নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২০
গণফোরাম থেকে ইতিমধ্যে বহিষ্কৃত হয়েছেন মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ গণফোরামের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। এরমধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এরা সবাই একসময় আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। ১৯৯১ সালে মোস্তফা মহসিন মন্টু ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে গণফোরামে যোগ দেন। এরপর তিনি গণফোরামেই ছিলেন। তার আগে থেকেই মোস্তফা মহসিন মন্টু দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে। যুবলীগের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একরকম বিরুদ্ধাচারণই করেছিলেন। এখন মন্টু অনুতপ্ত। জীবন সায়াহ্নে এসে তিনি ঘরে ফিরতে চাইছেন। ঘর বলতে তিনি আওয়ামী লীগকে বুঝিয়েছেন।
মোস্তফা মহসিন মন্টু গতকাল দেখা করেছিলেন আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে। সেই প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে তিনি নিজের দুঃখ-কষ্টের কথা বলেন। রাজনীতিতে তার ভুলত্রুটি নিয়ে তিনি স্মৃতিচারণ করেন। শেষ বেলায় এসে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য তাকে জানান যে, শেখ হাসিনার মন্টুর ব্যপারে রিজার্ভেশন রয়েছে।
মন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তার ব্যাপারে রিজার্ভেশন থাকতেই পারে কারণ তিনি শেখ হাসিনাকে কষ্ট দিয়েছেন। রাজনীতিতে শেখ হাসিনাকে তিনি অনেক সমস্যায় ফেলেছেন এখন সেসব কাজের জন্য তিনি শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাও চান। তিনি শেখ হাসিনার সাথে একবার দেখা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করাটা কঠিন। তবে মোস্তফা মহসিন মন্টুর বার্তাটা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌছে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগ মোস্তফা মহসিন মন্টুকে নেবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।