামান রাজনৈতিক
ও সার্বিক পরিস্থিতিতে ঈদের আগে দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের
বৈঠক ডাকে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
হয়। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঈদুল ফিতরের পরপরই গত
শনিবার উপজেলা নির্বাচন না করার বিষয়ে জেলা ও উপজেলার দায়িত্বশীল নেতাদের মাধ্যমে তৃণমূলে
মৌখিকভাবে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ব্যাপারে জামায়াতের
নেতারা বলছেন, তারা পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো
পরিবেশ নেই। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে ভূমিকা
রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অসংখ্য
রাজনৈতিক দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করেছে। এ অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী উপজেলা
নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘অবৈধ সরকার’কে বৈধতা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তা ছাড়া নির্বাচনের
আগেই বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এসব
বিষয়কে বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত।
গতকাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি
জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী শুধু নয়, বাংলাদেশের কোনো গণতান্ত্রিক
দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। কারণ, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের
জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তারা একতরফা নির্বাচন বর্জন করেছে। সেই জনরোষ এখনো আছে। সুতরাং
যেসব কারণে আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছি, সেসব কারণেই উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছি
না। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের প্রতি জামায়াতের দায়বদ্ধতা
আছে। দায়িত্বশীল দল হিসেবে জামায়াত জনমতকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে যেতে পারে না’।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৪ সালের জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের পরপর অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামায়াতের শতাধিক প্রার্থী
উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) হন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ২৪টি উপজেলায়
চেয়ারম্যানসহ ৩৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দলীয়
প্রতীকে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে জামায়াত। দলের নিবন্ধন না থাকলেও স্বতন্ত্র
প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল জামায়াত নেতাদের। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে সেবার কেউ নির্বাচনে
অংশ নেননি।
উপজেলা নির্বাচন জামায়াত বিএনপি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-কে বিজয়কে সুসংহত করার পথে
প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে সন্ত্রাসী এ অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি
৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপির
মতো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী অশুভ শক্তি। এ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। আজকের এ দিনে
বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি সব অপশক্তিকে, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত
করার প্রতিবন্ধক, এদের আমরা পরাজিত করব, পরাভূত করব, প্রতিহত করব। আমাদের লড়াইকে আমরা
এগিয়ে নিয়ে যাব।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি তো কোনো দাবিকে বিচ্ছিন্নভাবে
কিছু বলতে পারি না। মন্ত্রিসভা আছে, প্রধানমন্ত্রী আছেন। তারা এত বছর পর দাবিটা তুলছেন,
কেন তুলছেন এটাও জানার দরকার আছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক
লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে
যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।
এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্থপতি
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর
প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিএনপি মুজিবনগর দিবস ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, মন্ত্রী এবং এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারবে না। তাদেরকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই রকম বার্তা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করাতে মাঠে নেমেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী এলাকাতেই এমপিরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন।
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে পিছু হটল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ছিলেন, এরই মধ্যে তাদের প্রার্থী না হতে বারণ করা হয়েছে। জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে আলোচনার পর উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্ত স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতারা তৃণমূলে জানিয়ে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।