নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২০
আমরা জানি যে, শেখ হাসিনা ধৈর্য্যশীল, ক্ষমাশীল এবং তাঁর সহ্য ক্ষমতা অপরিসীম। আর এই করোনাকালে তাঁর সহ্য ক্ষমতার আমরা নতুন মাত্রা দেখছি যে, তিনি ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাইছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার এই ধৈর্য্য এবং সহ্য ক্ষমতাকে অনেকে দূর্বলতা মনে করছে কিনা সেই ব্যাপারে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যক্তির জন্য জনদূর্ভোগ যে চরম সীমায় পৌঁছে গেছে সেজন্য মানুষ অপেক্ষা করছে যে, শেখ হাসিনার ধৈর্য্যের বাঁধ কখন ভাঙবে, কখন তাঁর সহ্যের সীমা অতিক্রম করবে?
কারণ করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে ন্যাক্কারজনক, নজিরবিহীন, অকর্মণ্যতা, অযোগ্যতা এবং দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে তাতে তাঁদের বিরুদ্ধে বহু আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য্যশীল, ক্ষমাশীল এজন্য তিনি মনে করেছেন যে, করোনা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই নতুন অভিজ্ঞতা। তাই তাঁদের হয়তো বুঝে উঠতে সময় লাগছে। তাঁরা হয়তো খাপ খাওয়াতে পারেনি। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে যে, আসলে সমস্যা তাঁদের আন্তরিকতায়, তাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁরা জনগণ এবং সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে। এখন প্রধানমন্ত্রী কি পদক্ষেপ নেন সেদিকে তাকিয়ে আছে আপামর জনগণ। শেখ হাসিনা এই সমস্ত অপকর্মকারী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। কারণ এটার সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন জড়িত।
করোনা সঙ্কটের শুরু থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একের পর এক অপকর্ম করেছে। চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে যেমন তাঁরা অপকর্ম করেছে, তেমনি করোনা পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব এমন সব প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়েছে যারা নমুনা পরীক্ষা না করেই মানুষদের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমন কর্মকাণ্ড করেছে- যে কর্মকাণ্ড নূন্যতম কোন মানুষের পক্ষে করা অসম্ভব। এই করোনাকালেও দুর্নীতিবাজদের উল্লাসের নৃত্য দেখা গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। প্রত্যেকটা কেনাকাটায় নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য যে মেশিন কেনা হয়েছে সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২০০৯ এর মডেলের। সারাদেশে মেশিন বসানোর ক্ষেত্রে সীমাহীন উদাসীনতা দেখা গেছে। যে হাসপাতালগুলোকে করোনা চিকিৎসার জন্য করা হয়েছে সেই হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা কখনোই দেওয়া হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একমাত্র চিন্তা কোন কাজ দিলে কে কত টাকা দেবে। এরকম ভাবনা থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি এখন রুপকথাকেও হার মানিয়েছে।
সর্বশেষ রিজেন্ট হাসপাতালের যে ঘটনা, সেই ঘটনায় মানুষ বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। যেই হাসপাতালটির অনুমোদন নেই, সেই হাসপাতালটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিভাবে চুক্তি করেন? স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কক্ষে পায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে ওই ভুয়া প্রতারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কিভাবে বৈঠক করেন? এই সমস্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে।
আমরা জানি যে প্রধানমন্ত্রী অনেক ধৈর্যশীল, তিনি স্থির এবং ঠান্ডা মাথায় সব সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করে বলতে হয়, এখন বোধহয় দেরী হয়ে যাচ্ছে। এখনি যদি এ সমস্ত অপকর্মকারী এবং অমানবিক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে জনগনের মধ্যে হতাশা বাড়বে। কারণ জনগনের শেষ আশ্রয়স্থল হলেন আপনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাধারণ মানুষের তাই এখন একটাই কথা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর হতে হবে। যারা জনগনের প্রতিপ্রক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।