নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ০৭ অগাস্ট, ২০২০
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন। এই কলঙ্কের শেষ এখানেই হয়নি। ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এই জাতীয় চার নেতার হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মুক্ত বুদ্ধির চিন্তা এবং প্রগতিশীল রাজনীতির কবর রচনা করার একটি হীন, ঘৃণ্য ও জঘন্য প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের চেষ্টা ছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেন। আস্তে আস্তে গনতন্ত্র, মানবাধিকার ও প্রগতিবাদী রাজনীতির ধারাকে মূল ধারায় পরিবর্তন করেন। এই কারণেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন আস্তে আস্তে প্রভাব ফেলতে শুরু করেন তখন জাতীয় চার নেতার সন্তানদের প্রতি তাঁর আলাদা আবেগ-ভালোবাসা কাজ করেছে সবসময়। যারা তার পিতার আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি, তাদের প্রতি এক ধরণের বাড়তি স্নেহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু জাতীয় চার নেতার সন্তানদের মধ্যে যারা জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক তারকা হয়েছেন তাদের মধ্যে মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইতোমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। আর তাজউদ্দীন আহমেদের পরিবারের সোহেল তাজকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করা হলেও তিনি জাতীয় রাজনীতিতে একজন বড় তারকা হয়ে উঠতে পারেননি। তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যাকে সংসদ সদস্য করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত সম্ভাবনার চিহ্ন জাগাতে পারেননি।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামানের পুত্র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি কাজ করছেন নীরবে। যদিও জাতীয় রাজনীতির চেয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে (রাজশাহী) তাঁর আগ্রহ এবং মনোযোগ বেশি এবং স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। এর আগেও তিনি মেয়র হয়েছিলেন। রাজশাহী শহরকে পাল্টে দেওয়ার ক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব করছেন খায়রুজ্জামান লিটন। জাতীয় চার নেতার এই সন্তান হয়তো জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত নন। তবে তার নিজস্ব এলাকায় তিনি জনপ্রিয় এবং আলোচিত একজন তারকা। তাঁর একটি বৈশিষ্ট তাঁকে সকলের শ্রদ্ধার পাত্র করে তুলেছে। আর তা হল শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর আবেগ, ভালোবাসা এবং আনুগত্য। পিতার মতোই তিনি তাঁর আদর্শের সঙ্গে কখনো বেইমানি করেননি। জাতীয় চার নেতার সন্তান এই প্রভাব দেখিয়ে দলের মধ্যে কর্তৃত্ব তৈরি করার প্রয়াসও তার রাজনৈতিক জীবনে দেখা যায়নি। বরং নীরবে নিভৃতে তিনি তাঁর এলাকার জনগনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যেভাবে তাঁর পিতা কাজ করতেন।
নীরবে কাজ করলেই শেখ হাসিনার তার প্রতি আবেগ ভালোবাসা বাড়তি রয়েছে। তিনি শেখ হাসিনার কাছের মানুষ। আওয়ামী লীগের সকলেই জানেন যে রাজশাহীর মেয়রের প্রতি শেখ হাসিনার আলাদা স্নেহ রয়েছে। চার পরিবারের অন্যদের মতোই লিটনের জন্য আওয়ামীলীগ সভাপতির দরজা সবসময় খোলা। যে কোন সমস্যা নিয়ে লিটন সরাসরি চলে যেতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এই পরিচয় দিয়ে তিনি বাড়তি সুবিধা দলে বা সরকারে নেওয়ার চেষ্টাও করেন না। বরং তিনি নীরবে কাজ করে যান তাঁর এলাকার জন্য। শেখ হাসিনাও এটি জানেন যে, কখনো যদি সংকট আসে- যেমন সংকট এসেছিল ২০০১ সালে কিংবা ২০০৭ সালে। সেই সংকটে যারা তাঁর পাশে দাঁড়াবেন, প্রথম সারিতেই থাকবেন খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি যতটা আওয়ামীলীগের নেতা, তাঁর চেয়ে বড় শেখ হাসিনার কাছের মানুষ।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।