নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সিলেটে এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় আবার আলোচনায় ছাত্রলীগ। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ কর্মী। গত এক দশক ধরেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। কোথাও চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির, কোথাও শিক্ষককে পেটানো, কোথাও নারীকে উত্যক্ত করার। আর এসব অভিযোগের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের ভালো কাজগুলোর।
কৃষকদের সহায়তায় করোনাকালে ছাত্রলীগের ধান কাটা, ত্রাণ বিতরণের মতো ভালো কাজগুলো আলোচনায় আসছে না, অথচ ধর্ষণ, চাঁদাবাজির ঘটনাগুলো ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আওয়ামী লীগের নেতারাও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে নাখোশ। তারা বলছেন ‘ছাত্রলীগকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন।’ কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন একের পর এক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ। অনুসন্ধান করলে খুঁজে পাওয়া যায়, এর পেছনে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ:-
১. অনুপ্রবেশকারীরা: আওয়ামী লীগের মধ্যে এটা এখন ওপেন সিক্রেট যে, অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগকে ঘিরে ফেলেছে। বিএনপি-জামাত থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী, দূবৃত্তরা অবাধে ঢুকে পড়ছে ছাত্রলীগে। এরাই নানা অপকর্ম করছে। যেসব অপকর্ম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার ৯০ শতাংশই করছে অনুপ্রবেশকারীরা।
২. প্রভাবশালী নেতারা ব্যবহার করছেন ছাত্রলীগকে: ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ভূমিকাও কম না। প্রভাবশালী নেতারা তাদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করেন ছাত্রলীগকে। তাদের দিয়ে নানা অপকর্ম করান। এক সময় এসব করতে করতে দুর্বীনিত হয়ে ওঠে অনেকে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ফরিদপুর।
৩. শিক্ষকদের রাজনীতি:- ছাত্রলীগকে নিয়ে এতো বিতর্কের পেছনে শিক্ষক রাজনীতিও কম দায়ী নয়। শিক্ষকরা সরকারে সুদৃষ্টি পাবার জন্য, ভালো পদ পেতে, ভিপি হতে, ছাত্রলীগের ওপর ভর করেন। তাদের প্রশ্রয় দেন। ছাত্রলীগকে টেন্ডারের প্রলোভন দেখান। এভাবে ছাত্রলীগ আস্তে আস্তে লোভে পড়ে নষ্ট হয়।
৪. আদর্শিক চর্চার অভাব:- এক সময় ছাত্রলীগে আদর্শিক চর্চা হতো। পাঠচক্র হতো। নেতারা ছাত্রলীগের কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, রাজনীতি সম্পর্কে জ্ঞান দিতেন। এসব এখন অতীতের বিষয়। ছাত্রলীগের মধ্যে এখন পাঠচক্র নেই, আদর্শ চর্চাও নেই। আদর্শহীন একজন কর্মী ক্ষমতা পেলে ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করতে পারে না।
৫. গণমাধ্যমের অতি প্রচারণা:- ছাত্রলীগের ব্যাপারে গণমাধ্যম যেন সব সময় নেতিবাচক। ছাত্রলীগের ছোট অপকর্মও যেন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। ছাত্রলীগ যা করে, প্রচার হয় তার চেয়েও বেশি।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।