নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বেগম জিয়ার জামিনের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। আগামী বছরের ২৪ মার্চের আগে বেগম জিয়াকে জেলে যেতে হচ্ছে না। উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা দূর্নীতি মামলা এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে বেগম জিয়া ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ মাস কারান্তরীণ ছিলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকম্পায় তার ছয় মাসের জামিন হয় গত ২৫ মার্চ। বেগম জিয়া জামিনের অন্যতম শর্ত হলো তাকে তার বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। বেগম জিয়ার পরিবার এবং বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এটি দেশে সম্ভব নয়। কিন্তু জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য, বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার যে আবেদন করেছিলেন, তাতে বিদেশে যাত্রার কথা উল্লেখ নেই। অবশ্য বিএনপির কোন কোন নেতা না জেনেই বলেছেন ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে না দিয়ে সরকার অমানবিক আচরন করেছে।’ কিন্তু বেগম জিয়ার পরিবারের আপত্তির পর বিএনপির নেতারা এবিষয়ে কথাবার্তা বন্ধ করেছেন।
বেগম জিয়ার পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, তারা আশা করছেন, বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার পথ এখনো বন্ধ হয়নি। বরং জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে, বেগম জিয়ার বিদেশ যাত্রার পথ আরো সুগম হলো বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার পরিবারের অন্তত দুজন সদস্য। তারা বলেছেন, এখন খুব শীঘ্রই বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠিত হবে। এই মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে বেগম জিয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ঐ পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার কথা বলবেন।
বেগম জিয়ার পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন, ‘তিনি (খালেদা) যে অসুখ এ নিয়ে সরকারের কোন সংশয় নেই। এটা হলো ইতিবাচক দিক। বেগম জিয়া তার অসুস্থতার যেযে চিকিৎসা নিতেন তা সবই বিদেশে। যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রে তার বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা হয়েছিল। আর যে কারনেই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেয়ার বিকল্প নেই। তাই বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা এখন চিকিৎসকের সুপারিশের জন্য কাজ করছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন কিনা এটি একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই বলতে পারেন। এরকম সুপারিশ পেলে সরকার কি করবে জানতে চাইলে সরকারের একজন অন্যতম নীতি নির্ধারক বলেন ‘এরকম আবেদন আগে আসুক তারপর দেখা যাবে।’
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।