নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২০
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এককালীন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আলাউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেছেন, জেলার দায়িত্ব পালনে সচিবরা ব্যর্থ হয়েছেন। একজন সচিব তার দাপ্তরিক দৈনন্দিন কাজকর্মে এতই ব্যস্থ থাকেন যে, এই কাজকর্ম সামাল দিয়ে তার পক্ষে জেলার দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। একজন সচিবের একটি মন্ত্রণালয় দেখভাল করতে হয়। তার প্রচুর রুটিন কাজ থাকে। এই রুটিন কাজ করে তিনি তার পরিবারকেই সময় দিতে পারেন না। তার ওপর জেলার দায়িত্ব মোটেও পালন করতে পারছেন না।
আলাউদ্দীন নাসিম বলেন, হয়তো তারা জেলায় ফোন করছেন কিংবা দুয়েকবার যাচ্ছেন কিন্তু এতে জেলায় করোনা পরিস্থিতিতে যে সমস্যা, যে সমস্ত সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দরকার সেগুলোর কিছুই হচ্ছে না। তিনি মনে করেন, এ সময় জেলার দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিলো একজন রাজনীতিবিদ এমপিকে। যিনি এলাকায় পরে থাকবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে এলাকার সমস্যাগুলো দেখবেন এবং সেগুলোর সমাধানের জন্য উপর মহলে যোগাযোগ করবেন। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপে এই মন্তব্য করেন।
আলাউদ্দীন নাসিম আওয়ামী লীগের নেতা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধী দলের নেতার একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের চাকুরী থেকে ২০০৮ সালে উপসচিব অবস্থায় পদত্যাগ করে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনো ঘুমিয়ে আছে। একটি এলাকায় যে পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে তাতে সকলে অতিষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের এখন ত্রাণে বা খাদ্যের কোন সঙ্কট নেই। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন যে, আমার এলাকার কথা যদি আমি বলি, সেখানে পুরো নোয়াখালী অঞ্চলে একটি মাত্র পিসিআর ল্যাব। সেটি আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ফেনীতে আজ ৩৫০ টির মতো পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট পাওয়া গেছে মাত্র দুইটা। ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হয়।
উল্লেখ্য যে, আলাউদ্দীন নাসিম তার নিজস্ব উদ্যোগে ফেনী জেলায় আইসিইউ বেড স্থাপন করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তার পিতা এবং মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত সালাউদ্দীন হোসনে আরা চৌধুরী ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ফেনীতে ৫ টি আইসিইউ বেড চালু করা হয়েছে। এছাড়া তিনি ফেনী সদরে ৪০ টি এবং বাকি ৫ টি উপজেলায় ৫০ টি, অর্থ্যাৎ ৯০টি বেডে হাউফ্লো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া তিনি নজেল ক্যানুলা দিয়েছেন ফেনীতে। মানুষের পাশে এভাবে দাড়িয়ে তিনি করোনা মোকাবিলায় ফেনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার এই ব্যক্তিগত উদ্যোগ সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
আলাউদ্দীন নাসিম বলেন, আমি যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম তাহলে এগুলো হতো না। দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে পড়ে যেত। কিন্তু আমাদের এলাকার মানুষদের বাঁচানোর জন্য এর কোন বিকল্প ছিলো না। তিনি বলেন, শুধু আমার এলাকা না, সব এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটা হাহাকার তৈরী হয়েছে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এখনো ঘুমিয়ে আছে। কোন কিছুই হচ্ছে না। আলাউদ্দীন নাসিম বলেন যে, এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গতি আনাটাই হলো সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যা করেছি সেটা যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করতে যেত তাহলে তাঁরা তা ১ বছরেও পারতো কিনা আমারসন্দেহ।
আলাউদ্দীন নাসিম বলেন যে, এখন বাংলাদেশের সবগুলো জেলাতেই স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এক ধরণের অস্বস্তি, অপ্রাপ্তি এবং হাহাকার রয়েছে। করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা যেমন করা দরকার, তেমনি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যে ব্যবস্থাপনাও দরকার। চাইলে এটা খুব সহজেই করা যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবকিছু যেন স্থবির হয়ে আছে। যেকোন জেলায় একই চিত্র, আপনি যদি কোন সিভিল সার্জনকে ফোন করেন, তাঁর কাছে যদি কোন সমস্যার সমাধান চান তা দিতে পারবে না। এই অবস্থার অবসান ঘটা উচিত বলে তিনি মনে করেন। আলাউদ্দীন নাসিম বলেন যে, প্রত্যেক জেলায় যদি একজন রাজনীতিবিদকে দায়িত্ব দেয়া হতো তাহলে দ্রুত উপরে চেষ্টা-তদবির করে এই বিষয়গুলোর সমাধান নিতেন। সচিবদের পক্ষে এটা সম্ভব না, কারণ সচিবদের সঙ্গে এমনিতেই জনগণের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি দুরত্ব রয়েছে। তারপর এলাকায় জানাশোনার অভাব রয়েছে।
তবে আলাউদ্দীন নাসিম মনে করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবেলার জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা এবং জনগণের সমস্যাগুলোর আলোকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সমস্যার সমাধান করা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।