নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ফরিদপুর সব সময় বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের জন্য আলোচিত। বেগম সাজেদা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন, প্রয়াত কে, এম ওবায়দুর রহমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, কাজী জাফর উল্লাহ, আবদুর রহমানের মতো বড় নেতাদের বাস এই জেলায়। কিন্তু এই সব নেতাদের সব টুক আলো কেড়ে নিয়েছেন একজন। তিনি হলেন মুজিবর রহমান চৌধুরী, যিনি আসলে নিক্সন চৌধুরী নামেই পরিচিত। আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়।
কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগার নন। বড় ভাই নূর-ই-আলম চৌধুরী, জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ। কিন্তু নিক্সন চৌধুরী স্বতন্ত্র এমপি। ফরিদপুর-৪ আসন থেকে স্রোতের বিপরীতে লড়াই করে জিতেছেন দু’বার। ২০১৪ এবং ২০১৮’র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হারিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট নেতা, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহকে। অথচ নিক্সন চৌধুরীর বাড়িই ফরিদপুরে নয়।
কাজী জাফর উল্লাহকে কেবল নির্বাচনেই হারাননি, ফরিদপুরের রাজনীতিতেও তাকে ক্রমশ ‘রিক্ত’ করছেন নিক্সন চৌধুরী। এই তো ক’দিন আগের কথা, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে কাজী জাফর উল্লাহর মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, নিক্সন চৌধুরী নেতৃত্ব মেনে নিলেন। সোনার নৌকা নিয়ে এসে নিক্সন চৌধুরীকে ‘নেতা’ মানলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযানের ফলে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ এলাকায় যান না। বেগম সাজেদা চৌধুরী অসুস্থ। আবদুর রহমানের এলাকায় তেমন প্রভাব নেই। এ সময় ফরিদপুরের এক নেতা হয়ে ওঠা সুযোগ ছিলো কাজী জাফর উল্লাহর। কিন্তু, এক ‘বহিরাগত’ তরুণের কাছেই নাস্তানাবুদ তিনি। ফরিদপুরের রাজনীতিতে প্রভাব বাড়ছে নিক্সন চৌধুরীর। ক্রমশ গোটা ফরিদপুরেই একক নেতা হিসেবে ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরছেন তিনি। কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গেলে দেখা যায়, এলাকায় তিনি বিপুল জনপ্রিয়। ফরিদপুরে এখন যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং এর মামলা শুরু হয়েছে, এদের বিরুদ্ধে সব সময় একাই সোচ্চার ছিলেন নিক্সন। প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে থাকায় যখন কেউ তাদের বিরদ্ধে টু শব্দটা করতো না, তখনও তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতেন নিক্সন চৌধুরী।
তাই ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযানের পর, আলোচনায় নিক্সন চৌধুরী। তার নির্বাচনী এলাকার বাইরে গোটা ফরিদপুরেই এখন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সন্তান, জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল, এলাকার উন্নয়নের জন্য জনগণ তার প্রতি অনুরক্ত। আর এ জন্যই তাকে ঘিরে যে বিতর্ক তা ক্রমশ আড়াল হচ্ছে। ব্যতিক্রমী রাজনীতিবীদ হিসেবে তিনি ক্রমশ পাদপ্রদীপে আসছেন।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।