নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০২০
আওয়ামী লীগে বর্তমানে দুইটি প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ মোট ৭টি পদ শূন্য রয়েছে। আওয়ামী লীগে গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের পর যে কমিটি গঠন করা হয় সেখানে এখন পর্যন্ত মোট চারটি পদ শূন্য। এর মধ্যে ধর্ম সম্পাদক, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ও দুইটি সদস্য পদে কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এবং অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। এছাড়া, কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে সিলেটের বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে আওয়ামী লীগে এখন কার্যনির্বাহী পরিষদে ৭টি পদ শূন্য হয়েছে। এই পদগুলোতে কারা থাকবেন না থাকবেন সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই বিষয়ে আওয়ামী লীগে এখন আলোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, আগস্টের পর হয়তো এই পদগুলো পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৪(২) অনুযায়ী, এই ধরণের পদ শূন্য হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি এই পদ পূরণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত। তিনি এই পদে যে কাউকে পদায়ন করতে পারেন এবং দলের পরবর্তী কাউন্সিলে তা অনুমোদিত হতে হবে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে এই বিষয়ে কথা বলে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। এ ব্যাপারে অন্য কারো কিছু করার নেই। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আকৃষ্ট করার জন্য বা প্রধানমন্ত্রী এই পদগুলো কাকে দেবেন তা নিয়ে দেন দরবার চলছে।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরণের পদায়ণ করেন না। আগস্ট মাসের পরেই সেপ্টেম্বর নাগাদ এই শূন্য পদগুলো পূরণ হবে। এই ৭টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে দুটি প্রেসিডিয়াম পদের দিকে। প্রেসিডিয়াম পদে কে থাকবেন সেটি হল দেখার বিষয়। এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করছেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর ফলে রাজশাহী অঞ্চল খালি হয়ে গেছে। এই অঞ্চলে কোন প্রেসিডিয়াম সদস্য নেই। ১৯৮১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই সময়ের পর থেকে যতবার কাউন্সিল করেছেন ততবারই জাতীয় চার নেতার পরিবার থেকে কেউ না কেউ প্রেসিডিয়ামে ছিলেন।
জোহরা তাজউদ্দীন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তারপর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই বিবেচনায় জাতীয় চার নেতার উত্তরসূরী হিসাবে খায়রুজ্জামান লিটন প্রেসিডিয়ামের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ১ নম্বর সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছেন।
অবশ্য আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বলছেন যে, যেহেতু সাহারা খাতুন ঢাকা অঞ্চলে ছিলেন। তাই এই অঞ্চল থেকে কাউকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত করা পারে।
তবে ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার মতো সিনিয়র নেতা কে আছেন সেটা নিয়েও অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করেন প্রবীণ, ত্যাগী এবং পরীক্ষিত দুজনই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে আসবেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক হিসেবেও একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে আছে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেননি। শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক হিসেবেও বেশ কয়েকজনের নাম আছে। এই পদটি পাওয়ার জন্যও আওয়ামী লীগে যারা ব্যবসায়ী আছে তাদের মধ্যে অনেকেই দেনদরবার করছে বলেও জানা যায়। যে তিনটি সদস্য পদ খালি রয়েছে তারমধ্যে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে একটি পদ দেওয়ার ব্যাপারটি আলোচনা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি এই পদটি পাবেন কিনা তা চূড়ান্ত নয়। এছাড়াও আওয়ামী লীগের একাধিক ত্যাগী নেতা রয়েছেন যাদের নামও এই পদে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শেষ পর্যন্ত কারা হবেন এটা দেখার অপেক্ষায় আওয়ামী লীগ। তবে এই মাসে যে এই শূন্য পদগুলো পূরণ হচ্ছে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।