নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
লন্ডনে থাকে বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। আর সৌদী আরবে আছেন তার দীর্ঘ দিনের একান্ত সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালু। শেষ পর্যন্ত যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার অনুমতি পান, তাহলে কোথায় যাবেন তিনি? এ নিয়ে পরিবারে ও দলে নানা মুখী আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষ অনুকম্পায় আরো ছয় মাস জামিন পেয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। দ্বিতীয় দফায় তার জামিন শুরু হয়েছে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে। দ্বিতীয় মেয়াদের জামিনেও আগের শর্ত বহাল রাখা হয়েছে। শর্ত হলো, বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। কিন্তু বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আশাবাদী যে, শেষ পর্যন্ত হয়তো প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে তাকে (বেগম জিয়া) বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দেবেন। এই লক্ষ্যে বেগম জিয়ার পরিবার কাজও করছেন।
গতকাল বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা দেখার জন্য একটি চিকিৎসক প্যানেল গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. এফ. এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এই বোর্ডে অর্থোপেডিকসসহ আরো কয়েকটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। আগামীকাল বেগম জিয়ার রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে। যেসব পরীক্ষা বাড়িতে থেকেই করা যায়, সেগুলোই আপাতত করে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে একটি ধারণা নিতে চান চিকিৎসকরা। এরপরও চিকিৎসকরাই তার চিকিৎসা কোথায় করা উচিত সে সম্পর্কে মতামত দেবেন। বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, চিকিৎসকরা যেভাবে বলবেন, তারা সেভাবেই চিকিৎসা করাবেন। তারা যদি বিদেশ পাঠাতে বলেন, তাহলে তাকে বিদেশে নেয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করা হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হাটুর ব্যথা এবং বা হাতের ব্যথাই এখন বেগম জিয়ার প্রধান সমস্যা। আগে তার অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিকস সমস্যা খুব বেশি ছিল। এখন সেটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ব্যথা ছাড়া অন্য সমস্যাগুলো এখন নিয়ন্ত্রণে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। বেগম জিয়ার ১৯৯৪ এবং ২০০৩ সালে দুবার হাটুর অপারেশন করা হয়েছিল। দুটোই সৌদি আরবে কিং ফয়সল ইনস্টিটিউটে। বেগম জিয়া তাই চিকিৎসা সৌদি আরবেই করাতে আগ্রহী। বেগম জিয়ার পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন, শীতে লন্ডনে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর মধ্যে সেখানে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না। এছাড়া বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, লন্ডন শুনলে সরকার তাকে বিদেশ যেতে দিতে নাও পারে। এজন্যই তারা সৌদি আরবে যেতে আগ্রহী।
তবে একটি সূত্র জানায়, বেগম জিয়ার দীর্ঘ দিনের একান্ত সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালু এখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এর আগেও ফালুই তার চিকিৎসার বিষয় দেখভাল করতেন। সৌদিতে ফালু থাকার কারণে বেগম জিয়ার ভালো চিকিৎসা হবে বলে মনে করেন পরিবারের একাধিক সদস্য। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতা মনে করেন, কিছুদিন ধরেই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় খালেদার। বিশেষ করে, তার গ্রেপ্তারের পর তারেকের আচরণে অসন্তুষ্ট বেগম জিয়াই এখন লন্ডনে যেতে আগ্রহী নন।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।