নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছে শেখ হাসিনা যেন ক্রমশ দূর্বোধ্য হয়ে যাচ্ছেন। তিনি কী করবেন, কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন- এ সম্পর্কে এক রকম অন্ধাকারেই থাকছেন আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা। শেখ হাসিনা এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশলও পাল্টেছেন। তিনি যে কোনো বিষয়ে সবার মতামত নিচ্ছেন। মনোযোগ দিয়ে সবার কথা শুনছেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। পরে যে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, তা অনেক নেতার কাছেই অপ্রতাশিত।
সাম্প্রতিক সময়ে, মন্ত্রিসভার রদবদলের কথাই ধরা যাক। মন্ত্রিসভা রদবদল হবে এরকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। দুএকজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপনও করেছেন। আওয়ামী লীগের অন্তত দুজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা কেন মন্ত্রিসভা রদবদল করা দরকার, সে সম্পর্কে তাদের মতামতও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু শুনেছেন, কিন্তু কিছু বলেননি। এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভার রদবদল হয়নি। কবে কীভাবে হবে এসম্পর্কে কেউ কিছু জানেন না।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন ‘একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ জানে না, মন্ত্রিসভার রদবদল আদৌ হবে কি না।’ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েও এখন নেতারা শেখ হাসিনার মনের খরব বোঝেন না। সংসদের শূন্য আসনে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা যা অনুমান করেছিলেন, হয়েছে তার উল্টো। এমনকি এখন আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে শেষ পর্যন্ত কারা থাকবেন, যে ব্যাপারে সব গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই অন্ধকারে।
তাহলে শেখ হাসিনা কি দূর্বোধ্য হয়ে গেছেন? তাকে কি বুঝতে পারছেন না, আওয়ামী লীগের নেতারা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া যায় কিছু মৌলিক কারণ যেমন:
১. শেখ হাসিনা সব খবর পাচ্ছেন, দলের নেতারা কী কী করছেন, এমনকি তৃণমূলের নেতাদের সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছেন শেখ হাসিনা। যে কারণে, তার সিদ্ধান্তগুলো বুঝতে পারছেন না অন্যান্য নেতারা।
২. দূরদর্শিতা: শেখ হাসিনা এখন আরো পরিণত ও দূরদর্শী। আর যে কারণেই সব বিষয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর বদলে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যে কারণে তার সিদ্ধান্তগুলো এখন আগে থেকে অনুমান করা যাচ্ছে না।
৩. সামগ্রিক বিশ্লেষণ: তাৎক্ষণিক ঘটনার ভিত্তিতে নয়। সামগ্রিক ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন শেখ হাসিনা। যে
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।