নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ঘটনা-১
রোববার সকালে মেডিসিন সোসাইটির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বললেন ‘করোনা সংকটে অনেকে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সাহস, দিয়েছেন।’ করোনায় সমালোচনায় নাস্তানাবুদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন প্রস্থানের পথ খুঁজছিলেন। যখন কেবিনেট কলিগরাও তাকে এড়িয়ে যাওয়া শুরু করেন। সে সময় শেখ হাসিনা তার পাশে দাঁড়ান। তাকে অভয় দেন, তাকে পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। এসময় চাইলেই শেখ হাসিনা জাহিদ মালেককে ছুঁড়ে ফেলতে পারতেন। এতে ক্ষণিকের জন্য হাততালিও পেতেন। কিন্তু সস্তা জনপ্রিয়তার পথে না গিয়ে, শেখ হাসিনা একজন কর্মীকে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে সাহায্য করছেন। সস্তা জনপ্রিয়তা নয় দীর্ঘস্থায়ী অর্জনের পথে হেটেছেন শেখ হাসিনা।
ঘটনা-২
সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানালেন, বেগম জিয়ার ছোট ভাই ও বোন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। ওই কর্মকর্তা ইতস্তত ও বিচলিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এতোটুক অবাক না হয়ে, সময় দিলেন। তারা দেখা করলেন। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে জামিন দিতে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন। তথ্য প্রমাণ বলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বেগম জিয়া। ওই হত্যার আলামত নষ্টের জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় প্রভাব খাটিয়েছিলেন। যিনি তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, তাকে তিনি মুক্তির নির্দেশ দিলেন।
এ রকম অনেক ঘটনা আছে কোনটা ছেড়ে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ? এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শেখ হাসিনা রাজনীতিতে এক নতুন ধারার সূচনা করেছেন। তিনি আদর্শ ও বিশ্বাসে অটল থেকেছেন। বিপদে ঘাবড়ে যাননি। প্রতিকূলতাকে জয় করেছেন। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার পরও অহমিকা, আমিত্ব তাকে পেয়ে বসেনি। সব সময় মাটিতে পা রেখেছেন। অসম্ভব সাহসী আবার প্রচণ্ড দরদী। দুর্বৃত্তদের জন্য এক বিন্দু ছাড় নয় আবার নিপীড়িতদের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেন। সবথেকে বড় কথা, তিনি জনগণের ভাষা বোঝেন। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেন। রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা যখন জনগণের থেকে নক্ষত্রের দূরত্বে যান। শেখ হাসিনা বরং উল্টো। অচেনা মানুষের ফোন ধরেন। তার কথা শোনেন। তিনি জনগণের সঙ্গে একটা সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। আর একারণেই দীর্ঘ প্রায় এক যুগ টানা ক্ষমতায় থাকার পরও শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কমেনি। বরং তিনিই এখন বিকল্পহীন। শেখ হাসিনাই যেন এখন বাংলাদেশ। দেশের সব মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।