ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রীদের তালিকাপ্রীতি এবং তালিকা বিভ্রান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ যেমন কিছু অনাকাঙ্খিত বাস্তব মোকাবিলায় ব্যস্ত হয়েছে তেমনি ক্ষমতাসীন দলের কিছু মন্ত্রী এমপিদের বালখিল্যতা এবং দায়িত্বহীনতায় মানুষ ক্রমশ বিরক্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একা সঙ্কট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একদিকে যেমন করোনা সঙ্কট, তেমনি অর্থনৈতিক সঙ্কট, নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি- সব মিলিয়ে দেশের নাজুক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তার কিছু মন্ত্রী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের বালখিল্যতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ এবং পরিকল্পনাগুলো ব্যহত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময় কিছু কিছু মন্ত্রীর তালিকাপ্রীতি দেখা যাচ্ছে। কথায় কথায় তারা তালিকা প্রণয়ন করছেন। আর এই তালিকা নিয়ে তৈরী হচ্ছে বিভ্রান্তি এবং কোন কারণ ছাড়াই সরকারের উদ্যোগ ও ভালো কাজগুলো আড়াল হয়ে যাচ্ছে। তালিকা নিয়ে যত বিতর্ক তৈরী হচ্ছে তত সমালোচিত হচ্ছে সরকার। এরকম তালিকার সর্বশেষ সংযোজন হয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন।

অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন

বাংলাদেশে যখন গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের একটা টানাপোড়েন চলছে, মিডিয়াগুলো সরকারের ভালো কাজগুলো না দেখে শুধুমাত্র সমালোচনা করছে- সেই সময় মিডিয়াকে আস্থায় নিয়ে একটা পরিকল্পিত কর্ম পরিকল্পনা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি মিডিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। কিন্তু তখনই তথ্য মন্ত্রণালয় বিভাজন নীতি গ্রহণ করেছে। যে ৩৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা গত গভীর রাতে প্রকাশিত হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর এবং এতে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্যনির্ভর বহুল প্রচলিত অনলাইন পোর্টালগুলো এই তালিকায় না থাকা নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরী হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে যে, এখন এই তালিকার দরকার কি ছিলো? সবগুলো অনলাইন পোর্টালের আবেদন যাচাই বাছাই করে উপযুক্ত কমিটি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন নেওয়ার পর একসঙ্গে তালিকা প্রকাশ না করে হঠাৎ করে কি এমন জরুরি পরিস্থিতি তৈরী হলো যে ৩৪ টি নাম প্রকাশ করতে হলো? কার এমন তাগাদা ছিলো যে তালিকা প্রকাশ করা জরুরি- এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। যে ৩৪ টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেই নাম দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরণের হাস্যরস তৈরী হয়েছে। এই তালিকায় কিছু কিছু পোর্টাল আছে যেসবের নাম দেশের অনেক মানুষই এর আগে শোনেনি।

রাজাকার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বিতর্ক

দ্বিতীয় আলোচিত তালিকাপ্রীতি এবং বিভ্রান্তির ঘটনা ঘটিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।  মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে বর্তমান মন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের ঘোষণা দেন। গত বছর এরকম একটি তালিকা প্রকাশ করে তিনি চরম বিতর্কিত হন। বিতর্কিত এ তালিকায় এমন কিছু নাম ছিলো যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এই বিতর্কিত তালিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয় তালিকা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। সাম্প্রতিক সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আরেকটি তালিকা নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। এ তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এই সময় হঠাৎ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে কেন এই তালিকা দিতে হবে? যখন পুরো দেশ অন্যরকম একটা সঙ্কটে, তখন তালিকা প্রণয়নের ফুরসত মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রী কিভাবে পান সেও এক প্রশ্ন বটে।

গৃহহীনদের তালিকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন যে, মুজিববর্ষে তিনি সব গৃহহীনদের গৃহ উপহার দিবেন। এজন্য প্রত্যেকটি জেলা থেকে তালিকা করা হয়। মজার ব্যাপার হলো যে, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রণয়ন করেছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের। এই তালিকাটি যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসে তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই হতবাক হয়ে যান। গোপালগঞ্জে এত গৃহহীন মানুষ কিভাবে এলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওই তালিকা বাদ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোাগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কেন এ ধরণের তালিকা তৈরী করেছিলো তা নিয়েও জনমনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

ত্রাণের তালিকা

করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ত্রাণের তালিকা নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই ত্রাণের তালিকা সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে স্বয়ং সরকার প্রধান এবং নীতিনির্ধারকরা এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। এ তালিকা নিয়ে পক্ষপাতিত্ব এবং এমন ব্যক্তিদের নাম ঢুকানো হয়েছে যারা আসলে যোগ্য নন- এমন নানা অভিযোগে ভরা তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি এখনো থামেনি।

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের তালিকা

গত ঈদে প্রধানমন্ত্রী একেবারে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে আড়াই হাজার করে টাকা ৫০ লাখ পরিবারকে অর্থ সহায়তার কর্মসূচী ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই অনবদ্য এবং অসাধারণ উদ্যোগটি বিতর্কিত হয় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তালিকাপ্রীতি এবং তালিকা বিভ্রান্তির কারণে। এই তালিকা নিয়ে এমন সব সমালোচনা আসতে থাকে যাতে সরকার নিজেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। দেখা যায় যে, একই মোবাইল নাম্বার থেকে অনেকজনকে এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। অনেককে এই তালিকায় ‍যুক্ত করা হয়েছিলো যারা আসলে ত্রাণ সহায়তায় উপযুক্ত নন। তীব্র সমালোচনার মুখে এই তালিকা সংশোধন করা হয় বটে কিন্তু সরকারের যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে।

প্রশ্ন উঠেছে যে, মন্ত্রীদের কেন এমন তালিকাপ্রীতি এবং তাঁরা কেন তালিকা নিয়ে বিভ্রান্ত করে? মন্ত্রীদের কাজ খুবই সুনির্দিষ্ট। মন্ত্রীরা সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারটি দেখবেন এবং মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনী অঙ্গীকারের আলোকে কাজ করার জন্য নেতৃত্ব দেবেন। তারা কি কারণে এরকম তালিকা বিভ্রান্তিতে পড়েন সেটি নিয়ে আসলেই একটি গবেষণা করা যেতে পারে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তাদের সব অপকর্মকে আড়াল করতেই জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া, গ্রেপ্তার হওয়া ও কারাগারে যাওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার নব্য বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম, অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‌‘দেশের মানুষ নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা তখন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ আদালতকে দিয়ে সাজা প্রদান ও জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নির্মম আচরণ, দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার তাদের দুঃশাসন চালাতে আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহসভাপতি ইসলাম উদ্দিন, হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন মন্টি, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন, হাজারীবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মাসুম, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, মহিলা দল নেত্রী ফাহমিদা এবং বংশাল থানার অপর একটি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ জন নেতাকর্মী যথাক্রমে মো. সোহেল, মো. সিদ্দিক, সাহেদ, আনিস, সাবের ও মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না এমপি-মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ এই হেভিওয়েট নেতা। 

শুধু তাই নয়, এর আগে একাধিকবার আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় বিভিন্ন ফোরামে এ নির্দেশ দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ নেতারাও নিয়মিত সংবাদ সন্মেলনগুলো এই বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে এবার উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না। দল থেকে কাউকে মনোনয়নও দেবে না। এমনকি দলের কোন নেতাকর্মী দলীয় পদ-পদবীও ব্যবহার করে নির্বাচন করতে পারবে না। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান না নেয় কিংবা সমর্থন না জানায় সে ব্যাপারে বারংবার হুশিয়ার উচ্চারণ করে আসছে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। কারণ আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং নির্বাচনে যেন কোন ধরনের কোন্দল বা সহিংসতার ঘটনা না ঘটে।

তবে দলের এই নির্দেশনা মানছে না আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আহমদ হোসেনের কথাই ধরা যাক। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিএনপির সাবেক নেতা শিল্পপতি আসাদুজ্জামান ওরফে নয়নকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আসাদুজ্জামান বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি এলাকায় বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচিত। শনিবার রাতে সংসদ সদস্য তাকে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

শুধু আহমদ হোসেন একা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে কিংবা নিজেদের প্রভাবপত্তি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে মাইম্যানকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। আর এর ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল আর বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনকে কতটুকু অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা সহিংস মুক্ত রাখতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মো. আহমদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখনও বিএনপিতে বিভ্রান্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার রাতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বর্জনের সিদ্ধান্ত হলেও নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানো হলেও দলীয় অবস্থানের বিষয়ে এখন বিএনপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও দলের অবস্থান কী হবে-এ বিষয়ে এখনও অস্পষ্টতায় দলটির নেতাকর্মীরা। অর্থাৎ স্বতন্ত্রভাবে দলের কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নেবে তা নিয়ে কেন্দ্রের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা পায়নি তৃণমূল। যে কারণে তারা অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।

সূত্রমতে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইস্যুতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একাংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, যেহেতু এখন কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই, সে কারণে নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে কৌশলে হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তা ছাড়া নেতাকর্মীদের একটি অংশকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা কঠিন হবে।

অন্য আরেকটি অংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে, এই সরকারকে বৈধতা দেওয়া। একই সঙ্গে গত ৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সরকারের এ ফাঁদে কোনো অবস্থায় পা দেওয়া ঠিক হবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কতজন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তদের। ফলে অন্যান্য নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত দলের অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে বিএনপিতে বিভ্রান্ত এখনও স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয় যারা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নাকি দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।



উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্র নিয়ে পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্র প্রশ্নে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি পিটার হাসের কাছে জানতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে?

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এমন তথ্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই যে সত্য তা তো আমরা মেনে নিচ্ছি না। ২৫ ধাপ পিছিয়েছে? আমি রাষ্ট্রদূতকে (মার্কিন) জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনার নিজের দেশ গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে। সেটার জবাব আগে দিন।

এ সময় উপনির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ ও গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

গণতন্ত্র   পিটার হাস   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণবহিষ্কারের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির তৃণমূলে গণবহিষ্কারের আশঙ্কা করছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে দলটিতে। গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। এর মধ্যে ১২০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৪ ও জামায়াতের ১৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, যে সমস্ত উপজেলা গুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণের মাঝে তাদের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় এড়িয়ে রয়েছেন বলে ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতি জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে যদি বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিএনপিতে গণবহিষ্কারের একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে দলের মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না কিংবা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেবে না এরকম সিদ্ধান্ত হলে বিএনপির মধ্যে এই অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এরকম পরিস্থিতি দলের কেউ নির্বাচন করলে সেটাকে উপেক্ষা করার নীতিগত কৌশল গ্রহণ করেছিল বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিভিন্ন সময় এ ধরনের ইঙ্গিত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতি সারাদেশে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এতদিন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন এবং কৌশলগত অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু এখন আবার হঠাৎ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও বর্জন করার ঘোষণা দিলেন। এখন বিএনপি যদি এই অবস্থানে অটল থাকেন তাহলে দলটিতে গণবহিষ্কারের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকই দলে জনপ্রিয় এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাদের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপও রয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনাই তাদের মধ্যে বেশি। আর এ রকম বাস্তবতায় দল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন