নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
‘পেয়াজ’ কূটনীতির মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে, তাদের মুখের কথা আর মনের কথা এক নয়। নিজেদের স্বার্থের জন্য ভারত সংকীর্ণতার চুড়ান্তে যেতে এতোটুক সংকোচ বোধ করে না। তাই বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে ‘পেয়াজ’ ভারতের একমাত্র অস্ত্র নয়। চাপে ফেলে বাংলাদেশকে বসে আনতে ভারতের আরো আরো অস্ত্র আছে। পেয়াজে কাজ না হলে, সেসব ‘অস্ত্র’ প্রয়োগ করতে এতোটুক দ্বিধা করবে না বলেই মনে করেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।
গত কয়েকমাস ধরেই কূটনীতিক পাড়ায় গুঞ্জন এবং আলাপচারিতা ছিলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সংগে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি ভারতকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কূটনীতিক মহলে এ রকমও গুঞ্জন আছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাকে নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ নয় ভারত। আর এসব গুঞ্জনের মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ষন শ্রিংলা আকস্মিক সফরে ঢাকা আসেন। যদিও ঢাকা এবং দিল্লী দুই দেশের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছিল, এটি রুটিন সফর। কিন্তু করোনা সংকটের মধ্যে শ্রিংলার ঢাকা অবতরন যে রুটিন সফর ছিলো না, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হবার দরকার নেই। আর এই সফর যে শেষ পর্যন্ত ভারতের সন্তুষ্টির কারণ হতে পারেনি, তা বোঝা গেল ১৪ সেপ্টেম্বর। ঐ দিন আকস্মিক ভাবেই বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ভারত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি দুই দেশের টানা পোড়েনের প্রথম বহিঃপ্রকাশ। ভারতীয় গণমাধ্যম এবং বিজেপি নিয়ন্ত্রিত থিংক ট্যাংক বলছে, বাংলাদেশের জন্য সামনে আরো দু:সংবাদ অপেক্ষা করছে। এরমধ্যে রয়েছেঃ-
১। নাগরিক পঞ্জীতে বহিরাগতদের পুশ ইন
মোদী সরকার দ্বিতীয় মেয়াদ ক্ষমতায় এসেই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে। শুরু করেছে নতুন করে নাগরিক পঞ্জী। এই নাগরিক পঞ্জী কার্যক্রমে ইতিমধ্যে আসামে লাখ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। এরপর পশ্চিম বঙ্গ এবং পর্যাক্রমে সারাদেশে নাগরিক পঞ্জী আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির অনেক নেতাই তাদের ‘গলাধাক্কা’ দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বলেছেন। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্তত দুবার বলেছেন নাগরিক পঞ্জী নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এটি ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে থেমে থাকা নাগরিকত্ব বিতর্ক আবার নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে বলেই ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাবেন। এদের বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করার চেষ্টা হলেও তাতে অবাক হবার কিছু থাকবে না।
২। শুকনো মৌসুমে পানি প্রবাহে বাধা
ফারাক্কা এবং তিস্তায় বাঁধ দিয়ে ভারতে এমনিতেই বাংলাদেশে শুকনো মৌসুমে পানি সংকট তৈরী করে। গঙ্গার পানি চুক্তি অনুযায়ী, ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ অনেক সময় পায় না। ৬ বছর ধরে ঝুলে আছে তিস্তার পানি চুক্তি। এবার শুকনো মৌসুমে পানি দিয়েও চাপ সৃষ্টি করতে পারে ভারত। এমন আশংকা এখন কূটনীতিক মহলে বেশ জোরে সোরেই করা হচ্ছে।
৩। ভারতীয় প্রকল্পে ধীরগতি
ভারতীয় অর্থায়ন ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ এখন অনেকগুলো প্রকল্প চলছে। চাপ দেয়ার কৌশল হিসেবে এই প্রকল্প গুলো গতি শ্লথ করে দিতে পারে ভারত।
৪। মিয়ানমারের সংগে সখ্যতা বৃদ্ধি
যদিও প্রকাশে ভারত রোহিঙ্গাদের বাস্তুহ্যের করার নিন্দা করছে। বানিজ্যের লোভে মিয়ানমারের সংগে গভীর সখ্যতা ঠিকই বজায় রেখেছে ভারত। এখন বাংলাদেশকে চাপে রাখতে মিয়ানমারের সংগে সখ্যতা বাড়াতে পারে ভারত।
এসবই আশংকার কথা। কূটনীতিকরা এটাও মনে করছেন, এসব ইস্যুতে চাপ দিয়ে সাময়িক ভাবে বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এসব চাপ বুমেরাং হতে পারে ভারতের জন্য।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।