নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশে ৯০ এর রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় চমক ছিলেন আমান উল্লাহ আমান। ৯০ ডাকসু নির্বাচনে আমান-খোকন পরিষদ গঠনের ঘোষনা দেন খালেদা জিয়া। সে সময় জালাল-দুদু-নীরুর মতো জনপ্রিয় নেতাদের বাদ দিয়ে ডাকসুর সহ সভাপতি পদে আমান উল্লাহ আমানকে মনোনয়ন দেয়া ছিলো খালেদা জিয়ার এক বিরাট সারপ্রাইজ। এই চমক এতোই প্রবল ছিলো যে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের জন্যও এটা ছিলো একটা বড় ধাক্কা।
খালেদার সিদ্ধান্ত প্রথমে মেনে নেয়নি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। মধুর কেন্টিনে প্রায় দীগম্বর করা হয়েছিল আমান উল্লাহ আমান এবং খায়রুল কবির খোকন কে। এই অবস্থাতেই দুই ঘন্টা মধুর কেন্টিনের সামনে বিধ্বস্ত অবস্থায় বসে ছিলেন আমান। বলা হয় এটাই ছিলো তার রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এরপর ডাকসুর ভিপি। এরশাদের পতনের পটভূমি তৈরী করেছিল সর্বদলীয় ছাত্র জোট। তার নেতা ছিলেন আমান। এরশাদের পতনের পর আমান কেরানীগঞ্জ থেকে নির্বাচন করেন এবং বিজয়ী হন। সে সময় মনে করা হয়েছিল, আমানই হলো বিএনপির ভবিষ্যত। বিএনপির মহাসচিব কবে হবেন এনিয়ে ছিলো জল্পনা, কল্পনা।
কিন্তু সততা না থাকলে একজন রাজনীতিবীদ যে হারিয়ে যান তার বড় প্রমাণ হলেন আমান উল্লাহ আমান। ৯০ এ এরশাদের পতনের পর থেকেই চাঁদাবাজি শুরু করেন আমান। বড় বড় ব্যবসায়ীদের এরশাদের দালাল বানিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার খেলায় নামেন আমান। ৯১ বিএনপি নাটকীয়ভাবে ক্ষমতায় এলে আমান হয়ে ওঠেন টাকা বানানোর মেশিন। রাজনীতি এমন এক পেশা, যেখানে সুনামের চেয়ে দুর্নাম ছড়ায় দ্রুত। আমানও একজন রাজনৈতিক নেতা থেকে রাজনৈতিক দালালে পরিণত হন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আমান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজের জন্য নয় বরং দুর্নীতির কারণে আলোচিত হন। ওয়ান ইলেভেনে দূর্নীতির দায়ে দন্ডিতদের মধ্যে অন্যতম আমান।
এরপরই আমানের সম্ভাবনার দুয়ার অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। আস্তে আস্তে বিএনপিতে আমানের গুরুত্ব কমতে থাকে। স্ত্রীর অসুস্থতাও তাকে কিছুটা পিছিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে আমানের রাজনীতি হয়ে পড়েছে গতিহীন, ছন্দহীন। ৯০ এ আমান যখন ডাকসুর ভিপি প্রার্থী তখন শ্লোগানে বলা হতো ‘আমানউল্লাহ আমান-খালেদা জিয়ার কামান।’ কিন্তু এখন সেই কামান আর গর্জায় না। কামানে গোলা নেই। জং ধরা কামান যেন আস্তাকুড়ে পরে থাকা এক পথহারা রাজনীতিক।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।