নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২০
বাংলাদেশে করোনা সঙ্কট নিয়ে যখন নানাজনের নানামত, যখন আশঙ্কার কথা, জনস্বাস্থ্যের উদ্বেগের কথা এবং অনেক নীতিনির্ধারক কর্তাব্যক্তিদের মনেও আশঙ্কা-উদ্বেগের বলিরেখা, ঠিক তখন আত্মবিশ্বাসী একজন মানুষ এবং একাই যেন তিনি ঝড় সামলাচ্ছেন, এতটুকু ক্লান্তি যেন তাঁকে ভর করেনি এবং প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তা নিয়ে একাই লড়ছেন- তাঁর নাম শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা এই করোনা সঙ্কটে এতটুকু আত্মবিশ্বাস হারাননি, তাঁকে এতটুকু বিচলিত লাগছে না; বরং সঙ্কট মোকাবেলায় সকলের অভিভাবক হয়ে যেন তিনি সকলকে আশ্বস্ত করছেন, সকলকে বলছেন যে, আঁধার কেটে যাবে, ভোর আসবেই। কেন আত্মবিশ্বাসী শেখ হাসিনা? শুধু এই প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে একটি কথা বলে নেওয়া দরকার যে, কেবল এই সময়ে নয়, সবসময়ে শেখ হাসিনা প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী মানুষ। তাঁর দৃঢ়তা, সততা, নিষ্ঠা তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে এবং এবারও শেখ হাসিনা তাঁর আত্মবিশ্বাস, নিষ্ঠা এবং কর্মস্পৃহায় এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। কেন আত্মবিশ্বাসী শেখ হাসিনা এই প্রশ্নের উত্তর যদি খুঁজে দেখি তাহলে মূলত পাঁচটি বিষয় আমাদের সামনে আসে।
১. জনগণের প্রতি দরদ
শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাসের উৎসস্থল হচ্ছে জনগণের প্রতি দরদ। তিনি জনগণের মনের ভাষা বোঝেন, জনগণের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাংখা ধারণ করেন। এই জন্যেই তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা দর্শনের নাম জনগণের ক্ষমতায়ন। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, করোনা যত ভয়াবহই হোক না কেন, জনগণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যদি গতিরুদ্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে সেটা কঠিন সঙ্কটে রূপ নিবে। আর একারণেই জনগণের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি যে সিদ্ধান্তই নেন তা জনগণের কথা চিন্তা করে, জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই সিধান্ত নেন। আর একারণে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২. কৃষির বাম্পার ফলন
শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাসের আরেকটি বড় কারণ হলো কৃষিতে বাম্পার ফলন। বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে এবং অন্যান্য ফসলগুলোরও ভালো ফলন হচ্ছে। যেকারণে বাংলাদেশে যদি সঙ্কট তীব্রও হয়, তবুও খাদ্য সঙ্কট দেখা দিবেনা, খাবারের অভাবে মানুষ মারা যাবেনা। এটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁর বড় অনুষঙ্গ এবং তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
৩. বাঙালির সংগ্রাম করার মানসিকতা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাঙালির সবথেকে বেশি মন মানসিকতা বোঝেন শেখ হাসিনা। তিনি বোঝেন যে, বাঙালি সঙ্কটে জ্বলে ওঠে, তাঁরা সাহসী, তাঁরা সঙ্কট মোকাবেলা করতে পারে। কাজেই করোনা মোকাবেলায় বাঙালিদের যে সংগ্রাম করার মানসিকতা, সেই মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এগিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করেন শেখ হাসিনা এবং এটাই তাঁকে সাহসী করেছে।
৪. জেনেবুঝে কাজ করা
শেখ হাসিনা জানেন তিনি কি করছেন। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কথা শোনেন, তাঁদের পরামর্শকে গুরুত্ব দেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি জেনেবুঝে, ভালো মন্দ বিচার বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেন। যে কারণে আমাদের কাছে যে সিদ্ধান্তটি সাদামাটা, যে সিদ্ধান্তটি নিয়ে আমরা অস্বস্তি প্রকাশ করি, শেখ হাসিনা সেই সিদ্ধান্তটি অনেক চিন্তাপ্রসূত, অনেক পরিকল্পিত এবং অনেক বিন্যস্ত। তিনি জানেন আসলে তিনি কি করতে যাচ্ছেন এবং এটাই শেখ হাসিনার একটি বড় শক্তি এবং যেহেতু তিনি জেনেবুঝে এবং অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন, সেহেতু তাঁর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
৫. ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা
জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন একজন রাজনৈতিক নেতার বড় যোগ্যতা হলো তিনি ভবিষ্যৎ দেখতে পারেন এবং তারাই বড় নেতা হন যারা ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা রাখেন। শেখ হাসিনাও একজন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা রাজনীতিবিদ। তিনি ভবিষ্যৎকে তাঁর সামনে দেখতে পারেন। তিনি যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন, সেগুলোর ক্ষেত্রে তিনি আগামীর সময়টাকে মাথায় রাখেন। একারণেই তিনি ২০৪১ এবং ২১০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রূপকল্প এঁকেছেন। আর এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় তাঁর দৃশ্যপটে তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ছবি আকতে পারেন। এটা তাঁর একটি বড় যোগ্যতা এবং এই ভবিষ্যৎ রূপকল্প তাঁর সামনে এসেছে বলেই তিনি একজন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা রাজনীতিবিদ এবং একারণেই তিনি আত্মবিশ্বাসী।
শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাসের কারণে মানুষ এখনো আশা নিয়ে আছে। করোনা সঙ্কটের সময় নানারকম বিভ্রান্তি, নানারকম উৎকণ্ঠা-অস্বস্তির পরেও মানুষ মনে করছে যে শেষ পর্যন্ত জয় হবে আমাদের।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।