নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এমন কোনো বড় অর্জন পাওয়া যাবে না যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং ভিআইপি গ্যালারিতে বসে করতালি বাজিয়ে সেই বিজয়কে স্বাগতম জানাননি। বিশ্ব সেরা নেত্রী শেখ হাসিনার খেলাধুলা যে কতটা প্রিয় সেটি আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে ক্রিড়াঙ্গনের প্রতিটি বোর্ড উন্নয়নে তার অবদান মাইফলক হয়ে রয়েছে। এর আগে কোনো সরকার বাংলাদেশ ক্রিড়াঙ্গনের উন্নয়নে এতটা অবদান রাখতে সক্ষম হননি।
খেলাধুলা নিয়ে তাঁর অন্যরকম ভালোবাসার মূল কারণ হয়তো তাঁর বাবা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ফুটবলার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবলার হিসেবে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া তিনি হকি এবং ভলিবলও খেলতেন। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানও ছিলেন একজন পরিচিত ফুটবলার। তিনি গোপালগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের ফুটবল টিমের অধিনায়কও ছিলেন। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তিনি ক্লাবটির সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরের ক্রীড়াঙ্গনে যে অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটিয়েছে তাঁর পেছনে ব্যক্তিগত ভালো লাগা হয়তো অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। ক্রিড়াঙ্গনে তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু অবদান তুলে ধরা হলো-
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ- ২০১১
২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায়।
আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাই পর্ব- ২০১১
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বাছাই পর্ব-২০১১ এ বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল জাপান, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস অর্জন করে জাতির জন্য এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। এছাড়া ওই বছর বাংলাদেশ হকি, শুটিং, জিমন্যাস্টিকস, আর্চারি, সুইমিং ও রোলবল ইত্যাদি ডিসিপ্লিনে ভালো ফলাফল অর্জন করেছিল।
মিনি স্টেডিয়াম তৈরি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের তৃনমূল পর্যায় থেকে মেধাবী খেলোয়াড়দের জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনার অভিপ্রায়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মোট ৪৯০টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩১টি মিনি স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালা খসড়া চূড়ান্ত
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালা খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার আওতায় খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিকরা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হন।
ক্রীড়াক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন
ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরব অর্জনের পাশাপাশি অবকাঠামোগত ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেট উপলক্ষে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম, খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও নারায়ণগঞ্জ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে উন্নীত করা হয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের বিশ্ব মর্যাদার ক্রিকেট খেলা সম্ভব বাংলাদেশে। এছাড়া সাউথ এশিয়ান গেমসের সময় প্রায় ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া দিবস ঘোষণা
৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী প্রতি বছর উৎসবমুখর পরিবেশে ৬ এপ্রিলকে ক্রীড়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ক্রীড়া পরিদপ্তরের আওতায় ৬টি সরকারি শারিরিক শিক্ষা কলেজ স্নাতক ডিগ্রিধারী যুবক ও যুব নারীদের নিবিড় প্রশিক্ষণ করে ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন (বিপিএড) শিক্ষা প্রদান করছে। ঢাকা শারিরিক শিক্ষা কলেজে মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এডুকেশন( এমপিএড) কোর্স চালু করা হয়েছে।
এছাড়াও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশই পুরুষ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। এশিয়া কাপে তিনবার ফাইনাল, নিদহাস ট্রফিতে ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব রয়েছে। এশিয়া কাপ ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম সোনা এসেছে ক্রিকেট থেকেই। মেয়েরা জিতেছে রুপা।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে মেয়েদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শিরোপা। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে রেকর্ডগড়া ১৭টি সোনা জয় করে বাংলাদেশ।
তবে মানবতার দিকেও প্রধানমন্ত্রীর তুলনা হয় না। ক্রীড়াঙ্গনে শুধু উন্নয়ন নয়, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরা অসুস্থ হলে তাদের প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের কারণে তাদের প্লট ও ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।