ইনসাইড পলিটিক্স

‘কাউকেই ছাড়া হবেনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে গেলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা এবং আদেশের কারণেই গ্রেপ্তার হলেন প্রতারক সাহেদ এবং এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা শূণ্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ১ সপ্তাহ যাবত সাহেদ গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান কেন গ্রেপ্তারে দেরি হচ্ছে। এই ব্যাপারে শুধু সাহেদ নয়, সাহেদের সঙ্গে যারা যারা সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নির্দেশ দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, কাউকেই ছাড়া হবেনা। শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কিভাবে সাহেদ জড়াল, আওয়ামী লীগে কারা সাহেদকে নিয়ে আসলো বা কারা সাহেদকে বিভিন্ন উপকমিটিতে স্থান দিলো সে ব্যাপারেও খোঁজ নিতে দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, রিজেন্ট হাসপাতালের ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, এই ধরণের অপকর্ম কিভাবে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অবিলম্বে তিনি সাহেদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন এবং সাহেদ যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পান সে ব্যাপারেও নির্দেশনা প্রদান করেন।

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সরকারের যে অর্জন এবং করোনা মোকাবেলায় পদক্ষেপগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে এরকম হাতেগোনা দু-একটি অপকর্মকারীর খারাপ কাজের জন্য। এই পরিস্থিতি যেন না হয় সেজন্য কঠোর অবস্থানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এখন কাজ করছে। শুধু সাহেদ একা না, সাহেদের মতো আরো যারা বিভিন্ন রকম অপকর্ম করছে তাঁদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য। সূত্রগুলো আরো বলছে যে, রিজেন্ট হাসপাতালের এই অপকর্মের পর প্রধানমন্ত্রী বিষ্মিত হন এবং করোনার সময়ে এই ধরণের দুষ্কর্ম মানুষ কিভাবে করেন সেই প্রশ্ন তিনি করেন এবং এর পরপরই সাহেদকে আইনের আওতায় দ্রুত আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, শুধু সাহেদ নয় এই করোনার সময় যারা অপকর্ম করেছে, দুষ্কর্ম করেছে তাঁদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে এবং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সাহেদের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট ছিল এবং সেখানে প্রভাবশালী মহলের কেউ সম্পৃক্ত ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে এবং এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাঁদের সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। এখানে যদি আওয়ামী লীগের কোন ব্যক্তিও থাকে বা প্রভাবশালী কোন সরকারি কর্মকর্তাও জড়িত থাকে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন যে, সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হবে এবং সেখানে দেখা হবে যে সাহেদের সঙ্গে কারা কারা সম্পৃক্ত ছিল। এখানে কারো পরিচয় দেখা হবে না, যারা সম্পৃক্ত তাঁদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, শুধু সাহেদ নয়, কোন অপকর্মকারীকেই ছাড় দেওয়া হবেনা এবং এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইফতার পার্টির নামে গিবত পার্টি করছে বিএনপি: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সংযমের এই রমজান মাসে ইফতার পার্টির নামে বিএনপি গিবত পার্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এবং কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গিবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গিবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনএম ও সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে মুখ খুললেন মেজর হাফিজ

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিতে যোগ দেওয়ার ফরম পূরণ করেছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান-এমন একটি সংবাদ ও ছবি তোলপাড় সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন মেজর হাফিজ নিজেই।

তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আমার কাছে উৎসাহ না পেয়ে তিনি চলে যান। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বনানীতে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মেজর (অব.) হাফিজ।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের ৪ থেকে ৫ মাস আগে আমার কাছে আসেন সাকিব। সেসময় তার সঙ্গে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। সাকিবের সঙ্গে আমার ছবিটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে, তা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জ্বিত হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি ৩২ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে রয়েছি। আমার পক্ষে দল ত্যাগ করা সম্ভব নয়। বয়স হয়েছে আমি আর কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাবো। সামরিক বাহিনীর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার কাছে আসে নতুন একটি দল খোলার জন্য। তারা হয়তো ভেবেছে আমি বিএনপি ত্যাগ করতে পারি। কারণ বিএনপির সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দ্বিমত থাকে। কিন্তু এ ধরনের কোনো বিষয় নেই। আমি বিএনপির সঙ্গেই আছি। আমি বিএনএমে যোগ দেইনি।

সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন পরিচিত কর্মকর্তা নতুন দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তাদের বলেছি, রাজনীতিতে কোনো শর্টকাট নেই।’

দেশে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে থেকেই সরকারি দল করা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যোগাযোগ করা শুরু করে জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা দেখেছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আমার মাঝে মাঝে দ্বিমত থাকে। তারা ধরে রেখেছিল যে বিএনপি ত্যাগ করার জন্য আমি উন্মুখ।’ তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম, আমার পক্ষে ৩২ বছর পর দলত্যাগ করা সম্ভব নয়। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেব।’

বিএনএম   সাকিব আল হাসান   মেজর হাফিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন কাদের

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ ক্রিকেটের রত্ন সাকিব আল হাসান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন নিয়ে হয়েছেন মাগুরা-১ আসনের এমপি। তবে এরই মাঝে ভিন্ন এক সমালোচনার জন্ম নিয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।

গুঞ্জন উঠেছে, দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্বে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সাবিকের এমন কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছে। এর আগে সে কোনো দল করেছে কি না সেটা আওয়ামী লীগের কাছে বিবেচ্য নয়।

কাদের আরও বলেন, নমিনেশন চাওয়ার আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে।

তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া সরকারে কেউ ক্ষমতা বসাতে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


সাকিব   ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা এবং দণ্ড স্থগিতের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

চলতি বছরের ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

জানা যাই, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুই শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ইতোপূর্বে আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়। যার মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়।


বিএনপি   খালেদা জিয়া   মুক্তিবিষয়ে সিদ্ধান্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিদেশ যাওয়ার জন্য রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার মুচলেকা দেবেন বেগম জিয়া?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা এই আবেদন এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন যে, সচিব তাকে ফাইলটি পাঠিয়েছেন। এটি তিনি দেখছেন। আগামীকাল তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আইনমন্ত্রী এও বলেছেন যে, এ ব্যাপারে পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি খুব একটা সরে আসবেন না। 

স্থায়ী স্থায়ী জামিন বলতে কি বোঝানো হয়েছে—এই প্রশ্ন করলে আইনমন্ত্রী বলেছেন যে, তার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে আগের যে অবস্থান সেই অবস্থানের কোন পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ শামীম ইস্কান্দার যে আবেদন করেছেন, সেই আবেদনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া সম্ভব নয়। এটা সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে এখন তার পরিবার অন্য কৌশল গ্রহণ করেছে। বেগম খালেদা জিয়া ভবিষ্যতে আর কখনও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন না, বিএনপির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই—এরকম একটি পৃথক আবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রবল বাধা রয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি একমাত্র উপায়। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন এই কারণে সরকার তাকে বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দিচ্ছে না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়া যেন বিদেশ যেতে পারেন এ জন্য আবার শামীম ইস্কান্দার এবং তার বোন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এখন পর্যন্ত তিনি সাক্ষাতের সময় পাননি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনের আগেই শামীম ইস্কান্দার বিএনপির সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পর্কচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান ঘটতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে শামীম ইস্কান্দার বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। 

তবে বিএনপির সকল নেতাই এ ব্যাপারে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে এ ব্যাপারে একটি খসড়া তৈরি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন শামীম ইস্কান্দার। এই তথ্যটি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। কিন্তু মাহবুব উদ্দিন খোকন বেগম খালেদা জিয়ার এই ধরনের মুচলেকা দেওয়া বা দল থেকে পদত্যাগের ঘোর বিরোধিতা করেছেন। 

খোকন বলেছেন, এটি ফলে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটবে এবং সারা জীবনের অর্জন বিসর্জন হবে। কিন্তু তারপরও শামীম ইস্কান্দার এই বিষয়টি নিয়ে গোঁ ধরে আছেন। তিনি আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গেও এ বিষয়ে পরামর্শ করছেন। 

বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না কারণ তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন। বিদেশে গেলে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করবে। কিন্তু বাস্তবে বেগম খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ এবং রাজনীতি, ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে তার মোটেও মনোযোগ নাই। এমনটি বলছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তাছাড়া শামীম ইস্কান্দারের মতো বিদেশে যেতে না দেওয়ার পিছনে একটি যৌক্তিক কারণ ছিল। আর সেই কারণ হল তখন নির্বাচন ছিল। এখন সেরকম নির্বাচনের প্রসঙ্গ নেই। সরকার নতুন নির্বাচন করেছে এবং এই নির্বাচনের বিএনপিও কোন আন্দোলন সংগ্রাম করছে না। খালেদা জিয়া তার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ব্যস্ত। এ রকম সময়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠালে সরকারের ক্ষতি হবে না। আর এজন্যই তারা আরেকবার প্রধানমন্ত্রীর করুণা প্রার্থী। তারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতেরও চেষ্টা করছেন বলে একাধিক সূত্র নিম্চিত করেছে। তবে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা বিএনপিতে কি প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে এবং বিএনপির কি পরিণতি বয়ে আনবে সেটি নিয়ে অনেকে চিহ্নিত।


খালেদা জিয়া   বিএনপি   আইনমন্ত্রী আনিসুল হক   শামীম ইস্কান্দার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন