নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সরকারের সাথে ভারতের টানা পোড়েনের সুযোগ নিতে মরিয়া বিএনপি। ভারতের বিভিন্ন মহলে বিএনপির পক্ষ থেকে যোগাযোগের খবর পাওয়া যাচ্ছে। লন্ডনে তারেক জিয়ার সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক নিয়েও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলছে।
বিএনপি’র একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের মন জয় করতে তারেক জিয়া ও বিএনপির পক্ষ থেকে ৫ বিষয়ে মুচলেকা দেয়া হয়েছে। ক্ষমতায় আসা নয় বরং এই মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ভারতের আস্থা অর্জন করতে চায়, বলেও বিএনপি’র একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ভারতকে বিএনপি যে, ৫ বিষয়ে অঙ্গীকার করেছে তা হলোঃ
১। জিয়া পরিবার বিএনপি’র মূল নেতৃত্বে থাকবে না
বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ এবং তারেক জিয়া ভারতীয় প্রতিনিধিদের কাছে এই মর্মে অঙ্গীকার করেছেন যে, বিএনপির মূল নেতৃত্বে জিয়া পরিবারের কেউ সক্রিয় থাকবেন না। তারেক এবং বেগম জিয়ার দলে ভূমিকা হবে উপদেষ্টার। সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, বিএনপিকে জিয়া পরিবার মুক্ত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছিল দীর্ঘদিন থেকেই। ভারতে এই পরামর্শেই এখন বিএনপি সাড়া দিতে রাজি, বলে জানা গেছে।
২। জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবে
দ্বিতীয় যে বিষয়ে বিএনপি ও তারেক ভারতের কাছে অঙ্গীকার করেছে, সেটি হলো জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ। সূত্র গুলো বলছে, ভারতের পক্ষ থেকে গত ১২ বছর ধরেই বিএনপিকে জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করবে পরামর্শ দিচ্ছিল। যদিও গত দেড় বছরে এই দুই দলের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু দুই দলের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েও সম্মত বিএনপি এমন অঙ্গীকার করা হয়েছে বলেই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
৩। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ
ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে এ রকম সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে যে, বিএনপির কোন কোন নেতার সঙ্গে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যোগাযোগ রয়েছে। এদের গোপন সম্পর্ক রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি এ ধরনের সম্পর্ক থাকে, তা হলে তা বন্ধ হবে অবিলম্বে।
৪। চীন নীতি পরিবর্তন ও পুনঃমূল্যায়ন
বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের যে চীন নীতি তা পরিবর্তন করবে। চীনের সঙ্গে বানিজ্য ভারসাম্য তৈরি এবং অর্থনীতিতে চীন নির্ভরতা কমাতে কাজ করবে বিএনপি।
৫। সংখ্যা লঘুদের স্বার্থ এবং তাদের অধিকারের ব্যাপারে বিএনপি’র অবস্থান আরো স্পষ্ট এবং পরিষ্কার হবে।
বিএনপির অনেক নেতাই মনে করছেন, এ ধরনের অবস্থানের কারণে ভারতের বিএনপি’র প্রতি দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হবে। তবে, একাধিক কূটনীতিক মহল মনে করেন, ভারত বিএনপির সঙ্গে কথা বলছে ঠিকই, কিন্তু তাদের কথা কতটুক বিশ্বাস করেছে, সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন