নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
জাতীয় শ্রমিক লীগের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রমিক লীগের এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।
গত বছর ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলনে ফজলুল হক মন্টুকে সভাপতি, আজম খসরুকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছরের জন্য সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর রবিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এই কমিটিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাজাহান খান, নুর কুতুব আলম মান্নান (রাজশাহী), কামরুজ্জমান চুনু (পাটকল যশোর), হুমায়ুন কবীর (রেল), তোফায়েল আহমেদ (মীরপুর), মো. শফর আলী (চট্টগ্রাম), মো. সাহাব উদ্দন (আদমজী), মো. মুশফিকুর রহমান (বিমান সিবিএ), মো. মহসীন ভুঞা (বিআইডাব্লউটিসি সিবিএ) ও মো. আসকার ইবনে শায়েখ খাজা (ওয়াসা সিবিএ)।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মো. খান সিরাজুল ইসলাম (স্টীল), সুলতান আহম্মদ (পাউবো) ও বিএম জাফর (খুলনা)। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাউছার আহমেদ পলাশ (নারায়ণগঞ্জ) ও মো. আনিসুর রহমান (জনতা ব্যাংক)।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান (রেল), দপ্তর সম্পাদক এটিএম ফজলুল হক (বনশিল্প), অর্থ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ (রুপালী ব্যাংক), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার (তিতাস), শিক্ষা ও সাহিত্যা সম্পাদক মো. শহীদ ডাকুয়া (বিদ্যুৎ), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রমীলা পোদ্দার।
এছাড়া আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন (তিতাস সিবিএ), শ্রমিক ইউনিয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান (সোনালী ব্যাংক), ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ হোসাইন (জনতা ব্যাংক), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গাজী আজিজুর রহমান (বিদ্যুৎ), ক্র্যাফট ফেডারেশন বিষয়ক সম্পাদক বখতিয়ার কান (চট্টগ্রাম) ও ক্রীড়া ও সাংস্কুতি বিষয়ক সম্পাদক শেখ আলাউদ্দিন আল আজাদ মিলন (খুলনা) হিসাবে নির্বাচত হয়েছেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুস সালাম খান, আমজাদ হোসেন, নাজমুল আলম রুবেল, মজিবুর রহমান ও সেলিম আনছারি।
উল্লেখ্য, গতকাল ‘বাংলা ইনসাইডার’ এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল (সোমবার) জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।