নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ৩০ মে, ২০২০
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবরণের পর তার যে আদর্শ ও রাজনীতি ছিল, সেই আদর্শ রাজনীতি থেকে বিএনপি এখন বহু দূরে। জিয়াউর রহমানের একটি সততার ইমেজ ছিল। কিন্তু তার ছেলে তারেক রহমান হলো সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ। জিয়াউর রহমান তার পরিবারকে কখনো রাজনীতিতে প্রশ্রয় দিতেন না। কিন্তু খালেদা জিয়া যখন এসেছেন তখন তার পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন।
জিয়াউর রহমান একটা সাধারণ জীবনযাপন করতেন। অন্তত পক্ষে এটা দেখাতেন যে তিনি কমদামি জামা পড়েন। কম দামি কালো ভাঙ্গা সুটকেস ব্যবহার করতেন। আর খালেদা জিয়ার এখন কোটি টাকার ডায়মন্ডের রিং পড়েন।
বিএনপির দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এটি একটি গণতান্ত্রিক দল দাবি করা হলেও গণতন্ত্রের পাশাপাশি ধর্মীয় মৌলবাদ, সহিংসতা ও জঙ্গি কাজে মদদ দান, কখনো বিরোধী দলকে সমূলে ধ্বংসের জন্য গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অবশ্য এখনো দলে এমন কিছু নেতা রয়েছেন, যারা এ ধরনের কর্মসূচি কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। তাদের আদর্শিক চিন্তা-চেতনায় এ সমস্ত কর্মসূচি সমর্থনযোগ্য নয়।
তাই স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে বিএনপিতে দুটি ধারা বিদ্যমান রয়েছে। তাত্ত্বিক দিক বিবেচনায় একটি রাজনৈতিক দলে কার্যত আদর্শিক দ্বিধারা বিদ্যমান থাকলে সে রাজনৈতিক দলে অস্থিরতা বিরাজ করবেই। যেহেতু বিএনপি এখন সরকার বা বিরোধী দলে নেই। গণতান্ত্রিক ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী অনেকেই চান বিএনপি যেন মৌলবাদী আদর্শের পক্ষে না গিয়ে গণতান্ত্রিক পথে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের পিছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে বলেও জানা যায়। তাদের দাবি, দলটি জামায়াতে ইসলামি ও অন্যান্য মৌলবাদী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করুক।
আজকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদেরই বলতে শোনা যায়, বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। বিএনপিকে সংগঠিত করতে হলে আবার জিয়ার আদর্শে ফিরে যেতে হবে। তাহলে বলতে দ্বিধা নেই যে, বর্তমান বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শের কথা বললেও তারা আসলে এই আদর্শ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে বা বিচ্যুত হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।