ইনসাইড পলিটিক্স

যাঁদের কারণে আওয়ামী লীগ বিব্রত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২০


Thumbnail

করোনা সঙ্কট মোকাবেলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত একাকার করে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন ধরণের নির্দেশনা দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগও এখন করোনা মোকাবেলায় জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। জনগণকে ত্রান দেওয়া থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্যের বিষয় দেখাশোনা করা- সব করছে আওয়ামী লীগ। করোনা সঙ্কটের সময় একমাত্র আওয়ামী লীগকেই মাঠে দেখা গেছে, জনগণের পাশে দেখা গেছে। কিন্তু এতসব ইতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষের ব্যর্থতা, দায়িত্বহীনতা, অযোগ্যতা এবং ভুল পদক্ষেপের কারণে আওয়ামী লীগ বিব্রত হচ্ছে। বাইরের মানুষ নয়, বরং আওয়ামী লীগের ভেতরেই সমালোচনা হচ্ছে। যাঁদের নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে সমালোচনা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে রয়েছে..

স্বাস্থ্যখাতে থাকা ব্যক্তিবর্গ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে এখন প্রকাশ্যেই সমালোচনা হয়, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং এমপিরা প্রকাশ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও একাধিক এমপি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ভূমিকা নিয়েও আওয়ামী লীগ বিব্রত। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এই সময় সরকার বা আওয়ামী লীগের স্বার্থ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা না মেনে একে অন্যকে ঘায়েল করা বা বিভিন্ন রকমের বিভক্তি করে একটি অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইছে বলে অনেকে মনে করছে। বিশেষ করে এই সময়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ভূমিকা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদল করা হবে এবং সেখানে একজন আমলা নিয়োগ দেওয়া হবে এই ধরণের কথাবার্তা ছড়িয়ে স্বাচিপ সভাপতি নিজেই বিতর্কিত হয়েছেন। একই পথে হেঁটেছেন আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালও। এই ধরণের বিষয়গুলো এখন করা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা। তাঁরা বলছেন যে, এখন স্বাচিপের উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা। কিন্তু সেই কাজটি অনেক ক্ষেত্রেই করছেন না। বরং এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন যাতে সরকার বিব্রতকর অবস্থার ভেতর পড়ছেন।

গার্মেন্টস মালিক

গার্মেন্টস মালিকদের বেশ কয়েকজন রয়েছেন সরকারের এমপি এবং মন্ত্রীর দায়িত্বে। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছে এবং বিশেষ করে এপ্রিলে যখন গার্মেন্টসগুলো খুলে দেওয়া হলো তখন খোদ প্রধানমন্ত্রীই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গার্মেন্টস খোলা হলেও গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়নি, শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের জন্য বিষয়টি বিব্রতকর বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক এমপি আর প্রভাবশালী নেতারা। যখন সরকার অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় প্রাণান্ত চেষ্টা করছে তখন গার্মেন্টস মালিকরা আরো প্রণোদনা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। এই ধরণের আবদারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই হতবাক হয়ে গেছে।

ত্রাণের আত্মসাৎকারী জনপ্রতিনিধিরা

এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাঁদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনাগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ের যে সমস্ত জনপ্রতিনিধি জড়িত তাঁদের কারণে আওয়ামী লীগ বিব্রত। কারণ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগ জনগণের দল হিসেবেই পরিচিত, সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে এবং জনগণের সাহায্য-সহযোগিতা করাই হলো আওয়ামী লীগের মূল বৈশিষ্ট্য। আর সেই আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রতিনিধি যখন ত্রাণের অর্থ আত্মসাৎ করে তখন তা পুরো আওয়ামী লীগকে লজ্জায় ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। আর একারণেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, যারা স্বাস্থ্যখাতে দূর্নীতি করছেন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যারা দূর্নীতি করছে তাঁদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করবে এবং দলের জন্য যারা বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তাঁদের প্রত্যেকের সম্পর্কে খোঁজখবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে এবং যথাযথ সময়ে তাঁদেরকে এর ফল ভোগ করতে হবে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন : ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপতৎপরতা সফল হবে না: নানক

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একটি কুচক্রি মহল বরাবরের মতো এখনো দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হবে না। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) গুলশানের এসকট প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত Leo Tito L. Ausan Jr. রচিত " Sleepless in Dhaka and Other Poems" শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করছে কিভাবে ছোট এই দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন সম্প্রতি মার্কিন একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রী নানক বলেন,  বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশীদের মাঝে যে আগ্রহ আছে ফিলিপাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব লিও অসাম এর কবিতার বই প্রকাশ তার প্রমাণ। তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তার সম্পর্কে জানতে। সেখানে সব কিছু দেখে তার যে উপলব্ধি তা তিনি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জেনেছেন এবং তা তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলাদেশে মাত্র একবছর সময়কালে আহসান মঞ্জিলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঢাকায় রিক্সা দেখে একে ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জর্জ হ্যারিসন এবং পন্ডিত রবি শংকরসহ যারা বিশ্ববাসীর সমর্থন পেতে সাহায্য করেছেন তাদেরকেও তিনি কবিতার মাধ্যমে স্মরণ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেমন কবিতা লিখেছেন তেমনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন। আমার ভালো লেগেছে রাষ্ট্রদূত লিও পাট থেকে তৈরি স্যুট পড়েছেন এবং কবিতার ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন। আপনার জানেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি পাট ও পাটজাত পণ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের জলবায়ু পরিবর্তন কমিশনের মন্ত্রী রবার্ট ই. এ. বোরজে, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইয়া, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ বাংলাদেশের মিডিয়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।


শান্তি সমাবেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পলক ম্যাজিক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন। 

জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালককে এবার সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করেছিলেন। শুধু প্রার্থী করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, তার বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন এবং বৈঠকে তিনি তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব যেন বিজয়ী হতে পারে সেজন্য নির্বাচনী পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। অন্য কোন প্রার্থীরা যেন নির্বাচনে প্রার্থী না হয় সে জন্য এক প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছিল। সবকিছু মিলিয়ে তরুণ জুনাইদ আহমেদ পলকের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পলক প্রমাণ করলেন যে, বয়সে তরুণ হলেও তিনি রাজনীতির মাঠে একজন পরিপক্ব খেলোয়াড়। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করেছেন এবং ম্যাজিক দেখিয়ে রাজনীতিতে তার যাত্রাপথকে শুধু মসৃণ করেননি, তিনি যে পরিপক্ক রাজনীতিবিদ হিসেবে বিকাশমান তা প্রমাণ করেছেন। 

পলকের শ্যালক যখন একজন প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় যুক্ত হয়ে যায়, তখন একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বেশ কিছু দূরদর্শী বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রথমত তিনি যারা ওই অপহরণ ঘটনার সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে চান, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত এবং তারা তার ভাই, চাচা, মামা, খালা, শ্যালক যেই হোক না কেন, তারা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই বক্তব্যটি তার নড়বড়ে অবস্থানকে কিছুটা সবল করে এবং সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে যে, পলকের মধ্যে এখনও রাজনৈতিক বোধ আছে। তিনি এখনও বিবেকহীন ক্ষমতা লিপ্সু হয়ে পড়েননি। কিন্তু তখনও অনেক চমক অপেক্ষা ছিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছিল রীতিমতো চমক এবং এমন এক সময় জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক এই সিদ্ধান্ত নেন যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এই ঘোষণার পর অনেক হেভিওয়েট নেতা যখন তাদের স্বজনদের প্রার্থী করার জন্য শেষ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, নানারকম অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন ঠিক সেই সময় জুনাইদ আহমেদ পলক অন্যরকম একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখান এবং তার শ্যালক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এটির মাধ্যমে পলক যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের আরও আস্থাভাজন হলেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু নীতি নির্ধারকদের আস্থাভাজন হননি পলক, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি যে রাজনৈতিক ভাবে দূরদর্শী, পরিপক্ক এবং সুদূর প্রসারী চিন্তা করেন তা প্রমাণ করেছেন।

স্থানীয় পর্যায়ের নেতা জুনাইদ আহমেদ পলক এই একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। রাজনীতিতে মাঝে মাঝে একটি সিদ্ধান্ত মানুষকে অমরত্ব দেয়। আবার একটি সিদ্ধান্ত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলে। পলকের এই সিদ্ধান্ত তাকে রাজনীতিতে একটি উজ্জ্বল আসন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে তিনবারের প্রতিমন্ত্রী থাকার পর যখন অনেকে তার রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছিলেন তখন জুনাইদ আহমেদ পলক এই ম্যাজিক দেখিয়ে প্রমাণ করলেন রাজনীতিতে তিনি পরিপক্ক। তিন বার প্রতিমন্ত্রী থাকার জন্য তিনি যথেষ্ট যোগ্য। 


জুনাইদ আহমেদ পলক   নাটোর   তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঘোষণা দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো বিএনপির রাজপথের কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা তা আবার প্রত্যাহার করতে হলো ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিকে। এবার প্রকৃতিও যেন বিএনপি সঙ্গে বৈরি আচরণ করলো। আগামী শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের কারাবন্দী নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশের ঘোষণা করেছিল দলটি। আর এই সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে আবার রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছিল ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি। 

তবে বিএনপির এই সময়ে এ ধরনের কর্মসূচির যৌক্তিকতা নিয়ে যেমন দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে তেমনি সাধারণ মানুষ এই ধরনের কর্মসূচিতে খানিকটা বিরক্ত। সারা দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে এবং চটজলদি এ ধরনের দাবদাহ কমার সম্ভাবনা নেই। বরং আবহাওয়া অফিস যে বার্তা দিয়েছে তাতে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে এরকম একটি অস্থির আবহাওয়ার মধ্যে বিএনপি আগামী শুক্রবার এই কর্মসূচি কেন দিল তা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরাই বিস্মিত। যদিও চলমান তাপপ্রবাহের কারণে পূর্ব ঘোষিত আগামী ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত করেছে দলটি। সমাবেশের নতুন তারিখ নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন তারিখ নির্ধারিত হলে জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

তবে বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন যে, দলের ভিতর হতাশা, ব্যর্থতার গ্লানি এবং অস্থিরতা কাটানোর জন্যই বিএনপি রাজপথে কর্মসূচি দিয়েছে। বিএনপিতে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে এক ধরনের অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রথমত, বিএনপি যে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে এই বর্জনের ফলে দলের ভিতর এক ধরনের অস্বস্তি এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দলের নেতারা মনে করছেন যে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনসংযোগ বৃদ্ধি করা যায়, সংগঠনকে শক্তিশালী করা সম্ভব। আর এ কারণেই বিএনপির কেউ কেউ বলছে, যদি রাজপথে নিয়মিত কর্মসূচি দেওয়া যায় তাহলে কর্মীরা চাঙ্গা থাকবে। তাই বিএনপির সমাবেশ। 

দ্বিতীয়ত, বিএনপির মধ্য থেকে কয়েক জন নেতা মনে করছেন যে, সরকারকে একটু চাপে রাখার কৌশল অবলম্বন করতে হবে। না হলে এই সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পাত্তাই দেবে না। আর সে কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে এখন এই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। 

তৃতীয়ত, বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে হতাশা তৈরি হয়েছে সেই হতাশা কাটানোর জন্য সাংগঠনিক কর্মসূচি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলেই বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ মনে করছেন, যে কারণে তারা এধরণের কর্মসূচি প্রদান করেছেন। কিন্তু বিএনপির নেতৃবৃন্দ যারা দায়িত্বশীল এবং আন্দোলন সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তারা মনে করেন যে, এই মুহূর্তে এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কারণ এখন দেশের জনগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত না, রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত না। 

তাছাড়া বিএনপির মধ্যে কথা ছিল যে, তারা কর্মসূচি দিবেন জনস্বার্থ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। যেমন- দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং ইত্যাদি। সেটি না করে তারা বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে এই সময়ে হঠাৎ করে এ ধরনের কর্মসূচি কেন মানুষ গ্রহণ করবে? বেগম খালেদা জিয়ার কারাভোগ এখন একটি বাস্তবতা। এটির বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন করেছে কিন্তু কোন ফলাফল পায়নি। এখন নতুন করে এই ইস্যুটিকে সামনে নিয়ে এসে দলটি কি অর্জন করতে চায় তা নিয়েও বিস্মিত। কারণ যে ইস্যুটি একটি পরিত্যাক্ত ইস্যু, যে ইস্যুটি আদালতের বিচারাধীন একটি ইস্যু এবং যেহেতু বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ইতোমধ্যে সরকার সহানুভূতি দেখিয়েছে, তাকে কারাগার থেকে ফিরোজায় থাকার অনুমতি দিয়েছে সেহেতু এখন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে রাজপথের আন্দোলন অযৌক্তিকই শুধু নয়, হাস্যকরও বটে। আর বিএনপি তার নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই এ ধরনের উদ্ভট কর্মসূচি দিচ্ছে বলে বিএনপির কেউ কেউ মনে করেন।

বিএনপি   কর্মসূচি   ২৬ এপ্রিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন