নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নন, তিনি সর্বকালের সেরা বাঙালি রাজনীতিবিদও বটে। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জনবান্ধব রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার আদর্শেই অনুপ্রাণিত একটি দল। বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যেমন নির্যাতিত হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন, পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রাম করেছেন, তেমনি তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলেন, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন। জাতির পিতা স্পষ্টই অনুধাবন করেছিলেন যে, সবকিছুর উর্ধ্বে একটি ভালো সংগঠন, একটি আদর্শবান সংগঠন লাগবে। জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা পাঠ করলে বোঝা যায় যে, তিনি সংগঠনের ব্যাপারে কতটা মনযোগী ছিলেন। তিনি নিজের হাতে অনেক রাজনীতিবিদ তৈরি করতেন, বিভিন্ন পেশার অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তিকে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত করেছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনও বহু নেতা আছে যারা জাতির পিতার স্নেহধন্য, জাতির পিতা যাঁদের রাজনীতিতে এনেছিলেন এবং জাতির পিতার সঙ্গে যারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এদের অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন, কেউ কেউ এখনো আওয়ামী লীগে আছেন, আর কেউ কেউ এখন আওয়ামী লীগে নেই। প্রশ্ন ওঠে যে, বঙ্গবন্ধুর যারা ঘনিষ্ঠ, যারা এখনো বঙ্গবন্ধুর ভক্ত, বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে যাঁদের মনে কোন প্রশ্ন নেই, বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে যাঁদের আবেগ-ভালোবাসার কমতি না থাকার পরেও তাঁরা আওয়ামী লীগে নেই কেন? এরকম কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন।
ড. কামাল হোসেন
ড. কামাল হোসেনকে বঙ্গবন্ধু হাতে ধরে রাজনীতিতে এনেছিলেন। উত্তাল গণআন্দোলনের পরপরই বঙ্গবন্ধু ড. কামাল হোসেনকে আওয়ামী লীগে নিয়ে এসেছিলেন। ড. কামাল হোসেন সেই সময় সদ্য আইন পেশায় যোগ দিয়েছিলেন এবং যুক্তরাজ্য থেকে ফিরেছেন। ড. কামাল হোসেন তাঁর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু যখন তাঁকে রাজনীতিতে আসার আমন্ত্রণ জানালো তখন তাঁর দৃঢ়তা এমন ছিল যে, সেই আমন্ত্রণ তিনি প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি। ত্রিশোর্ধ্ব বয়সেই বঙ্গবন্ধু তাঁকে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু ডা. কামাল হোসেন এখন আওয়ামী লীগে নেই। ১৯৭৫ এর পরবর্তী সময়ে যেমন তাঁর ভূমিকা ছিল রহস্যময়, তেমনি ১৯৯১ সালে তিনি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে গণফোরাম গঠন করেন। এখন এই গণফোরাম টিকে না থাকার মতোই একটি নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল হিসেবে আছে। ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগে নেই কেন তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে এর মূল কারণ হলো ড. কামাল হোসেন হয়তো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আর এগিয়ে নিতে চাননি বা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় তিনি একজন ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী কেবল বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠই ছিলেন না, তিনি ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের পর যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন, আওয়ামী লীগের সকলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও এখন কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে নেই। জানা যায় যে, বঙ্গবন্ধুর প্রতি কাদের সিদ্দিকীর শ্রদ্ধা-আনুগত্যতা নিয়ে সন্দেহ নেই, এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও তাঁর ভালোবাসার কমতি নেই। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলে যে নিয়মনীতি মেনে চলতে হয় সেরকম বিধিনিষেধ মানার লোক কাদের সিদ্দিকী নন। তিনি তাঁর নিজের কথা স্পষ্টভাবেই বলেন এবং রাজনৈতিক শৃঙ্খলা, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পালনের ক্ষেত্রে তাঁর কিছু সমস্যা থাকার কারণেই তাঁকে আওয়ামী লীগ ছেঁড়ে চলে যেতে হয় এবং এখনো তিনি দলের বাইরে আছেন।
শেখ শহিদুল ইসলাম
জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম জাতির পিতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মেধাবী ছাত্রনেতা-যুবনেতা হিসেবে শেখ শহিদুলকে বঙ্গবন্ধু নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে শেখ শহিদুল ইসলাম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। জাতীয় পার্টিতে নানা টানাপোড়েন এবং ভাঙ্গন প্রক্রিয়ার তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টিতে রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ব্যাপারে তিনি যেমন আপোসহীন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে যারা শিক্ষিত এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় এগিয়ে তাঁদের মধ্যে শেখ শহিদুল ইসলাম অন্যতম। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি কেন আওয়ামী লীগে নেই সেই এক বড় প্রশ্ন।
কাজী ফিরোজ রশীদ
কাজী ফিরোজ রশীদ বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন এক ছাত্রনেতা এবং যুবনেতা ছিলেন। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের আগের রাতেও কাজী ফিরোজ রশীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাত হয়েছিল। তারপর কাজী ফিরোজ রশীদ রাজনীতির নানা চড়াই-উতরাইয়ে আওয়ামী লীগে টিকে থাকতে পারেননি, যেকোন কারণেই হোক তিনি আদর্শচ্যুত হয়েছেন এবং এখন তিনি জাতীয় পার্টির অন্যতম নেতা।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ছিলেন তরুণ শিক্ষক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজশাহী সফরে গেলে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তরুণ শিক্ষকের ওপর। তাঁকে তিনি রাজনীতিতে যোগদানের অনুরোধ জানান। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৭৫ এর পরেও অধ্যাপক আবু সাইয়িদ একজন গবেষক হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যে ষড়যন্ত্র, অকথিত অধ্যায় ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর গবেষণা এবং লেখালিখি করেছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবং গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অকথিত বিষয়গুলোকে উপস্থাপন করা, বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণগুলোকে খুঁজে বের করে আবার প্রকাশ করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখন তিনি আওয়ামী লীগে নেই। ২০০৭ সালে সংস্কারপন্থি হওয়ার পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েন তৈরি হয় এবং এখন এই টানাপোড়েনের ধারায় তিনি এখন কেবল আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকেই বিতাড়িত প্রায়।
এরকম আরো কিছু ব্যক্তি আছেন যারা জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন, কিন্তু নানা কারণে তাঁরা পথভ্রষ্ট হয়েছেন কিংবা নানা বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁরা নেই।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।