নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২০
করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর এই লড়াইয়ে যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একা। তিনি করোনা মোকাবেলার যে কর্মপন্থা নির্ধারণ করছেন, কর্মকৌশল নির্ধারণ করছেন মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। তাঁরা মনে করছেন যে, করোনা নিয়ে সরকারের ঘরে-বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, স্যাবোটাজ হচ্ছে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য নানামূখী কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা যায় যে তাঁরা উদ্বিগ্ন। তাঁরা মনে করছেন যে, এখনই সরকারকে সতর্ক হতে হবে নাহলে সামনে অনেক বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা, তৃণমূলের কর্মীরা যে পাঁচ ধরণের অব্যবস্থাপনা এবং ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন তাঁর মধ্যে রয়েছে-
১. প্রশাসনের ষড়যন্ত্র
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা জেঁকে বসেছে। আওয়ামী পন্থী এবং প্রভাবশালী আমলাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখল করে নিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে কেলেঙ্কারি, বিএনপি-জামায়াত ঘনিষ্ঠ একজনের সচিব হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন পদে বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের অধিষ্ঠিত হওয়াটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন যে, বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা এখন নতুন নীলনকশার পরিকল্পনা করছে। তাঁরা প্রশাসনের ভেতরে ঢুঁকে সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কৌশল নিয়েছে এবং সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসীন হচ্ছেন।
২. স্বাস্থ্যখাতে ষড়যন্ত্র
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে তাঁরা মনে করছেন স্বাস্থ্যখাতে পরিকল্পিতভাবে স্যাবোটাজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আওয়ামী লীগের চিন্তাচেতনাকে ধারণ করেন না, তাঁরা নানা কূটকৌশল অবলম্বন করে তাঁদের দায়িত্বে টিকে আছে এবং তাঁরা প্রকাশ্যে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন যে, স্বাস্থ্যখাত যেভাবে কাজ করছে তা প্রকাশ্যই সরকারকে ডুবানোর জন্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সমালোচনা করেছেন। স্বাস্থ্যখাতে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেই ঘটনাগুলো অযোগ্যতা নয়, স্যাবোটাজ এবং ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা।
৩. সিদ্ধান্তহীনতা
প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াত পন্থিদের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে এখন সরকারের মাঝে সিদ্ধান্তহীনতা দেখা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত অনেক বিষয়েই সরকার শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যাপক সমালোচনার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কি, লকডাউন নিয়েও দেখা যাচ্ছে একের পর এক সিদ্ধান্তহীনতা। এরকম সিদ্ধান্তহীনতা বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন যে, এটাও ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।
৪. সঠিক তথ্য প্রাপ্তিতে বাঁধা
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সঠিক তথ্য জানতে দেওয়া হচ্ছেনা এবং তাঁর আশেপাশে যারা আছে তাঁরা প্রকৃত তথ্য গোপন করছে এবং করোনার কারণে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতের কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা শেখ হাসিনার তথ্য প্রাপ্তির মূল উৎস সেই নেতাকর্মীরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারছেন না। ফলে অনেক তথ্যই তিনি সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রাপ্তিতে বাঁধার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্র আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
৫. পরিকল্পিত অপপ্রচার
বাংলাদেশের মূল ধারার গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে এবং সরকার করোনা মোকাবেলা করতে পারছে না এধরনের একটি ধারণা জনগণের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার একটি পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। একটি জনপ্রিয় দৈনিক করোনার সময়ে বিভিন্ন মৃত ব্যক্তির ছবি ছাপিয়েছে। যেটা অনৈতিক এবং জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করা, ক্ষোভ ঘনীভূত করাই এই প্রচারণার মূল অংশ। অধিকাংশ মূল ধারার পত্রিকাই এখন সরকারের সমালোচনায় মুখর। অথচ সরকারের যে ইতিবাচক দিকগুলো সেগুলো কোথাও তুলে ধরা হচ্ছেনা। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন যে, এই ঘরে-বাইরের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে খুব দ্রুত দরকার রাজনৈতিক উদ্যোগ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা আসন্ন উপজেলা
নির্বাচনে অংশ নিবে না। আর যদি দলটির কোনো নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়
তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বহিষ্কারও করা হতে পারে
বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
তবে দলের এমন কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন
তৃণমূল বিএনপি’র নেতারা। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়
প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি দলের। বরং এই
নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে
চলছে তোলপাড়। বাড়ছে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব। বর্তমানে যেসকল নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে
রয়েছে তাদের নির্বাচন থেকে ফেরানো নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপি’র নীতিনির্ধারকেরা।
তারা মনে করছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের ফেরানো না গেলে পরের ধাপগুলোতে
প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে, আর তাতে দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ
হবে। এই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে এই নির্বাচনে বিএনপির ৪৫
নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির তৃণমূলের একাধিক নেতা
বলছেন, জাতীয় আর স্থানীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে
তাদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী
থাকবেন। এতে বিএনপির অনেক নেতার সম্ভাবনা আছে জেতার।
অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করে বসে আছেন যে, মনোনয়ন
প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিলের আগেই সবাই ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে কঠোর
সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা
নির্বাচনে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের
প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি এক সংবাদ
বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাদের দাবি এ নির্বাচন হচ্ছে
‘প্রহসনমূলক নির্বাচন’।
কিন্তু কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া
হলেও সারা দেশের নেতাকর্মীদের অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যারা বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তারা
নির্দলীয় ব্যানারে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। আর যেহেতু তারা স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন
করার প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য লন্ডন বা দলের কেন্দ্রীয় মহলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়
থাকছেন না।
নির্বাচনে আগ্রহী ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ যুবদলের সহসভাপতি মাজহারুল
ইসলাম জুয়েল বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে এবং তাদের সংঘবদ্ধ করতেই উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন
অংশ নিলে বহিষ্কারও করতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রিশাল উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে
গণসংযোগ করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে জনগণ চায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের
প্রতিনিধি হই।
এছাড়াও ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার শাদাত বলেন, আমার বাবা
বিএনপি থেকে ত্রিশালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। আমার বাবার
ইচ্ছা ছিল আমিও জনপ্রতিনিধি হই। তার ইচ্ছাতেই বিএনপির সঙ্গে আছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
অংশ নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে জনগণের সেবা করতে
চাই। যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় কোনও প্রতীক থাকবে না, সেই বিবেচনা থেকে
আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদল সাধারণ
সম্পাদক আল মামুন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য এবার
তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি
নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল বলেন, তৃণমূলের অনেক নেতাই নির্বাচন করতে আগ্রহী।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন
বর্জনের পরপরই উপজেলা নির্বাচন বিএনপিকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। নির্বাচনে
অংশ না নিলে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তিনি জানান, আমরা
দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত। তার পরও অনেক সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থানীয়
মতামতে ভিন্নতাও আসে। আমরা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার
নির্বাচন শুরু হয়। বিএনপি ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। বরং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে
অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর আগেও সিটি করপোরেশন বা ২০১৯
সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তা সত্ত্বেও দলটির তৃণমূলের
অনেক নেতা অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দেড় শতাধিক প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে না। আর যদি দলটির কোনো নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বহিষ্কারও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে দলের এমন কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র নেতারা। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি দলের। বরং এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতে পারে।
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।