নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
জাতিসংঘের ৭৫-তম সাধারণ সাধারণ অধিবেশন চলছে, আগামীকাল ভোরে সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৃতীয় বিশ্বের একটি জনবহুল দেশ, বাংলাদেশ। ভূ-রাজনীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এক সময় গুরুত্বহীন ছিল। বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়াটা ছিল, স্রেফ একটি আনুষ্ঠানিকতা। এই নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়া, অন্য কোন দেশের তেমন কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু এবার পরিস্থিতিটা যেন ভিন্ন। এবার জাতিসংঘের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভার্চুয়ালি। এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি একাধিক সাইড লাইনে বক্তব্য রেখেছেন এবং প্রতিটি বক্তব্যই যেন, তিনি বিশ্ব বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসেবে উপস্থাপন করছেন।
আর সে কারণেই আগামীকাল সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনার ভাষণ নিয়ে, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আগ্রহের কমতি নেই। নানা কারণেই শেখ হাসিনা এখন বিশ্বে প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হয়েছেন। শুধুমাত্র নারী নেতা এই জন্য নয়, বরং প্রান্তিক, দরিদ্র ও বিপর্যস্ত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে তিনি যেন আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি যেন, এখন হত দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষের একক নেতায় পরিণত হয়েছেন। আর এভাবেই তিনি নিজেকে বিশ্ব নেতা হিসেবে আলোকিত করেছেন।
সাম্প্রতিক করোনা সংকটের সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিশ্বে আরও বেশি করে চর্চা হচ্ছে। এই সময়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো শেখ হাসিনার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। একাধিক আন্তর্জাতিক পত্রিকায় তিনি যেমন নিবন্ধ লিখেছেন, তেমনি তাকে নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। আর এই সমস্ত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এখন শেখ হাসিনা বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, জার্মানির আঙ্গেলা মের্কেল বা নিউজিল্যান্ডের জাসিন্ডা আরডার্ন যেমন বিশ্বে প্রশংসিত নেতা। কিন্তু ওই দেশগুলোর জনসংখ্যা এতো কম যে, ওই দেশগুলোকে সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য এতো বেগ পেতে হয় না।
সেখানে এতো বড় একটি জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা যেভাবে এগিয়ে নিচ্ছে, যেভাবে সংকট মোকাবেলা করছে, তাতে তিনি বিশ্বে রোল মডেল হয়ে গেছে। এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শেখ হাসিনা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে এনেছেন। যে ইস্যুগুলোর কারণে এখন তিনি একজন প্রভাবশালী একজন বিশ্ব নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘের অধিবেশনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত, তিনি কয়েকটি মৌলিক বিষয় সামনে এনেছেন।
প্রথমত, ভ্যাকসিন বৈষম্য যেন না হয়, সে ব্যাপারে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন যেন আসে এবং সেই ভ্যাকসিন যেন প্রান্তিক এবং দরিদ্র জন গোষ্ঠী যেন পায়- তা নিশ্চিত করার কথা তিনি বলেছেন। যেটি বিশ্বে প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে তিনি উচ্চারন করেছেন। কারণ ইতোমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে একটি বৈষম্যের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ধনী দেশগুলো আগাম অর্থ দিয়ে ভ্যাকসিন কিনেছে; এর ফলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গরীব দেশগুলো ভ্যাকসিন বঞ্চিত হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে করোনা সংকটের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে। সেইই পরিস্থিতি যেন না হয়, সে ব্যাপারে শেখ হাসিনা আগাম সর্তক বার্তা দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা জলবায়ু মোকাবিলার জন্য আরও গুরুত্ব দেয়ার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আহবান জানিয়েছেন। অনেক বিশেষজ্ঞরাই বলছেন ‘করোনা হলো প্রকৃতির প্রতিশোধ’। আমরা যে প্রকৃতির উপর অত্যাচার-অবিচার করেছি তার প্রতিশোধ। এই বাস্তবতায় শেখ হাসিনা যখন জলবায়ু প্রসঙ্গটি সামনে এনেছেন, তখন তিনি যেন বিশ্ব বিবেকের কন্ঠস্বর হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছেন। সাইড লাইনের বক্তৃতায় শেখ হাসিনা যেমন ডিজিটাল বিশ্বের প্রসংশা করেছেন। ডিজিটাল বিশ্বের শক্তির কথা বলেছেন। একই সাথে তিনি ডিজিটাল বৈষম্যের কারণে যে আবার নতুন দারিদ্র তৈরি হচ্ছে- সে প্রসঙ্গটিও উথাপন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের কথা আবার পুনঃউচ্চারিত করেছেন।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে, দশ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ রাখছে। বিশ্ব কূটনীতিতে, এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেই কারণে বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের যেমন আগ্রহ রয়েছে, তেমনি আগ্রহ তৈরি হয়েছে শেখ হাসিনার কৌশল, বিচক্ষণতা এবং তার বক্তব্য নিয়েও। কারণ তিনি যে বক্তব্যগুলো দিচ্ছেন সেই বক্তব্যগুলো শুধু যে বাংলাদেশের, বক্তব্য তা নয়। বরং বিশ্ব মানবতার কন্ঠস্বর হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে। আর এ কারণেই শেখ হাসিনা এখন কেবল একজন বিশ্বনেতা হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেননি। বরং বিশ্বনেতা হিসেবে তিনি সারা বিশ্বে, বিশেষ করে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর কন্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে প্রতিস্থাপিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।