ইনসাইড পলিটিক্স

নবীউল্লাহর সাথে কি কথা হয়েছিল তারেকের?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

ঢাকা-৫ আসনের মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ, আর মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি নবীউল্লাহ নবী। এই আসনটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে এই কারণে যে, ঢাকা-৫ এর এই আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন নবীউল্লাহ নবী। এবার সেই আসনেরই উপনির্বাচনে নবীকে বাদ দিয়ে সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন যে, ঢাকা-৫ আসনটি মূলত তাঁর নির্বাচনী আসন। গতবার নির্বাচনের সময়ে কৌশলগত কারণে তাকে ঢাকা-৪ এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এবার তাঁর আসন তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নবীউল্লাহ নবী এই মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং তিনি বলেছেন যে, তিনি দলের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, গত নির্বাচনের পর থেকে সংগঠনকে গোছানোর জন্য তিনি রাতদিন পরিশ্রম করেছেন, আর সেই পরিশ্রমের পরেও তাকে মনোনয়ন না দিয়ে শুধু তাকে নয়, বরং দলের আপামর কর্মীদের অপমান করা হয়েছে। নবীউল্লাহ নবী মনোনয়নের জন্যে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। এই কথোপকথনের ভাষ্য এখন বিএনপির নেতাদের মুখে মুখে। কি কথা হয়েছিল নবীউল্লাহ নবীর সঙ্গে তারেক জিয়ার?

নবীউল্লাহ নবীই দলের কর্মীদের এই টেলিআলাপের রেকর্ড বাজিয়ে শোনাচ্ছেন বলেও বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন। যারা এই টেলিআলাপের কথা শুনেছেন তারা স্পষ্টতই বুঝেছেন যে নবীউল্লাহ নবীর সঙ্গে টাকার লেনদেনে বনিবনা হয়নি বলেই তাকে মনোনয়ন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, নবীউল্লাহ নবী মনোনয়ন ফরম কেনার পরেই লন্ডন থেকে তারেক জিয়া তাকে ফোন করেন এবং প্রথমে নবীউল্লাহ নবী ফোন ধরেননি, এটা তাঁর অপরাধ। এরপর নবীউল্লাহ নবীকে ফোন করেন বিএনপির অন্য একজন নেতা এবং তিনি বলেন যে, ‘ভাইয়া’ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন, তিনি যেন ফোনটি ধরেন। এরপর নবীউল্লাহ নবীর সঙ্গে তারেকের প্রায় ১২ মিনিট কথোপকথন হয়। এই আলাপের প্রথমেই নবীউল্লাহ নবীকে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন এবং তিনি নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুত কিনা তা জানতে চান তারেক জিয়া। নবীউল্লাহ নবী যখন বলেন যে তিনি নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুত তখন তারেক জিয়া জানতে চান যে, নির্বাচনের জন্যে প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা আছে কিনা। নবীউল্লাহ নবী বলেন যে, গত নির্বাচনও তিনি করেছেন, এবারও নির্বাচন তিনি করবেন। নির্বাচনের খরচ তিনি আল্লাহর রহমতে যোগাড় করতে পারবেন। তারেক জিয়া তাকে বলেন যে, নির্বাচনের খরচ তো যোগাড় করবেন, কিন্তু দলের খরচ দেবেন কত? নবীউল্লাহ নবী তখন বলেন যে, গত নির্বাচনেই তো আপনাকে ৫ কোটি টাকা দিয়েছি ভাইয়া, এটা তো উপনির্বাচন। সাধারণত যিনি মূল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনিই উপনির্বাচনে মনোনয়ন পান, এখানে আবার নতুন করে কেন টাকাপয়সা লেনদেনের হিসেব আসছে?

তখন তারেক জিয়া বলেন যে, লেনদেনের বিষয়টি আসবে এই কারণে যে এটা আরেকটা নির্বাচন। কাজেই এই নির্বাচনের জন্যে আলাদা অর্থ লাগবে। এটা নবীউল্লাহ নবীকে একটু অবাক করে। নবীউল্লাহ নবী তখন বলেন যে, ভাইয়া এইভাবে টাকা দেওয়া তো এখন অনেক কঠিন ব্যাপার। আপনি দেখেছেন যে, আমি সংগঠন চালাচ্ছি এবং একাদশ নির্বাচনের পর থেকে সংগঠন গোছানোর জন্যে আমি সবকিছুই করছি এবং এলাকায় কর্মীদের মধ্যে একটি চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু নাছোড় তারেক জিয়া বলেন যে, তুমি কি দিতে পারবে আমাকে জানিও। কিন্তু নবীউল্লাহ নবী আর পরবর্তীতে জানাননি যে কি দিতে পারবেন।

নবীউল্লাহ নবীর ঘনিষ্ঠরা বলছেন যে, নবী ভেবেছিলেন যেহেতু গত নির্বাচনে তিনি পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছিলেন এবং ওই নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাত্র দেড় বছরের জন্যে, তাই তারেক জিয়াকে নতুন করে মনোনয়ন দিতে হবে না। আর এবার সালাউদ্দিন আহমেদ জানতেন যে, কি করলে নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়া যাবে এবং এজন্যে তিনি আগে থেকেই তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং টাকা-পয়সার লেনদেন দফারফা করে রেখছিলেন, গতবারের ভুল তিনি করেননি।

উল্লেখ্য যে, বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং তারপর মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তারেক জিয়ার কাছে অর্পণ করেন। আর তারেক জিয়া যে বেশি অর্থ দিতে সম্মত হন তাকেই মনোনয়ন দেন। উল্লেখ্য যে, নওগাঁ-৬ আসনে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনিও একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

লাইমলাইটে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবার লাইমলাইটে। টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক হয়ে রেকর্ড করা ওবায়দুল কাদের এবার তৃণমূলের হৃদয় জয় করেছেন। তৃণমূলের কাছে আকস্মিকভাবে তিনি একজন পছন্দের ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। এর প্রধান কারণ অবশ্য শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে ‘মাই ম্যান’দের উত্থান ঠেকাতে আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। দলীয় পরিচয়ে এবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তারপরেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজের পছন্দের লোকজনকে উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছেন। নিজের পছন্দের প্রার্থী ঘোষণা করেই কেউ কেউ ক্ষান্ত হচ্ছেন না। অনেকে তার স্ত্রী, পুত্র, ভাই, ভাতিজা, শ্যালকদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে প্রার্থী করে এলাকায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন।

আর এর বিরুদ্ধে এবার সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে আর স্বজনপ্রীতি বরদাস্ত করা হবে না। নিজেদের স্বজনদেরকে যারা প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তাদের প্রার্থী থেকে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ নিয়ে আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা করে তুলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে অতীতে তৃণমূলের অনেক অভিযোগ ছিল, সমালোচনা ছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন কমিটি সম্পন্ন না হওয়া, কমিটিতে অযোগ্য লোকজন এবং অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব- ইত্যাদি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের এক ধরনের দূরত্বের কথা শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পাওয়া যায় কিন্তু সাধারণ সম্পাদক তাদের কথা শোনেন না। এরকম পরিস্থিতি যখন চলছিল, তখন হঠাৎই যেন জ্বলে উঠলেন ওবায়দুল কাদের। স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান, তৃণমূলে তার প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা বলছেন যে, ওবায়দুল কাদের যদি এই অবস্থান ধরে রাখতে পারেন এবং শেষ পর্যন্ত যারা স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে তিনি আরও জনপ্রিয়তা পাবেন এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অমরত্ব লাভ করবেন।

ওবায়দুল কাদের অবশ্য আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ প্রতিপালন করেই এ ধরনের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি যা বলেন, সেটা করাই তার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। আর এ কারণেই তিনি এখন ‘মাই ম্যান’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

গত কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের স্বজনদের উপদ্রব অনেক ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার মেয়েকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে জিতিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে যে, এমপিরা তাদের সন্তান এবং নিকট আত্মীয়দেরকে বিভিন্ন কমিটিতে বসাচ্ছেন এবং এই কমিটিগুলো শেষ পর্যন্ত পারিবারিক কমিটিতে পরিণত হচ্ছে। মূলত এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্যই এটি করা হচ্ছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ এদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে সোচ্চার হয়েছে আওয়ামী লীগ। আর এই সোচ্চার হওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতির ভূমিকাই প্রধান। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সততা এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি ইতোমধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, কারা আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য। আর এই তালিকা অনুযায়ী যদি শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের প্রার্থীতা কিছুটা কমে, তাহলেও সেটা হবে তৃণমূলের একটা বড় বিজয়। এর ফলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বঞ্চিত, পরীক্ষিত এবং দুঃসময়ের কাণ্ডারীরা উজ্জীবিত হবেন। আর এর প্রশংসা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি একা পাবেন না, সাধারণ সম্পাদকও পাবেন।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভারতে সব দলেরই অপছন্দ বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচন শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ। এই নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতা পরিবর্তন হবে, নাকি টানা তৃতীয় বারের মতো নরেন্দ্র মোদি আবার ক্ষমতায় আসবেন তা বুঝা যাবে ৪ জুন। ঐ দিন ভোট গণনা শুরু হবে। তবে ভারতে বিজেপি বা ইন্ডিয়া জোট যারাই ক্ষমতায় আসুন না কেনো, দুই জোটই বিএনপিকে অপছন্দ করে এবং বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব রক্ষা করার নীতি নিয়ে চলে। দুটি জোটের কূটনৈতিক নীতি এবং ক্ষমতায় এলে পরিকল্পনার যে কৌশলপত্র তাতে বাংলাদেশের ব্যাপারে অভিন্ন মতামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোট প্রায় অভিন্ন মনোভাব পোষণ করেছেন। দুটি দলের নির্বাচনী যে অঙ্গীকার এবং কূটনৈতিক পরিকল্পনা তা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরীক হলো কংগ্রেস। কংগ্রেস তার নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে এবং বাংলাদেশে যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতি বিকশিত হয়, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের যে বীজ বপিত হয়েছিল সেই সম্পর্ক যেন আরও এগিয়ে যায়, সেই ব্যাপারে অঙ্গীকার করা হয়েছে। ভারতীয় কংগ্রেস তার নির্বাচন কূটনৈতিক পরিকল্পনায় যে সমস্ত বিষয়গুলো রেখেছেন তাতে বাংলাদেশে যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লালন না হয়, ধর্মান্ধ উগ্র মৌলবাদীরা যাতে ক্ষমতাবান না হয়ে উঠে সে ব্যাপারে সতর্ক দেয়া হয়েছে।

একই রকম অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে বিজেপির নির্বাচনী অঙ্গিকারে। বিজেপি সবসময় মনে করে যে, বাংলাদেশের ভূখন্ড যেন ভারতের বিছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত না হয়। বাংলাদেশে যেন ধর্মান্ধ, মৌলবাদি, সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া না দিয়ে ওঠে এবং বাংলাদেশে যাতে সংখ্যালঘু নিপিড়ন না হয়।

ভারতের বিজেপি সমর্থিত থিংক ট্যাংক গুলো সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপিড়ন বন্ধ করার জন্য এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলে মনে করে বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’টি রাজনৈতিক দল। এ দুটির বাইরেও যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের কূটনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে সে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও কংগ্রেস এবং বিজেপির মতোই। কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের লড়াই করা তৃণমূল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আর একারণেই ভারতের নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি বিএনপির জন্য কোন আশার বাণী আনবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বক্তব্যটি স্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশ করে বিএনপির কোন নেতাই ভারতের নির্বাচন নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে রাজি নন। তবে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, ‘ভারতের মনোভাব যাই হোক না কেন, আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হবে জনগণের সমর্থন নিয়েই। আমরা যদি জনগণের তাহলে ভারত কি ভাবলো না ভাবলো, ভারত কাকে চাই বা না চাই সেটি কোন বিষয় নয়’।


বিজেপি   বিএনপি   কংগ্রেস   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘মাই ম্যান’দের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নীরব বিপ্লব

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা এবং ওবায়দুল কাদেরের সুস্পষ্ট ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলে রীতিমতো জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক উপজেলায় এ সিদ্ধান্তের পক্ষে বিজয় মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এটি মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং দল বাচানোর জন্য একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ।

আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী-এমপিদের দাপটে দলে ত্যাগী এবং বঞ্চিত নেতারা কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর মন্ত্রীরা এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য রীতিমতো রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের বহু নেতা অভিযোগ করেছেন যে, মন্ত্রী-এমপিরা এখন দলের অন্য কোন নেতাকেও রাখতে দিচ্ছিলেন না। তারা সবসময় চেষ্টা করছেন যে, পরিবারের লোকজনকেই বিভিন্ন পদ পদবী দিতে।

একাধিক নেতা বলছেন যে, রূপগঞ্জের কথাই ধরা যাক, রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর পুরো রূপগঞ্জকেই যেন দখল করে ফেলেছেন। তার স্ত্রীকে পৌরসভার মেয়র করা হয়েছে, তার ছেলে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে রূপগঞ্জ এখন যেন গাজীগঞ্জে পরিণত হয়েছে। শুধু রূপগঞ্জ একা না এরকম অনেক নির্বাচনী এলাকায় পরিবারতন্ত্র একটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবং স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা এর বিরুদ্ধে কথা বলতেন না। কথা বললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি করা হতো। তাদের উপর হামলা করা হতো। এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যারা মন্ত্রী-এমপি হয়ে এলাকায় জমিদারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছেন তাদের মূল ক্ষোভের জায়গা হলো তৃণমূল আওয়ামী লীগ। আর এই তৃণমূল আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করা তাদেরকে হটিয়ে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মিশন শুরু হয়েছিল বেশকিছু নির্বাচনী এলাকায়। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনার ফলে তৃণমূলের মধ্যে একধরনের উত্থান ঘটেছে। এটি নির্বাচনের আবহাওয়া পাল্টে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এখন এই নির্বাচনে যারাই অংশগ্রহণ করুক বা যেই ফলাফলই হোক না কেন, ‘মাই ম্যান’দেরকে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আলাদা পক্ষপাত দিতে পারবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্টভাবেই নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। এর ফলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা প্রশাসন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আলাদা কোন অবস্থান নিতে পারবেন না। এটির ফলে নির্বাচনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি পথ তৈরি হবে।

তবে তৃণমূলের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে, এটির ফলে যেটি সবচেয়ে ভালো হয়েছে তা হলো ‘মাই ম্যানরা’ এখন কোণঠাসা থাকবেন এবং যারা স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলকে উপেক্ষা করতেন তাদের জন্য এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা।

টাঙ্গাইলে ড. আব্দুর রাজ্জাক, মাদারীপুরে শাজাহান খান, রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর মত যারা তাদের এলাকায় পরিবারতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে এখন তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হবে এবং পরিবারতন্ত্রকে হটানোর ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   গোলাম দস্তগীর গাজী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যে থাকলে রাজনীতি করতে পারবেন না তারেক?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অপরাধ বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার এখন তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবার নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর পরই এ বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ ব্যাপারে তৎপর হওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তার এই নির্দেশনা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আবার নতুন করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তারেক জিয়ার ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানতে চাচ্ছে।

তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার অঙ্গিকার আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারী নির্বাচনেই করেছে। সেই অঙ্গিকার বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ তার চেষ্টা এবং তৎপরতা নতুন করে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারা কুক বিএনপির তিন নেতাকে ডেকেছিলেন এবং তাদের কাছে এ মনোভাবগুলো জানান।

বিট্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন চাইছে যে, তারেক জিয়ার রাজনীতির নেতৃত্বের অবসান ঘটুক। তিনি বিএনপিতে কোন অলঙ্কারিক পদ গ্রহণ করুক। যেন তিনি উপদেষ্টা বা দলের পৃষ্টপোষক হতে পারেন। কিন্তু দলের নির্বাহী দায়িত্ব যেন তিনি পালন না করেন সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও বিএনপির উপর এখন একধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, একাধিক কারণে পশ্চিমা দেশগুলো এরকম মনোভাব ব্যক্ত করছে। প্রথমত, পশ্চিমা দেশগুলো অনেক নীতি নির্ধারণী বিষয়ে যখন মতামত জানতে চান তখন বিএনপি নেতারা এই মতামত দিতে পারেন না। কারণ সব কিছুর জন্য তারা তারেক জিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন। লন্ডনে তারেক জিয়া যে নির্দেশ দিবে সে নির্দেশ পালন করা যেন তাদের একমাত্র কাজ। ফলে কূটনৈতিকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।

দ্বিতীয়ত, তারেক জিয়ার এখন সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত থাকাটা সংগঠন এবং গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, একজন দন্ডিত ব্যক্তি কখনোই একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন না এবং থাকা উচিত নয়। এরককম বাস্তবতা থেকে তারেক জিয়াকে রাজনীতির মূল নেতৃত্বের বাইরে রাখার জন্য যুক্তরাজ্য প্রস্তাব করছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, তারেক জিয়া একজন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী হিসেবে যুক্তরাজ্যে গত ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছেন। আর রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী কোন ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্য রাখে মানবাধিকার এবং জীবনের অধিকার সুরক্ষার স্বার্থেই। তারেক জিয়া বাংলাদেশে এলে তার জীবন হুমকি হতে পারে, তিনি প্রতিহিংসার স্বীকার হতে পারেন, একারণেই ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু ব্রিটেনে থেকে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেন বা কাজ করেন, একজন রিফিউজি হয়ে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন- সেক্ষেত্রে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এখন তারেক জিয়া সেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জাড়িত তা অনেকে মনে করে। আর এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তাছাড়া সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি এখন সামনে এসেছে তা হলো, তারেক জিয়া একধিক মামলায় দন্ডিত হয়েছেন এবং এ মামলাগুলো হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। আদালতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্যই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত আনা জরুরী বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।


আওয়ামী লীগ   বিএনপি   তারেক জীয়া   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কঠোর শেখ হাসিনা: সিদ্ধান্ত না মানলে সব হারাবেন মন্ত্রী-এমপিরা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। শুধু কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করারও শাস্তিমূলক হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একের পর এক বৈঠক করছেন এবং মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেন সে জন্য সতর্ক বার্তা ঘোষণা করছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলছেন, ওবায়দুল কাদের যা বলছেন তা হলো শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্যের অনুরণন। আওয়ামী লীগ সভাপতি যেভাবে তাকে নির্দেশনা দিচ্ছেন সে বক্তব্যই তিনি প্রচার করছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যেন সারা দেশে আওয়ামী লীগের কোন কোন এমপি-মন্ত্রী এবং নেতাদের স্বজনরা প্রার্থী আছেন তার তালিকা তৈরি করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৩ টি বিষয়ের প্রতি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রথমত, কোন মন্ত্রী-এমপি কিংবা প্রভাবশালী নেতা তার নিকট আত্মীয় বা স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করাতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারবে না। তৃতীয়ত, কোন মন্ত্রী এমপি উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন না। এই ৩ টির কোন একটির যদি ব্যত্যয় হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনের ৩ ধাপে যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করেছে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৭ জন মন্ত্রী এমপির স্বজনরা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। ২য় ধাপে প্রার্থীতার সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার কথা। এখানে ১৫২ টি উপজেলার মধ্যে ৮৭ জন মন্ত্রী-এমপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করার আগ্রহ জানিয়েছে, যারা মন্ত্রী-এমপিদের নিকট আত্মীয়। আর ৩য় ধাপে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০-২৫০ জন মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন যদি তারা নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন, আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এই বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে সিদ্ধান্ত হবে ধাপে ধাপে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে প্রার্থী দিবেন তাদেরকে প্রথমত, দলের পদ হারাতে হবে। দ্বিতীয়ত, আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদেরকে কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে। তৃতীয়ত, যারা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী আছেন, তারা মন্ত্রীত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত কেউ যদি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হটকারী অবস্থান গ্রহন করে, তাহলে দল থেকে বহিষ্কারের মতো আওয়ামী লীগ গ্রহণ করতে পারে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে।

তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছেন। এ ব্যাপারে তিনি কোন ছাড় দেবেন না। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কালো তালিকায় যদি থাকেন, তাহলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে বাধ্য।   


শেখ হাসিনা   উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন