ইনসাইড পলিটিক্স

রদবদল আতংকে মন্ত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

যে কোনো সময় মন্ত্রীসভায় রদবদল হতে পারে, এমন আলোচনা এখন সচিবালয়ে প্রকাশ্য হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অধিকাংশ মন্ত্রী তৎপর ছিলেন এবং মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। সরকারের মন্ত্রীদের কাছে এই রকম খবর আছে যে, যে কোনো সময় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। কোন কোন মন্ত্রী বলছেন, আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় রদবদলের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে বলে, তাদের কাছে খবর রয়েছে।

মন্ত্রী বিভাগ অবশ্য বলছেন যে, মন্ত্রিসভায় রদবদলের জন্য সব সময় তারা প্রস্তুত থাকে। এটাই তাদের রুটিন কাজ। তবে কখন মন্ত্রীসভায় রদ বদল হবে, এ ব্যাপারে এখনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে কোন তথ্য নেই।

উল্লেখ্য যে, মন্ত্রিপরিষদের রদবদলের কাজটি সম্পন্ন করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় রদ বদল এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সেভাবেই নতুন মন্ত্রীদের শপথের আয়োজন করেন বা দপ্তর পরিবর্তন করেন। আসলে মন্ত্রিসভার রদ বদলের আকার-প্রকরণ কিভাবে হবে এবং এই মন্ত্রীসভার রদ বদলে কারা থাকবেন বা বাদ পড়বেন- সে বিষয় নিয়েই আলোচনা চলছে।

এতো দিন ধরে মন্ত্রিসভার প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল দুটি। প্রথমত, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে নতুন একজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গতকাল কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যে ইঙ্গিত করেছেন তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তন নিয়ে আবার অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা মোকাবেলায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং তাদের সমালোচনা হবেই। সমালোচনায় কান না দিয়ে কাজ করে যাবার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে, প্রশ্ন উঠেছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কি পরিবর্তন হচ্ছে? নাকি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে যাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টিকে থাকার প্রত্যয়ন পত্র বলে মনে করছেন। কারণ  প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করছেন। কাজেই এই অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন নিয়ে যতোই আলোচনা হোক, তা কাজে আসবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব চিন্তা, কৌশল অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ সাজাবেন। কারণ এই মুহূর্তে যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পরিবর্তন করা হয়, তাহলে মনে করা হবে যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আসলে ব্যর্থ। এজন্য মন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

করোনা সংকট নিয়ে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সফল না ব্যর্থ- এই নিয়ে জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। অধিকাংশ জনগণই মনে করে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা মোকাবেলায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেনি। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য এবং তার ভূমিকা নিয়ে সর্বস্তরে সমালোচনা হয়েছে। আর এই সমালোচনার প্রেক্ষিতে যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন করা হয়, তাহলে সেটি সরকারের ঘাড়ে আসতে পারে বলে, অনেকে মনে করেন। কারণ এতোদিন তাহলে পরিবর্তন করা হয়নি কেন বা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাকে এতদিন রাখা হল কেন ইত্যাদি প্রশ্ন আসতে পারে। এটিকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

এ রকম বাস্তবতায় সরকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিবর্তন নাও করতে পারেন, বলে ধারণ করা হচ্ছে। অবশ্যই আবার বিপরীত মতামতও পাওয়া গেছে। অনেকে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ইংগিতবাহী। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ব্যর্থতার জন্য পরিবর্তন করছেন না। বরং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভালো করেছেন, তাকে অন্য একটি মন্ত্রণালয়ে দেয়া হচ্ছে। ব্যর্থতার জন্য তাকে পদত্যাগ করানো হচ্ছে না। এটি বোঝানোর জন্যই হয়ত প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সফলতার কথা বলছেন।

তবে এর আশ্বাস পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তন হবে- কিনা সেটি দেখার বিষয়। আর একটি মন্ত্রণালয় নিয়ে গুঞ্জন আছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একের পর এক পেয়াজ সংকট, জিনিসপত্রের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই মুহূর্তে তাকে পরিবর্ত করা হবে কিনা- তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। কথা হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে নিয়েও। এই করোনা  সংকটের সময় অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা তেমন ইতিবাচক ছিলো না, বলে অনেকে মনে করছেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে রদবদল হবে, এটি অনেকের কাছেই একটি অবাস্তব চিন্তা । সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়েও ভাবা হচ্ছে। এছাড়াও কাজের সমন্বয় করার জন্য নতুন প্রতিমন্ত্রী, নতুন মন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট নেতাদের কেও এখন মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে, এমন কথা আওয়ামী লীগের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে হচ্ছে।

তবে মন্ত্রিসভায় আকার-প্রকরণ কি হবে এবং মন্ত্রিসভায় রদ বদল ছোটো হবে নাকি বড় হবে- সে বিষয় নিয়ে নানা রকম আলাপ-আলোচনা ও গুঞ্জন থাকলে, সঠিক এবং নিশ্চিত তথ্য কারো কাছে নেই। তবে সবাই একটি কথা বলছেন যে, আগামীকাল থেকে যে সপ্তাহটি শুরু হচ্ছে, এই সপ্তাহ থেকে মন্ত্রিসভায় বড় ধরণের রদবদল হতে পারে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোটে অংশ নেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।

তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। 

অবশ্য এসব প্রার্থীর অনেকে এটি ‘দলীয় নির্বাচন নয়’ বলে দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ ‘জনগণ তাদের চাচ্ছে’– এমন অজুহাত দেখাচ্ছেন। এমনকি দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন– সেই ভয় উপেক্ষা করেই নিজেদের এ অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। আবার অনেকের দলে কোনো পদপদবিও নেই। অনেকে বহিষ্কৃত। এর পরও যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি হাইকমান্ড। শিগগির এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানা গেছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দলের এমন সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বাস্তবায়ন করছে দলটি। এ জন্য দফায় দফায় তৃণমূল নেতাকর্মী ছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক করেন নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতারা এই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত তুলে ধরেন। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ইচ্ছুকদের প্রথমে কাউন্সেলিং, নির্বাচনে না যাওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি দলের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। এর পরও যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, তাদের বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই উচ্চারণ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। 

এদিকে গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতারা বলছেন, স্থানীয় জনগণের চাপে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাছাড়া যেহেতু এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না তাই তারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছেন। আর তাই বহিষ্কারের বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছে না। তবে দল তাদের ব্যাপারে নমনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন এমনটাও প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলার বিএনপির প্রার্থী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচনে না যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন করব, দল যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নেবে।

বিএনপি   গণ বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় থানায় জিডি

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ২০ বছর যাবৎ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই।’ 

একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।’

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না, এটা ঠিক না’

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের। 

গতকাল সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে যান শাজাহান খান। এ সময় তার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি তো কথা শুনলেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তও মানলেন না।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তিরস্কার করেন শাজাহান খানকে।

জানা গেছে, শাজাহান খান এক পর্যায়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ছেলে আসিবুর রাজনীতিতে এসেছে। এ জন্যই সে প্রার্থী হয়েছে। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপির স্বজনের নির্বাচন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রতিউত্তরে শাজাহান খান বলেন, অনেকেরই নিকটাত্মীয় রাজনীতিতে আছেন।

ওবায়দুল কাদের এ সময় শাজাহান খানকে বলেন, ‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না। এটা ঠিক না।’ এর জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘আপনার সিদ্ধান্ত দেরিতে জানিয়েছেন। আগে জানালে ভালো হতো।’ তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমার নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোন সিদ্ধান্ত কখন দেবেন, সেটা কি আমাদের জিজ্ঞাসা করে দেবেন?’

শাজাহান খানের উচ্চস্বরে কথা বলা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিরক্ত হন ওবায়দুল কাদেরও। তিনি শাজাহান খানের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে দলের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। এর পরও আপনি সবার সামনে এসব অপ্রিয় কথা কেন বলছেন?

এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সংসদের দুই সদস্য আনিসুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মশিউর রহমান হুমায়ুন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী লোটন, বলরাম পোদ্দার এবং শাহজাদা মহিউদ্দিন।

ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই চামেলীকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
 
এর আগে ওই নারী কাউন্সিলরের একটি নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কয়েকদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ঘুরপাক খায়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আওয়ামী লীগ   ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন