নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মঈন ইউ আহমেদ। বাংলাদেশে বহুল আলোচিত সমালোচিত সেনা প্রধান। তার নেতৃত্বে ওয়ান ইলেভেন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ২০০৮ এর নির্বাচনের পরও সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
অবসর গ্রহণের পর চুপিসারে দেশত্যাগ করেন মঈন ইউ আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন তিনি। ক্যান্সারে আক্রান্ত এই সাবেক সেনা প্রধান সেখানেই নিভৃত জীবন যাপন করছেন। বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গেও তার খুব একটা যোগাযোগ নেই। হাতে গোনা দুচারজন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একটি বই লিখলেও অজ্ঞাত কারণে বইটি প্রকাশ করেন না।
জেনারেল (অব.) মঈনকে সেনা প্রধান করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ৭ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে তাকে সেনা প্রধান করার মূল কারণ ছিল আস্থা ও বিশ্বাস। বিএনপির সব নেতাই একটি বিষয়ে একমত, জেনারেল মঈন বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। জেনারেল মঈন যদি সমর্থন দিতেন তাহলে ২২ জানুয়ারি ২০০৭ সালের নির্বাচন করা যেত।
অবশ্য মঈন তার বইতে উল্লেখ করেছেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যই তিনি ওই সময় কাজ করছেন। ওই নির্বাচন হলে দেশে গৃহযুদ্ধ হতো বলেও তিনি লিখেছেন তার গ্রন্থে। দুবছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলেও আসল ক্ষমতা ছিল জেনারেল মঈনের হাতেই। সবকিছু পরিচালিত হতো তার নির্দেশেই। এসময় মাইনাস টু ফর্মূলার মাধ্যমে দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিদায় করে, তিনি পাদপ্রদীপে আসতে চেয়েছিলেন বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু, তার কিংস পাটি, হালে পানি পায়নি।
এক সময়, ক্ষমতা দখলের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে, তিনি নিরাপদেই ছিলেন। এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাকে নিয়ে এখন আলোচনাও নেই। তবুও কেন দেশে ফিরছেন না মঈন ইউ আহমেদ। তার ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, দেশে না ফেরার কারণ। তার মতে বিএনপি যে কোনো সময় তার ক্ষতি করতে পারে। দলে কিছু ভয়ংকর সন্ত্রাসী আছে বলেও মনে করেন মঈন। সেনা প্রধান থেকে অবসর গ্রহণের পর, এরকম কিছু হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। এজন্যই এখন নিরাপদ দূরত্বে আছেন। বিএনপি তো এখন নিজেই সংকটে তারপরও তার কিসের ভয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে মঈন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যেকোনো সময়ে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। এটা সব সম্ভবের দেশ।’
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।