নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আগামী ৩ অক্টোবর সীমিত আকারে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণভবনে অনুষ্ঠিতব্য ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা যোগ দেয়ার কথা, শুক্রবার তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হবে। যারা এই পরীক্ষায় নেগেটিভ হবেন তাদেরই এই বৈঠকে ঢাকা হবে।
প্রায় ৭ মাস পর আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, এই বৈঠক ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি চূড়ান্ত করা হতে পারে। এছাড়াও এই বৈঠকে আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগ, কৃষক লীগ এবং শ্রমিক লীগের কমিটিও চূড়ান্ত করা হতে পারে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবিত কমিটির নাম জমা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এই তালিকার নামগুলো যাচাই-বাছাই করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে এই তালিকায় বেশ কিছু নাম সংযোজন ও বিয়োজন করার প্রস্তাব করে তা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি তার নিজস্ব উদ্যোগে ওই তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। এই সব অনুসন্ধান ও যাচাই বাছাইয়ের পর এই দুই কমিটি মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ এবং শ্রমিক লীগের কমিটিও মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে বলেই আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ৩ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে গণভবনে সীমিত আকারে যে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। তাতে এই কমিটিগুলো ছাড়াও যেসব জেলার প্রস্তাবিত কমিটি জমা পড়েছে সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে চলমান শুদ্ধি অভিযান, এমসি কলেজসহ ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে নীতি নির্ধারণী এবং নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বৈঠকে অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও কথা বলতে পারেন তিনি।
তবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে দুই শূন্য পদসহ কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদগুলো পূরণের ব্যাপারে এই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হবে কি না সে সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।