নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৮ অগাস্ট, ২০২০
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। খুব ছোটখাটো দুই দফা পরিবর্তনের পর মূল মন্ত্রিসভা একইভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই মন্ত্রিসভার সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে নানারকম বিতর্ক আছে। বিশেষ করে মন্ত্রিসভার অনেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ আছে, দুর্নীতির অভিযোগ আছে। কিন্তু শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় তিনি সহ যে চারজন নারী মন্ত্রী রয়েছেন তাঁদের নিয়ে যেমন কোন বিতর্ক নেই, তেমনি তাঁদের মন্ত্রণালয় নিয়ে দুর্নীতির কোন অভিযোগও নেই। এই বাস্তবতায় চিরন্তন যে কথা, নারীরা পুরুষদের থেকে কম দুর্নীতিপরায়ন হয় তাঁর সত্যতা আবার পাওয়া যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় শুধু এবার নয়, ১৯৯৬ সাল থেকেই যে সমস্ত নারীরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের কারো বিরুদ্ধেই দুর্নীতির কোন অভিযোগ নেই। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় ছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। বাংলাদেশের মন্ত্রীদের মধ্যে সততার আইকন বলা যায় বেগম মতিয়া চৌধুরীকে। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও নিষ্কলুষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন বিভাগ, বিদ্যুত-জ্বালানিসহ বেশকিছু মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের সৎ রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে অন্যতম এবং চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কখনো তাঁর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ওঠেনি। এছাড়াও আরো যে কয়েকজন আছেন:
ডা. দীপু মনি
শেখ হাসিনা ছাড়াও এবারের মন্ত্রীসভায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে আছেন ডা. দীপু মনি। ডা. দীপু মনি এবার দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রী হলেন, এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ডা. দীপু মনির দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হয়তো কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, ব্যর্থতা রয়েছে, কিন্তু দুই মেয়াদে কোনসময় দুর্নীতি তাঁকে স্পর্শ করেনি। এই বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো একটি স্পর্শকাতর এবং দুর্নীতির ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেও নিজেকে দুর্নীতি থেকে অনেক দূরে রেখেছেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে যখন মন্ত্রীদের দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে, সে সময় ডা. দীপু মনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বেগম মন্নুজান সুফিয়ান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একজন সৎ মাঠের রাজনীতিবিদ হিসেবে আলোচিত এবং প্রশংসিত। তিনি রাজপথের একজন যোদ্ধা। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগের দফায় তাঁর বিরুদ্ধে যেমন কোন অভিযোগ ছিলনা, এবারও তিনি সৎ এবং নিষ্ঠাবান মন্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই মন্ত্রণালয়ের যদি অতীত কার্যক্রমের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে সহজেই বুঝতে পারবো যে, নিজেকে তিনি কিভাবে সবধরনের আর্থিক দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
এবারের মন্ত্রিসভায় মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী থাকা অবস্থায় নিজেকে আড়ালেই রেখেছেন। আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ছাড়া তাঁকে সেরকম একটা দেখা যায়না। অন্য নারী সদস্যদের মতো তিনি দুর্নীতি থেকে নিজেকে শতহাত দূরে রেখেছেন। তাঁকে নিয়েও কোন বিতর্ক নেই, নেই কোন দুর্নীতির অভিযোগ।
আর বাংলাদেশের নারী মন্ত্রীদের এই সততা, বিতর্কের উর্ধ্বে থাকা এবং নিষ্ঠা সাধারণ জনগণকে আশান্বিত করেছে। অনেকেই মনে করেন, এখন যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এই অভিযানকে সফল করার জন্য মন্ত্রিসভায় নারী মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতারাও মনে করেন যে, আওয়ামী লীগে প্রচুর নারী নেতা তৈরি হচ্ছে যারা নিষ্ঠাবান এবং যারা নিজ যোগ্যতায় রাজনীতির এই পর্যায়ে এসেছে। তাঁদেরকে যত বেশি সুযোগ দেওয়া হবে তত অন্য নারীরা যেমন উৎসাহিত হবে তেমনি দুর্নীতি বন্ধের ক্ষেত্রে এটাও একটা উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।