নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
জিন্দাবাদের সুর পাল্টে আজকাল কন্ঠে জয় বাংলা শোনা যায় বেশকিছু অভিনেত্রীর। হাওয়া ভবনের হাওয়া গায়ে লাগিয়ে তারেকের সাথে সেলফিধারী অনেকটাই ফুরিয়ে যাওয়া এসকল অভিনেত্রী পালক বদলে ভাসতে চাচ্ছেন নৌকার পালের হাওয়ায়। ১১ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন এই দীর্ঘ সময়ে বিনোদন জগতের অনেক তারকাই ভিড়তে চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ধারার বাইরের অনেক অভিনেত্রীকেই দেখা গেছে আওয়ামী লীগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদেরকে আওয়ামীপন্থী হিসাবে প্রচার করতে।
বিগত জাতীয় নির্বাচনের সময়ে দেখা গিয়েছিলো অনেক বেকার অভিনেতা অভিনেত্রী যারা এখন তাদের কাজের জায়গাতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও আসতে চেয়েছিলেন নির্বাচনের লাইমলাইটে। অনেক অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছিলো সংরক্ষিত মহিলা আসলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবেও।
বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) পন্থী অনেক তারকারাই আবার ভিড়তে চাইছেন আওয়ামী লীগে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় যোগ দিয়েছিলো এ সকল তথাকথিত তারকারা, নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিণত হয়েছিলো তারকার মেলায়।
বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে ঠাই পাওয়ার আশায় আবার সরব হয়ে উঠেছেন সেই সকল অভিনেত্রীরা। তারা আবারও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের কাছে। কিন্তু ব্যস্ততার অজুহাতে ফোনকল এবং সরাসরি সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার সময়ে ভিন্ন মতাদর্শ লালনকারী তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতাদের অপকর্মের সাথে সাথে বেরিয়ে আসে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর নামও। যার মধ্যে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগের নামধারী নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াসহ অনেকের সাথেই নাটক ও সিনেমার অনেক অভিনেত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়েছিলো।
আওয়ামী লীগের উপরমহলের অনেক নেতাদের সাথে প্রায়ই এসকল অভিনেত্রীদের ছবি তুলতে দেখা যায়। করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে রিজেন্ট হাসপাতাল মালিক সাহেদ এবং জেকেজির সাবরিনা র্যাবের হাতে ধরা পড়বার পর থেকে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে ছবি তোলার বিষয়টি সামনে চলে আসে।
সাম্প্রতিককালে নাটক ও সিনেমার বাজার বেশ নাজুক। এই সংকটময় অবস্থাতেই বেশকিছু বেকার অভিনেত্রী এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ছায়াতলে এসে নিজেদের আখের গোছাতে। এসকল পড়তি অভিনেত্রীদের অনেকেরই চাওয়া নির্বাচনের টিকেট অথবা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে পথ পরিস্কার করে চলা। কেউ কেউ আবার আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহারে জড়াচ্ছেন জালিয়াতি ও প্রতারণা সাথেও। এসকল স্বার্থান্বেষী অভিনেত্রীদের কারণে একদিকে যেমন আওয়ামী লীগের দুর্নাম হচ্ছে অপরদিকে ইমেজ সংকটে ফেলছে আওয়ামী লীগ নেতারা। যার কারণে অনেকটাই এড়িয়ে চলছেন এসকল অভিনেত্রীদের।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।